শামুন, হাসিব ও ড্যানিয়েল একজন মানুষকে যখন অন্য একজন মানুষ চড় মারে তখন যে চড় খেয়েছে তার শারীরি ও মানসিক-দু'ভাবেই কষ্ট হয়। আর এই কথা আমরা সবাই কমবেশি জানি। শামুন ভাবে, তাদেরকে শেখানাে হয়েছে একটা রূপকথা। যেখানে ভালাে মানে ভালাে আর খারাপ মানে খারাপ কিন্তু বাস্তবতা আসলে কোনটা? এইখানে সবকিছুর গ্রহণযােগ্যতা আছে। তবে যার যার স্বার্থ অনুসারে। | হাসিবকে ক্ষমা করেছিল শামুনা কি হাসিব তার মর্যাদা রাখেনি। তাই হাসিবের সাথে যােগাযােগ বন্ধ করে বসে আছে শামুনা। হাসিব চোরের মতাে। ভয় পেয়ে হােক বা অন্য কারণেই হােক, সরাসরি কথা বলার সাহস করে ওঠেনি। হাসিবকে শামুনা এখন আর তার জীবনের কোনাে অংশ মনে করে । তবুও সারাক্ষণ হাসিবের সাথে কাটানাে সংসার জীবনের ঘটনাগুলােই শামুনার চোখের সামনে বারবার ভেসে ওঠে। দেড় বছর হতে চলল তবুও শামুনা কোনাে সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি হাসিবের ব্যাপারে। সে হাসিবের কাছে ফিরে যাবে নাকি নতুন করে জীবন শুরু করবে? শামুনার অপেক্ষা হাসিবের জন্য নয়, তার নিজের শােক থেকে বের হয়ে আসার জন্য। | শামুনা ভাবনায় বিভাের, কোথায় যেন শুনেছিল ‘পুরুষের মধ্যে বহুগামী স্বভাৰ নাকি থাকে জন্মগতভাবেই। আর নারী সব সময়ই নিজের সন্তানকে রক্ষা করায় গুরুত্ব দিয়ে থাকে। মানুষের মধ্যেও পশু-পাখির রীতি চলে আসছে। মানুষ এত সভ্য হয়েও কীভাবে পশু-পাখির প্রবৃত্তি থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারে না? অন্তত খারাপ প্রবৃত্তিগুলাে তে দমিয়ে রাখতে পারে। শামুনা বিয়ের পর ভালাে-খারাপের নতুন এক রুপের সাথে পরিচিত হয়েছিল। হাসিব ছিল শামুনার বাবা-মা'র পছন্দ করা পাত্র। শামুনার বিয়ের পরের প্রেম। বিয়ের আগে শামুনার সুযােগ হয়নি হাসিবকে চেনার। সুযােগ থাকলেও তাকে চিনতে পারত না শামুনা। যখন দুজন মানুষ এক ছাদের নিচে থাকে তখনই সম্ভব একজন অন্যজনের ভালাে-খারাপ দেখতে পাওয়া।