Loading...

অ্যাকিলিসের টেন্ডন (হার্ডকভার)

স্টক: স্টকে আছে (১ এর বেশি কপি আছে)

৪০০.০০ ৩২০.০০

পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত থেকে দুটি পরিত্যক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে সিআইডি ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তারা। ফরেনসিক এক্সমাইনার আবরার ফাহাদ এই কেসে অগাধ ক্ষমতাশালী এক এমপি ও শিল্পপতির সম্পৃক্ততা এবং হিউম্যান ক্যানিবালিজমের উপস্থিতি খুঁজে পায়। হঠাৎ মুখোশের আড়ালে এক দল অপহরণকারী আবরারকে গ্রিক মিথোলজির এক কৃত্রিম জগতে নিয়ে গিয়ে 'HellMyth' নামের এক অদ্ভুত ‘জীবন রক্ষাকারী’ গেম খেলতে বাধ্য করে। এই গেমের প্রতি লেভেলে পুঁজিবাদের পরাকাষ্ঠায় বলি হওয়া অসহায় কিছু মানুষ অসম্ভব ক্ষমতাশালী অপর কিছু মানুষের নিষ্ঠুরতার শিকার হয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের সাহায্য নিয়ে দশটি লেভেলে জিউস, হেরা, আফ্রোদিতি, পসাইডন রূপী পুঁজিবাদীর প্রবল পরাক্রম আর মৃত্যুফাঁদ থেকে অসহায় মানুষগুলোকে কি বাঁচাতে পারবে আবরার?

Achilles tendon,Achilles tendon in boiferry,Achilles tendon buy online,Achilles tendon by Maliha Tabassum,অ্যাকিলিসের টেন্ডন,অ্যাকিলিসের টেন্ডন বইফেরীতে,অ্যাকিলিসের টেন্ডন অনলাইনে কিনুন,মালিহা তাবাসসুম এর অ্যাকিলিসের টেন্ডন,Achilles tendon Ebook,Achilles tendon Ebook in BD,Achilles tendon Ebook in Dhaka,Achilles tendon Ebook in Bangladesh,Achilles tendon Ebook in boiferry,অ্যাকিলিসের টেন্ডন ইবুক,অ্যাকিলিসের টেন্ডন ইবুক বিডি,অ্যাকিলিসের টেন্ডন ইবুক ঢাকায়,অ্যাকিলিসের টেন্ডন ইবুক বাংলাদেশে,9789848072950
মালিহা তাবাসসুম এর অ্যাকিলিসের টেন্ডন এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 320.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Achilles tendon by Maliha Tabassumis now available in boiferry for only 320.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ১৯২ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2022-01-30
প্রকাশনী অধ্যয়ন প্রকাশনী
ISBN: 9789848072950
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

