বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর আদর্শ হিন্দু হোটেল এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 129.20 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Adorsho Hindu Hotel by Bivutivushon Bondopadhaiis now available in boiferry for only 129.20 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
আদর্শ হিন্দু হোটেল (হার্ডকভার)
৳ ১৫২.০০
৳ ১১৪.০০
একসাথে কেনেন
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর আদর্শ হিন্দু হোটেল এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 129.20 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Adorsho Hindu Hotel by Bivutivushon Bondopadhaiis now available in boiferry for only 129.20 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন | হার্ডকভার | ১৭০ পাতা |
---|---|
প্রথম প্রকাশ | 2020-10-01 |
প্রকাশনী | ৫২ (বায়ান্ন) |
ISBN: | 9789849452218 |
ভাষা | বাংলা |
ক্রেতার পর্যালোচনা
1-2 থেকে 2 পর্যালোচনা
-
পর্যালোচনা লিখেছেন 'Rifat Alam'
সকল মানুষের জীবনেই স্বপ্ন থাকে কিন্তু সবাই তার স্বপ্নের পিছনে লেগে থাকতে পারে না। লেখক এই গল্পে তেমন একজনকেই দেখিয়েছেন যে কিনা তার স্বপ্নকে কাছ থেকে ছুতে পেরেছে। গল্পের প্রধান চরিত্র হাজারি ঠাকুর একজন সহজসরল ভালো মনের মানুষ। যিনি এড়োঁশোলা গ্রাম থেকে প্রথমবারের মত রাণাঘাট রেল বাজারে আসে। তিনি চমৎকার রান্না পারেন। যার রান্নার গুণে সবাই মুগ্ধ। বেচু চক্কত্তির হোটেলে ৭ টাকা মাসিক বেতনে রসুয়ে বামুনের চাকুরি নেয়। সেখানেই তার পথচলা শুরু। সেই হোটেলে তার রান্না যিনি একবার খেয়েছেন তিনি দ্বিতীয় বার এসেছেন। সেই রান্নার প্রশংসা রাণাঘাট ছাড়িয়ে কলকাতায় পৌছায়। সবাই তার প্রশংসা করলেও তার মনিব ও পদ্ম ঝির কাছ থেকে কখনো প্রশংসা পান নি। পাশের হোটেলের যদু বাঁড়ুয্যে তার হোটেলে নিয়ে যেতে চায় কিন্তু সে এই হোটেলের মায়া ছাড়তে পারে নি। ভালোবেসে থেকে যায় বেচু চক্কত্তির হোটেলেই। সে অল্পতেই তুষ্ট থাকে এবং স্বপ্ন দেখতে থাকে সেও একদিন হোটেলের মালিক হবে যার নাম হবে- হাজারি চক্রবর্তী হিন্দু হোটেল রাণাঘাট ভদ্রলোকের সস্তায় আহার ও বিশ্রামের স্থান। আসুন! দেখুন!! পরিক্ষা করুন!! পদ্ম ঝি তার পেছনে সবসময় লেগে থাকত। উঠতে বসতে তাকে অপমান করত, ঝামেলা করত। কিন্তু হাজারি সবসময় তাকে মনিবের চোখে দেখত ভক্তি শ্রদ্ধা করে পদ্ম দিদি বলে ডাকত। একদিন হোটেলে বাসন চুরি হওয়ায় তাকে চুরির অপবাদ দেওয়া হয় এবং তার চাকরি চলে যায়। যখন চাকরি চলে যায় তখন তার জীবনে সৌভাগ্য হিসেবে আসে তারই গ্রামের মেয়ে কুসুম। সে তাকে মেয়ের মত ভালোবাসে এবং কুসুমও তাকে বাবার চোখে দেখে। অনাত্মীয় হয়েও যে ভালোবাসা দেখিয়েছে তার কল্যাণে হাজারির সাহস অনেক গুণ বেড়ে যায়। সেই কুসুম, অতসী, নতুন পাড়ার গোয়াল বউ এই তিন অনাত্মীয় নারীর ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে নতুনভাবে পথচলা শুরু হয়। একসময় সে তার স্বপ্ন পূরণ করে। লেখক দেখাতে চেয়েছেন মানুষের জীবনে খারাপ সময় সবসময় থাকে না। আশেপাশে খারাপ মানুষের ভীরে কিছু ভালো মানুষও থাকে যারা বিপদে পাশে দাঁড়ায়। ভাগ্য তাকে নতুন করে জীবন দেয় সেই নতুন জীবনের সিড়ি বেয়ে নিজের স্বপ্ন পূরণ করে। একজন গ্রামের সহজ সরল সৎ মানুষ কিভাবে স্বপ্ন পূরণ করে সেটি লেখক তুলে ধরেছেন। সবমিলিয়ে বইটি অসাধারণ ছিল। সামাজিক রোমান্টিক ঘরনার উপন্যাস যা পাঠক মনে আনন্দ দিবে। লেখক ব্যক্তিজীবন, সামাজিক জীবন, পারিবারিক জীবন খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
June 30, 2022
-
পর্যালোচনা লিখেছেন 'Rifat Alam'
#বইফেরীবুকরিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নামঃ আদর্শ হিন্দু হোটেল লেখকঃ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম প্রকাশঃ ১৯৪০ সাল রেটিংঃ ৪.৮/৫ রিভিউঃ রিফাত আলম সকল মানুষের জীবনেই স্বপ্ন থাকে কিন্তু সবাই তার স্বপ্নের পিছনে লেগে থাকতে পারে না। লেখক এই গল্পে তেমন একজনকেই দেখিয়েছেন যে কিনা তার স্বপ্নকে কাছ থেকে ছুতে পেরেছে। গল্পের প্রধান চরিত্র হাজারি ঠাকুর একজন সহজসরল ভালো মনের মানুষ। যিনি এড়োঁশোলা গ্রাম থেকে প্রথমবারের মত রাণাঘাট রেল বাজারে আসে। তিনি চমৎকার রান্না পারেন। যার রান্নার গুণে সবাই মুগ্ধ। বেচু চক্কত্তির হোটেলে ৭ টাকা মাসিক বেতনে রসুয়ে বামুনের চাকুরি নেয়। সেখানেই তার পথচলা শুরু। সেই হোটেলে তার রান্না যিনি একবার খেয়েছেন তিনি দ্বিতীয় বার এসেছেন। সেই রান্নার প্রশংসা রাণাঘাট ছাড়িয়ে কলকাতায় পৌছায়। সবাই তার প্রশংসা করলেও তার মনিব ও পদ্ম ঝির কাছ থেকে কখনো প্রশংসা পান নি। পাশের হোটেলের যদু বাঁড়ুয্যে তার হোটেলে নিয়ে যেতে চায় কিন্তু সে এই হোটেলের মায়া ছাড়তে পারে নি। ভালোবেসে থেকে যায় বেচু চক্কত্তির হোটেলেই। সে অল্পতেই তুষ্ট থাকে এবং স্বপ্ন দেখতে থাকে সেও একদিন হোটেলের মালিক হবে যার নাম হবে- হাজারি চক্রবর্তী হিন্দু হোটেল রাণাঘাট ভদ্রলোকের সস্তায় আহার ও বিশ্রামের স্থান। আসুন! দেখুন!! পরিক্ষা করুন!! পদ্ম ঝি তার পেছনে সবসময় লেগে থাকত। উঠতে বসতে তাকে অপমান করত, ঝামেলা করত। কিন্তু হাজারি সবসময় তাকে মনিবের চোখে দেখত ভক্তি শ্রদ্ধা করে পদ্ম দিদি বলে ডাকত। একদিন হোটেলে বাসন চুরি হওয়ায় তাকে চুরির অপবাদ দেওয়া হয় এবং তার চাকরি চলে যায়। যখন চাকরি চলে যায় তখন তার জীবনে সৌভাগ্য হিসেবে আসে তারই গ্রামের মেয়ে কুসুম। সে তাকে মেয়ের মত ভালোবাসে এবং কুসুমও তাকে বাবার চোখে দেখে। অনাত্মীয় হয়েও যে ভালোবাসা দেখিয়েছে তার কল্যাণে হাজারির সাহস অনেক গুণ বেড়ে যায়। সেই কুসুম, অতসী, নতুন পাড়ার গোয়াল বউ এই তিন অনাত্মীয় নারীর ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে নতুনভাবে পথচলা শুরু হয়। একসময় সে তার স্বপ্ন পূরণ করে। লেখক দেখাতে চেয়েছেন মানুষের জীবনে খারাপ সময় সবসময় থাকে না। আশেপাশে খারাপ মানুষের ভীরে কিছু ভালো মানুষও থাকে যারা বিপদে পাশে দাঁড়ায়। ভাগ্য তাকে নতুন করে জীবন দেয় সেই নতুন জীবনের সিড়ি বেয়ে নিজের স্বপ্ন পূরণ করে। একজন গ্রামের সহজ সরল সৎ মানুষ কিভাবে স্বপ্ন পূরণ করে সেটি লেখক তুলে ধরেছেন। সবমিলিয়ে বইটি অসাধারণ ছিল। সামাজিক রোমান্টিক ঘরনার উপন্যাস যা পাঠক মনে আনন্দ দিবে। লেখক ব্যক্তিজীবন, সামাজিক জীবন, পারিবারিক জীবন খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
March 28, 2023
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Bivutivushon Bondopadhai)
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় (১২ই সেপ্টেম্বর, ১৮৯৪ - ১লা নভেম্বর, ১৯৫০[১]) ছিলেন একজন জনপ্রিয় ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক। তিনি মূলত উপন্যাস ও ছোটগল্প লিখে খ্যাতি অর্জন করেন। পথের পাঁচালী ও অপরাজিত তাঁর সবচেয়ে বেশি পরিচিত উপন্যাস। অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে আরণ্যক, চাঁদের পাহাড়,আদর্শ হিন্দু হোটেল, ইছামতী ও অশনি সংকেত বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। উপন্যাসের পাশাপাশি বিভূতিভূষণ প্রায় ২০টি গল্পগ্রন্থ, কয়েকটি কিশোরপাঠ্য উপন্যাস ও ভ্রমণকাহিনি এবং দিনলিপিও রচনা করেন। বিভূতিভূষণের পথের পাঁচালী উপন্যাস অবলম্বনে সত্যজিৎ রায় পরিচালিত চলচ্চিত্রটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন। ১৯৫১ সালে ইছামতী উপন্যাসের জন্য বিভূতিভূষণ পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার রবীন্দ্র পুরস্কার (মরণোত্তর) লাভ করেন।