"আবেগের জলডুবি"বইয়ের প্রচ্ছদ থেকে নেওয়া:রিপন বড়ােবাবুকে পরিষ্কার গ্লাসে পানি দেয়। পানি খেতে গিয়ে তিনি দেখে, তাতে রক্ত পঁচা দুর্গন্ধ। কিভাবে সম্ভব! ট্যাংকি পরিদর্শন করা হলাে। ট্যাংকির পানি পরিষ্কার। রহস্য উন্মােচনে পানির নমুনা ল্যাবে পাঠানাে হয়। এদিকে গতরাতে সন্ত্রাসী নাইড়াবাবু খুন হয়েছে। খুনিরা দেহ থেকে মাংস কেটে নিয়ে গেছে। নাইড়াবাবুর সর্বশেষ মামলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল রঘুকে। রঘু এ উপন্যাসের নায়ক। রঘু বুদ্ধিমান, পরিশ্রমী, সাহসী, বিনয়ী। অসুস্থ মায়ের জন্য আনা রক্ত দিয়ে বড়ােবাবুর স্ত্রীর অপারেশনের সুযােগ করে দেয় রঘু। সেই সুবাদে বড়ােবাবুর সাথে তার পরিচয়।। ডিবি অফিসে চাকরি পাওয়ার পর থেকে অনেকগুলাে অপারেশনের সফলতা এখন রঘুর ঝুলিতে। রিপন ও রঘু খুবই ঘনিষ্ঠ বন্ধু। একজনের আরেকজনকে ছাড়া চলে না। মহিউদ্দিন বড়ােবাবুর সেবক। রঘুকে খুবই পছন্দ করে।। ঘটনার পরদিন ডিবি অফিসের পাশের ডাস্টবিন থেকে ব্যাগভরতি মানুষের কাটা শরীর উদ্ধার হয়। এ নিয়ে মিডিয়াপাড়া তােলপাড়। নড়েচড়ে বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-সহ আইনব্যবস্থা। সিসিক্যামেরার ফুটেজ দেখে রঘুকে গ্রেফতার করা হয়। নানান চড়াই-উতরাই পেরিয়ে অবশেষে রঘু জামিনে বের হয়। প্রজাপতি এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র। প্রজাপতি রূপবতী। যার রূপ দেখে রিপন রঘুর এত বছরের বন্ধুত্বকে জলাঞ্জলি দেয়। তাকে বিয়ে করার জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করে। চাকরি ছাড়ে। অবৈধ টাকা দিয়ে গাড়ি কেনে। বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যায়। কিন্তু রিপন কিছুতেই প্রজাপতিকে মুগ্ধ করতে পারে না। এদিকে এক পাহাড় কষ্ট বুকে নিয়ে প্রজাপতি নিজেকে মেরে ফেলতে চায়। তার সাথে রঘুর পরিচয় ফেসবুকে। মুখােমুখি দেখা হয়নি কখনাে। রঘু প্রজাপতিকে নিয়ে সংসার করতে চায়। প্রজাপতি না চাইলেও, রঘুর দর্শনীয় কথাগুলাে ওর ভালাে লাগে। দুজন সিলেটে দেখা করে প্রজাপতি তার কষ্টের কারণ বলে এবং নিজেকে খুন করার জন্য রঘুকে অনুরােধ করে। রঘু প্রজাপতিকে জীবনঘনিষ্ঠ দারুণ কিছু কথা বলে। এরই নেপথ্যে শুরু হয় নতুন কাহিনি।
জামশেদ নাজিম এর আবেগের জলডুবি এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 240.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Abeger Joldubi by Jamshed Nazimis now available in boiferry for only 240.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.