5
1 reviews

1-1 থেকে 1 পর্যালোচনা

  • পর্যালোচনা লিখেছেন 'রোমানুর রোমান'
    অনন্য মেডিকেল থ্রিলার বই- অ্যাকিলিসের টেন্ডন - রোমানুর রোমান বইটি হাতে পেয়ে প্রথমে কভার পেজটা ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে নেই। যদিও অনলাইনে বহুবার দেখা হয়েছে। কিন্তু সরাসরি দেখার তফাৎটাই আলাদা। তাছাড়া সরাসরি পর্যবেক্ষণ করে নতুন কিছু খুঁজে পাওয়াটাও এক ধরনের আবিষ্কার। কী সেটা? চিন্তা করুন, আপনি যখন প্রথম বইটি দেখেন; স্বাভাবিকভাবে কী চোখে পড়েছে? কভারের ছবিটা, এর নিচে ছোটকরে লেখা, গ্রিক মিথোলজি অবলম্বনে মেডিকেল থ্রিলার এবং তার নিচে বড় করে "অ‍্যাকিলিসের টেন্ডন", সবার নিচে মালিহা তাবাসসুম লেখা। কিন্তু আপনি কী মিস করেছেন জানেন? একদম উপরের ডান কর্ণারে, Level 10 লেখাটা। হ‍্যাঁ, এটাই আমার আবিষ্কার। এটা দেখার পর আমার মাথায় নানান প্রশ্নোত্তর পর্ব খেলা করে, Level 10 লেখার মানে কী? যারা এখনো বইটি পড়েননি তাদের কাছে প্রশ্ন রইলো। বলতে পারলে ধরে নেব, আপনি আবরার ফাহাদের চেয়েও কঠিন সব কোড; ডি-কোড করতে পারবেন। আর হ‍্যাঁ, (না পারলে) জানতে হলে পড়তে হবে শেষ পর্যন্ত। দ্বিতীয়ত, ফ্লাপের লেখাটুকু পড়ে নেই, এখানে ফরেনসিক এক্সমাইনার আবরার ফাহাদ এর নাম উল্লেখ্য এবং মুখোশের আড়ালে একদল অপহরণকারী তাকে গ্রিক মিথোলজির এক কৃতিম জগতে নিয়ে গিয়ে 'HellMyth' নামে অদ্ভূত গেম খেলতে বাধ্য করার কথা বলা হয়েছে। "অদ্ভুদ ব‍্যাপার! একে তো থ্রিল তার ভেতর গেম। থ্রিল প্রেমি + গেম প্রেমিদের আর কী চাই! " লেখক পরিচিতি, উৎসর্গ ও ভূমিকা শেষ করে ভেতরে পড়া শুরু করি। পরিচিতি সংক্ষেপ: মালিহা তাবাসসুমের জন্ম ১৯৯৯ সালের ১৯ শে নভেম্বর রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ আল মানার হাসপাতালে ঠিক ভোর চারটায়। বাবা, মোহাম্মদ আব্দুল মালেক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ম‍্যানেজার হিসেবে কর্মরত, মা তাসলিমা খান কেয়া লেখা লেখি করেছেন যুগানত্তরসহ বিভিন্ন পত্রিকায়। মালিহা বর্তমানে এমবিবিএস পড়ছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে। ক্ল‍্যাসিকাল সংগীত এবং আবৃত্তিতে জাতীয় পর্যায়ে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন ২০১৫ সালে। একজন মেডিকেল শিক্ষার্থী হয়ে লেখালেখি, সংগীত, আবৃত্তি এতো কিছুতে বিচরণ! আমার মাথায় খেলে না কীভাবে পারেন! শুধু কী তাই? তিনি নির্মাতাও হতে চান। আমি ঠিক যেইদিন এই বইটি পড়া শেষ করছি, ঐ দিন তিনি "চ‍্যানেল আই" এর "তারকা কথন" অনুষ্ঠানে কথা বলছেন। কিন্তু মজার ব‍্যপার হচ্ছে ইতিপূর্বে "ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্স " এবং এই বইটা পড়তে পড়তে আমি ভাবছিলাম, বাংলাদেশে কেন থ্রিলার মুভি হয় না! অথবা এই গল্পগুলো দিয়ে যদি কেউ মুভি নির্মাণ করতো সেটা দেশের জন‍্য অনবদ্য নির্মাণ হতো। ভেবেছিলাম উনাকে বলবো, এই গল্প থেকে মুভি হলে খুব ইন্টারেস্টিং হবে। তা বলার আর প্রয়োজন রইলো না। কারণ, তিনি অনুষ্ঠানে বলেছেন, ইতোমধ্যে ছোট খাটো নির্মাণ করেছেন এবং গ্র্যাজুয়েশনের পরে বাংলাদেশের মেডিকেল থ্রিলার টেলিভিশনের পর্দায় নিয়ে আসতে চান। ইউএসএ, কোরিয়া, সাউথ ইন্ডিয়ার মতো ফরেন্সিক বা মেডিকেল শোজ ও টিভি সিনেমার ভিন্নধর্মী নির্মাণ করতে চান। মেডিকেল থ্রিলারই তার ড্রিম। "বাংলাদেশে এমন নির্মাণ হলে স‍‍ত‍্যি দারুণ হবে, তাই না? " ভেতরের কথা: সেরা ফিকশন "একিলিসের টেন্ডন" গ্রিক মিথোলজি অবলম্বনে দেশীয় পুঁজিবাদের অর্থের ভিত্তিতে লেখা মেডিকেল থ‍্রিলার। ফরেনসিক ড্রামাটিক বা মেডিকেল নিয়ে গোয়েন্দা গল্পও বলা যায়। এখানে একজন অফিশিয়ল ইনভেস্টিগেটর থাকে যে একটি অদ্ভুত "জীবন রক্ষাকারী" গেম খেলতে বাধ‍্য হয়ে পড়ে অর্থাৎ পুঁজিবাদের হাত থেকে সাধারণ শ্রেণির মানুষদের উদ্ধার করতে হয়। আপনি হয়তো