“স্যার, আসামির নাম মােবারক। তবে অপরাধ জগতে সে বাইট্টা মােবারক হিসেবে কুখ্যাত। আমাদের থানায় সে মােস্ট ওয়ান্টেড। জন্ম ১৯৮৬ সালে। রেকর্ড মােতাবেক তার মা জন্মের ৬ মাসের মাথায় মারা যায়। তারপর মােবারকের বাবা আবার বিয়ে করে। সৎ মা, তাকে দেখাশােনা করতাে না। তাকে লালনপালন করেছে তার দাদি। তার ভাগ্য এতই খারাপ যে, তার বাবাও মারা যায় যখন সে ক্লাস ফাইভে পড়ে। তার বয়স তখন ১০ বছর মাত্র। এরপর সে দাদি ও চাচাদের সাথে থাকা শুরু করে। কিন্তু বাবা-মা ছাড়া এতিম বাচ্চা বিপথগামী হয়ে যায়। পড়াশােনা হয়নি অর্থের অভাবে। ওই ক্লাস ফাইভ-ই শেষ। তারপর মােবারকের পদচারণা শুরু অপরাধ জগতে। প্রথমে অল্পস্বল্প চুরি, ছিনতাই দিয়ে হাতেখড়ি। তারপর ধীরে ধীরে বড় বড় অপকর্মে জড়িয়ে যায়। দেখতে দেখতে সে নিজ এলাকার সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হয়ে ওঠে। ধীরে ধীরে তার নাম-ডাক ঢাকাতে ছড়িয়ে পড়ে। একসময় ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী তাকে ডেকে পাঠায় এবং তার সাথে কাজ করতে বলে। শুরু হয়। মােবারকের ঢাকায় পথচলা। বছর খানিক না যেতেই শীর্ষ সন্ত্রাসীকে সরিয়ে দিয়ে মােবারক নিজের সাম্রাজ্য গড়ে তােলে। শুরু হয় তার রাজত্ব। ওর মূল কাজের ধরন হলাে কিডন্যাপ করা এবং কিডন্যাপ করে মুক্তিপণ চাওয়া। মুক্তিপণ ঠিকঠাক পেলে বাড়িতে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। না দিলে বা মুক্তিপণের টাকা এদিক-ওদিক হলে ওপারে পাঠিয়ে দেয়! পাশে একইধরনের চিরকুট ফেলে যায় “হিসেবে কাঁচা হওয়ায় তাকে আর হিসাব করার অধিকার দিই নাই!!” আজকের কেইসও একই রকম।”