স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং জাতির পিতার রক্তাক্ত বুক শেখ নজরুল ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ। ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় ও অধ্যায়। এই অধ্যায়ে বাংলাদেশের স্থপতি, জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গােপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সাত বছর বয়সে তিনি প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি হন। স্কুলজীবন থেকেই তার মধ্যে জনগণের অধিকার চেতনা বদ্ধমূল হয়। ১৯৩৯ সালে গােপালগঞ্জ মিশন হাইস্কুলে পড়ার সময় অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক এবং তকালীন মুসলিম লীগের প্রখ্যাত নেতা হােসেন শহীদ সােহরাওয়ার্দীর গােপালগঞ্জ সফরে এলে স্কুলের বিধ্বস্থ অবকাঠামাে এবং ছাত্রাবাসের সমস্যা তুলে ধরে কিশাের শেখ মুজিব সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ১৯৪০ সালে নিখিল ভারত মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যােগ দিয়ে তিনি এক বছরের জন্য নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্রলীগের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। ১৯৪২ সালে গোপালগঞ্জ মিশন হাইছুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাস করার পর কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে আই এ ভর্তির পর থেকেই শেখ মুজিবুর রহমান মুসলিম লীগ রাজনীতির সঙ্গে ঘনিষ্ট হন। ১৯৪৪ সালে তিনি কলকাতায় ফরিদপুরবাসীদের উদ্যোগে গঠিত ফরিদপুর ডিস্ট্রিক অ্যাসােসিয়েশন'এর সম্পাদক নির্বাচিত হন। এই বছরে তিনি আই এ পরীক্ষায়ও পাশ করেন। ১৯৪৬ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক এবং গােপালগঞ্জ মহকুমা মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হন এবং অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে মুসলিম লীগের পক্ষে প্ররােচণায় বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৪৭ সালে। ইতিহাস এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়সহ কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। ১৯৪৭ সালে দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ভারত বিভক্তির পর ব্রিটিশশাসিত বাংলার পশ্চিমাংশ ভারত এবং পূর্বাংশ পাকিস্তান হিসেবে নির্ধারিত হয়। শেখ মুজিবুর রহমান তখন পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা ত্যাগ করে পূর্ব বঙ্গের রাধানী ঢাকায় চলে আসেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৪৮ সালে মুসলিম লীগ সরকারের গণবিরােধী ভূমিকার বিরােধিতায় তিনি মুসলিম লীগ ত্যাগ করে ৪ জানুয়ারি পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ গঠন করেন। বাংলা ভাষাকে ভাষা হিসেবে মর্যাদা দান, সামরিক বাহিনীতে জনসংখ্যার অনুপাতে বাঙালিদের নিয়ােগ প্রদান, সদর দফতর বাধ্যতামূলকভাবে চট্টগ্রামে