অনেক থ্রিলার বই পড়েছেন অথবা থ্রিলার মুভি দেখে থাকবেন, যেমন- Movies: Thesis, The Body, Seven Days, Memories of Murder, আয়নাবাজি etc. Books: Dan Brown, Time Riders, Night School, Therapy etc. এগুলো থ‍্রিলারের কোন শাখায় পড়ে বলতে পারেন? সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার, ক্রাইম থ্রিলার, ইরোটিক থ্রিলার, মিষ্ট্রি থ্রিলার, স্পাই থ্রিলার কিন্তু মেডিকেল থ্রিলার? নাহ! খুব একটা না। সে কারণেই আমার পড়া সেরা বই "অ‍্যাকিলিসের টেন্ডন" । অবাক করার মতো চমৎকার কিছু মেডিকেল টার্ম তুলে ধরেছেন লেখক। অনেক মেডিকেল শিক্ষার্থীরও এসব অজানা। বইটি তাদেরও পড়া অত্যাবশ্যক। সারা বিশ্ব কাঁপানো থ্রিলার মুভির মধ‍্যে অন‍্যতম একটি মুভির নাম "দ‍্য হার্ট লকার" এই মুভিটি মূলত ইরাক যুদ্ধ নিয়ে। এখানে দেখানো হয় ঘাতকদের পেতে রাখা জীবন বিনাশী বোম্ব বানচাল করা। সিনেমার আকর্ষণীয় বিষয় তথা দর্শকদের আগ্রহ ধরে রাখার জন্য সবথেকে বেশি যে জিনিসটা কাজ করবে সেটা হচ্ছে, ঘাতকদের পেতে রাখা বোম্ব বানচাল করার যদি একটা সেকেন্ডও দেরি হয়ে যায় তবে সব শেষ। এই থ্রিলার এমন একটি ঘরনা বা জনরা যেটা সর্বক্ষণ কোন মানুষকে দীর্ঘক্ষন স্ক্রিনের সামনে বসিয়ে রাখার ক্ষমতা রাখে। এই থ্রিলার জনরা পছন্দ করে না এমন কোন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। সাসপেন্স টুইস্টে ভরপুর, বারবার জানার আগ্রহ, রহস্য সমাধান করার তীব্র ইচ্ছা ইত্যাদি যদি মানুষকে পাগল করে দিতে পারে সে মানুষ কেনইবা থ্রিলার পছন্দ করবে না? তেমনি, অ‍্যাকিলিসের টেন্ডনেও নির্দিষ্ট সময় থাকে। ঐ সয়য়ের মধ‍্যে গেমের একেকটা লেভেল পার হতে হয় গল্পের নায়ক "আবরার ফাহাদ কে"। একটু গড়বড় হলেই মৃত‍্যু। শুরুতে বলেছিলাম Level 10 এর কথা। আসলে এটা HellMyth গেমের একেকটি লেভেল। তবে ভিন্ন একটি গেম। দিস ইজ আ প্রটেক্টিং গেম। "প্রটেক্টিং গেম! এটা আবার কেমন ধরনের গেম?" জানতে হলে পড়তে হবে, এতোকিছু লেখা মুশকিল! শব্দ সংখ‍্যা বেড়ে যাচ্ছে। সংক্ষেপে বলতে গেলে, গেমটি না খেললে চেয়ে চেয়ে দেখতে হবে অসংখ্য মৃত‍্যু আর খেললে মানতে হবে ১৫টি কঠিণ শর্ত। এই অবস্থায় আপনি কী করবেন? খেলোয়ারকে শর্ত মেনেই মোট দশটি লেভেল পার হতে হবে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ‍্যে পুঁজিবাদের হাত থেকে সাধারণ কোনো ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করতে হবে। নয়তো ভুক্তভোগীর মৃত‍্যু অনিবার্য এবং এই দশটি লেভেলের মধ‍্যে দুটি লেভেল ব‍্যর্থ হলে অফিসিয়াল ইনভেস্টিগেটর আবরার ফাহাদেরও মৃত‍্যু হবে। কী গা ছমছমে ব‍্যপার! সে কী পারবে ? প্রত‍্যেকটি ঘটনা পড়ার সময় আপনাকে টানবে, এরপর কী হবে? এর পর কী হবে? ঐ গেম মেকাররাই বা কে? আবরার ফাহাদ কী পারবে প্রতিটি লেভেল পার হতে? "ঐ মুখোশের আড়ালের গেম ডেভলপারদের মুখোশ উন্মোচন করতে?, সে কি পারবে!" জানতে হলে পড়তে হবে। "ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্স " ছিলো সিরিয়াল কিলিং তবে এটা ঠিক জীবন উদ্ধার বা রক্ষা বলতে পারি। আর "আবরার (পুষ্পা)! মে ঝুকেগা নাহি ছালা" "মানুষের জন্মের প্রক্রিয়ায় নতুন প্রাণ পৃথিবীতে আনার মতোই আরেক অনুভূতির আকর হলো কোনো মরণাপন্ন মানুষের প্রাণ বাঁচানো।" কিন্তু আমি সিঙ্গেল বলেই গল্পের কোনো অংশে "অবন্তি আর আবরারের মিলন দেখতে চাচ্ছিলাম"। "মিলন হবে কত দিনে?" কী ক্ষতি হতো যদি তাদের মিলন ঘটতো! লেখক চাইলেই অবন্তি আর আবরারের বিয়ে দিতে পারতেন। কিন্তু দেন নাই। এজন‍্য আমার অভিমান, এজন‍্যই ১ রেটিং কম দেবো। হা হা হা বই : অ‍্যাকিলিসের টেন্ডন লেখক : মালিহা তাবাসসুম প্রকাশক : অধ‍্যয়ন প্রকাশনী প্রচ্ছদ : সাদাত উজ জামান পৃষ্ঠা : ১৯২ মূল‍্য : ৪০০ টাকা
    June 20, 2022
মালিহা তাবাসসুম
লেখকের জীবনী
মালিহা তাবাসসুম (Maliha Tabassum)

