এ উপন্যাস তিনজন মানবীকে নিয়ে সমাজের তিন শ্রেণির তিনজন মানুষ (ইচ্ছে করেই মেয়ে না বলে মানুষ বললাম) - যারা যাপনের সংঘাতে জীবনের প্রতি যাবতীয় আকর্ষণ হারিয়ে ফেলেছে, কোনাে এক নির্দিষ্ট বিধানে এই তিনজন। মানুষ পাশাপাশি আসে এবং খুঁজে পায় ভালােবাসার। উপকরণ- ফিরে আসে জীবনের উষ্ণ সান্নিধ্যে পারিজাত- দেশবিখ্যাত চিত্রকর। বাবা মায়ের আজীবন সংঘাত, শেষ পর্যন্ত ডিভাের্সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। আঁকায় আর মনঃসংযােগ করতে পারে না। অর্চিতা- বনেদী বাড়ির ফুটফুটে ফুলের মতাে মেয়েটি হানিমুন সেরে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় হারিয়ে ফেলে প্রেমিক স্বামীকে। নিজে বেঁচে ফিরলেও খােয়া যায় তার বা পা। হুইলচেয়ারে বন্দি জীবনে সে হারিয়ে ফেলে কথা বলার উৎসাহমূক বধির জীবন নিয়ে সে শুধু দিনগত পাপক্ষয় করে চলে। বিরলা- অদ্ভুত এই ভূমিকন্যা। অপ্রকৃতিস্থ, সরল, নিস্পাপ, তীব্র সংবেদনশীল। ছােটবেলায় তার মা খুন হন বাবার হাতে। বাবা ফেরারী হয়ে যান। মেয়েটি পরগাছার মতাে বেড়ে ওঠে হিংস্র কিছুটা বন্য। এছাড়াও রয়েছেন আরও কিছু চরিত্র - যারা ঘটনার ঘনঘটায় কাহিনীকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন অবধারিত সমাপ্তিতে। শেষটুকু অবশ্যই, অন্ধকার কাটিয়ে জীবনে ফিরে আসার সূর্যোদয়!!