তামাম দুনিয়ার শাসক হতে চেয়েছিলেন একজন। সফলও হয়েছিলেন প্রতিটি উদ্যোগে। সাড়ে পাঁচশাে বছর আগের এই মানুষটির নাম তৈমুর লং। গবাদি পশু আর জমিজমা নিয়ে | গােড়ার দিকে তিনি একজন সাদাসিধে ভালমানুষই ছিলেন। রাজপুত্র বা মধ্য এশিয়ার পরিচিত কোনও গােষ্ঠীপতির পুত্রও তিনি নন। আলেকজান্ডার ও চেঙ্গিস খানের ম্যাসিডােনীয় এবং মােঙ্গল জনতা ছিল। নিজেই প্রজাদের সংগ্রহ করেছিলেন তৈমুর লং। বিশ্বের অর্ধেকের বেশি এলাকার সেনাদলকে পর্যুদস্ত করেন তিনি। শহর ধ্বংস করে আবার গড়েছেন মনের মত। দুই মহাদেশের ব্যবসায়ীদের কাফেলা চলত তার গড়া পথে। প্রচুর সাম্রাজ্যের ধন-সম্পদ | আহরণ করে ইচ্ছেমতাে খরচ করেছিলেন। এক মাসের মধ্যে পর্বতের চূড়ায় প্রমােদ প্রাসাদ নির্মাণ করেছিলেন। কেউ তার জীবদ্দশায় যতবার চেষ্টা করতে পারে, তার চেয়েও | বেশিবার চেষ্টা করেছিলেন, 'বিশ্বের অপ্রিয় জিনিসকে ধ্বংস করে, তাকে ফের মনের মতাে করে গড়ে নিতে পেরেছিলেন। | তিনি তৈমুর লং বা ইতিহাসে খোঁড়া বাদশা নামে পরিচিত। ইতিহাসে তার সাম্রাজ্যকে তৈমুর সাম্রাজ্য' বলা হয়। আগে এই সাম্রাজ্যকে তাতার সাম্রাজ্য বলা হত। এক প্রভাবশালী ও নির্দয় চরিত্র তৈমুর ইউরােপের দরজা পেরিয়ে চলে গিয়েছিলেন সােনালি শিবিরে। মানুষের খুলি দিয়ে তৈরি করা মিনারকে রাতের বেলা স্পিরিট জ্বালিয়ে আলােকিত করেছিলেন।