মালিহা তাবাসসুমের জন্ম ১৯৯৯ সালের ১৯ শে নভেম্বর রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ আল মানার হাসপাতালে ঠিক ভোর চারটায়। বাবা মোহাম্মদ আব্দুল মালেক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত, মা তাসলিমা খান কেয়া লেখালেখি করেছেন যুগান্তরসহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়। ছোটবেলায় পত্রপত্রিকায় টুকটাক লেখার মাধ্যমে লেখালেখিতে হাতেখড়ি। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসি এবং এইচএসসি পাশ করে বর্তমানে মালিহা এমবিবিএস পরছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে। মেডিকেলের মত কারাগারে থেকেও সৃজনশীল কাজের প্রতিটি ক্ষেত্রও চুম্বকের মত আকর্ষণ করে তাকে। ক্ল্যাসিকাল সংগীত এবং আবৃত্তিতে জাতীয় পর্যায়ে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন ২০১৫ সালে। তবে লেখালেখির প্রতি ভালোবাসা অম্লান এত কাজের মাঝে। ২০১৯ এবং ২০২০ সালে একুশে বইমেলায় প্রকাশিত পরপর দুটো স্পাই থ্রিলার এবং সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার বেশ পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করলেও তৃতীয় উপন্যাস এবং প্রথম মেডিক্যাল থ্রিলার ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্স দিয়ে মালিহা পুরো বাংলাদেশে সাড়া ফেলে দেন। ডাক্তারির পাশাপাশি মালিহা চান আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন একজন লেখক এবং নির্মাতা হিসেবে সাহিত্যাঙ্গন এবং মেইনস্ট্রিম মিডিয়ায় বিচরণ করতে।

সংশ্লিষ্ট বই