পাখি গান গায়। নদী সুর তুলে ছুটে যায় । আর ঠিক তেমনই রুপু ছড়া লেখে। যদিও লিখলেই সবলেখা ছড়া হয়ে ওঠে। না। কপুর ছড়া বাদামভাজার মতাে ছটফটে। মুড়িভর্তার মতাে ঝাল। আর চানাচুরের মতাে মচমচে। সুস্বাদু সব ছড়া। রসগােল্লার মতাে মিষ্টি ছড়াগুলাে পড়তে পড়তে আনন্দে মন নেচে ওঠে। রুপুর ছড়া রুপুর মতােই। এর ভালাে-মন্দ বিচার করার দরকার কি? পড়তে ভালাে লাগে। মন ভরে যায়। এখানেই আদিত্য রুপুর ছড়া আলাদা। বৈশিষ্ট্যে জ্বলজ্বল করে। যারা চুলচেরা সমালােচনা করে, যারা অকারণে বড় বড় স্বপ্ন দ্যাখে, যারা উন্নাসিক, যারা নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করে তারা হয়তাে রুপুর ছড়ার জগতে প্রবেশ করতে পারবেন না। তারা উপহাস করতে চাইবেন। তারা মেনে নিতে পারবেন না যে রুপু ভালাে ছড়া লেখেন। ছড়া কি সেটা রুপু হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করেন। যারা সরল, যারা বুদ্ধিদীপ্ত, যারা ভালােবাসতে জানে, যারা পরের উন্নতিতে খুশি হা- তারাই প্রাণ ভরে উপভােগ করবে রুপুর ছড়া। যারা হৃদয়বান, যাদের ভেতর ভণিতা নেই- তারা আদিত্য রুপুর ছড়ার অন্তরকে স্পর্শ করতে পারবে। আমি রুপুর ছড়ার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণে যেতে আগ্রহী নই। রুপুর ছড়া একান্তই, আদিত্য রুপুর মতাে। এসব ছড়ায় আদি ছড়াকারদের প্রভাব নেই বললেই চলে। যে ছড়ার উত্তরপুরুষ কিংবা পূর্বপুরুষ নেই- সে সব ছড়ার আলাদা মূল্য থাকে।