"অরণ্য বহ্নি" বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা:
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অরণ্য-বহ্নি উপন্যাসটি ১৮৫৪-১৮৫৫ সালের সাঁওতাল বিদ্রোহের পটভূমিতে লেখা। সাঁওতাল বিদ্রোহের নেতা সিধু ও কানুর সংগ্রামী জীবনসহ সাধারণ সাঁওতালদের জীবন-সংগ্রাম, ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি ইত্যাদির পাশাপাশি ইংরেজ ও হিন্দুদের দ্বারা সাঁওতালদেরকে শোষণের চিত্র ফুটে উঠেছে এ উপন্যাসে।
সাঁওতাল বিদ্রোহের পেছনে যে জাতিগত শোষণ-নিপীড়ন এবং ধর্মীয় উন্মাদনা সক্রিয় ছিল ঔপন্যাসিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর অরণ্য-বহ্নি উপন্যাসে ইতিহাসের বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে তা প্রমাণ করতে চেয়েছেন। ইতিহাসের আলোকেই লেখক এ উপন্যাসের কাহিনি সাজিয়েছেন, তবে শেষ পর্যন্ত তা ঐতিহাসিক উপন্যাস হয়েছে নাকি ঐতিহাসিক রোমান্স-উপন্যাস হয়েছে তা বিতর্কের বিষয়।
aronno bonhi,aronno bonhi in boiferry,aronno bonhi buy online,aronno bonhi by Tarashonkor Bondopadhai,অরণ্য বহ্নি,অরণ্য বহ্নি বইফেরীতে,অরণ্য বহ্নি অনলাইনে কিনুন,তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় এর অরণ্য বহ্নি,9789848798614,aronno bonhi Ebook,aronno bonhi Ebook in BD,aronno bonhi Ebook in Dhaka,aronno bonhi Ebook in Bangladesh,aronno bonhi Ebook in boiferry,অরণ্য বহ্নি ইবুক,অরণ্য বহ্নি ইবুক বিডি,অরণ্য বহ্নি ইবুক ঢাকায়,অরণ্য বহ্নি ইবুক বাংলাদেশে
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় এর অরণ্য বহ্নি এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 212.50 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। aronno bonhi by Tarashonkor Bondopadhaiis now available in boiferry for only 212.50 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন |
হার্ডকভার | ২০৬ পাতা |
প্রথম প্রকাশ |
2018-02-01 |
প্রকাশনী |
অবসর প্রকাশনা সংস্থা |
ISBN: |
9789848798614 |
ভাষা |
বাংলা |
লেখকের জীবনী
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় (Tarashonkor Bondopadhai)
তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায় বিংশ শতাব্দীর একজন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ছিলেন। ১৮৯৮ সালের ২৪ জুলাই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলায় তাঁর জন্ম। তাঁর শৈশব কাটে এই বীরভূম জেলারই লাভপুর গ্রামে। ধর্মপরায়ণ ও আদর্শনিষ্ঠ বাবা-মায়ের কাছে তিনিও একই সততা ও আদর্শের শিক্ষা নিয়ে বেড়ে উঠতে থাকেন। লাভপুরের যাদবলাল হাই স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করে তিনি সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে ভর্তি হন। তবে নানা কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রম শেষ করতে পারেননি। ভারতীয় স্বাধীনতা বিপ্লবের সময় রাজনৈতিক কারণে কারাভোগ করতে হয় তাঁর। মুক্তি পাওয়ার পর সাহিত্যে মনোনিবেশ করেন পুরোপুরি। তাঁর অনন্য প্রতিভায় জন্ম নিয়েছে একেকটি অসাধারণ পাঠকনন্দিত সাহিত্যকর্ম। তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায় রচনাবলী বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সমৃদ্ধ সম্পদ। তাঁর লেখা কোনো নির্দিষ্ট শ্রেণীর মানুষের জীবনকে এককভাবে উপস্থাপন করে না, ফুটিয়ে তোলে গ্রামীণ ও নাগরিক জীবনের সব বৈশিষ্ট্যকে। সাহিত্য সৃষ্টি করতে তিনি বাদ রাখেননি কোনো শাখা। তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস হলো ‘চৈতালি ঘূর্ণি (১৯৩২)’, ‘পাষাণপুরী (১৯৩৩)’, ’ধাত্রীদেবতা (১৯৩৯)’, ’কালিন্দী (১৯৪০)’, ’কবি (১৯৪৪)’, ’হাসুলী বাঁকের উপকথা (১৯৫১)’, ‘কালরাত্রি (১৯৭০)’ ইত্যাদি। তারাশঙ্করের উপন্যাস সমগ্র সংখ্যার হিসাবে প্রায় ৬৫টি। এর মধ্যে ‘কবি’ উপন্যাসটি তারাশঙ্করের কালজয়ী উপন্যাস। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামার মাঝে তিনি বিভিন্ন শিল্পগোষ্ঠী ও সাহিত্য সম্মেলন এর নেতৃত্ব দান ও সভাপতিত্ব করেন। পশ্চিমবঙ্গের বিধান সভার নির্বাচিত সদস্য হিসেবে তিনি আট বছর দায়িত্ব পালন করেন। তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায় কবিতা সমগ্র হল ‘ত্রিপত্র (১৯২৬)। এছাড়াও সাহিত্য রচনা করেছেন ছোটগল্প, নাটক, প্রহসন ও প্রবন্ধ আকারেও। তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়ের ছোটগল্প সংকলন হলো ‘ছলনাময়ী (১৯৩৭)’, ‘রসকলি (১৯৩৯)’, ‘হারানো সুর (১৯৪৫)’, ‘কালান্তর (১৯৫৬), ‘মিছিল (১৯৬৯)’, ‘উনিশশো একাত্তর (১৯৭১)’ ইত্যাদি। তাঁর রচিত অনেক উপন্যাস পেয়েছে চলচ্চিত্র রূপ, এদের মাঝে আছে ‘কালিন্দী’, ‘দুই পুরুষ’, ‘জলসাঘর’, ‘অভিযান’। তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায় উপন্যাস সমগ্র বাঙালি পাঠকের কাছে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাঁর কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ‘শরতস্মৃতি পুরস্কার (১৯৪৭)’, ‘জগত্তারিণী স্বর্ণপদক (১৯৫৬)’, ‘রবীন্দ্র পুরস্কার (১৯৫৫)’, ‘পদ্মশ্রী (১৯৬২)’, ‘পদ্মভূষণ (১৯৬৮)’ ইত্যাদি পুরস্কার ও উপাধি লাভ করেন। তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায় এর বই সমূহ মানুষের হৃদয়ে চিরস্থায়ী স্থান করে নিয়েছে। পাঠকনন্দিত এই বাঙালি কথাসাহিত্যিক ১৯৭১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পরলোকগমন করেন।