সানজিদা আয়েশা সিফার জন্ম এবং বেড়ে উঠা পটুয়াখালীতে। এইচ এস সি পর্যন্ত নিজ জেলায় পড়াশুনা করার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আই ই আরে ভর্তি হন এবং অনার্স মাস্টার্স সেখান থেকে সম্পন্ন করার পর এখন আই ই আরেই এম ফিল করছেন। পঞ্চম, অষ্টম, এস এস সি, এইচ এস সি প্রতিটি পরীক্ষায় বৃত্তিসহ অনার্স, মাস্টার্স এবং সম্প্রতি প্রকাশিত এম ফিলের ফলাফলও কৃতিত্বপূর্ণ। শিক্ষাজীবনে জীবনে বিতর্ক, আবৃত্তিসহ নানা সহশিক্ষাক্রমিক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত ছিলেন। লেখালেখির শুরু স্কুলজীবনে হলেও আনুষ্ঠানিক ছোটগল্পের বই পঞ্চাশ টাকা প্রথম আসে ২০১৮ সালের বইমেলায়। ২০১৯ এ প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস "অপরাজিতা ছাত্রীনিবাস"। বই পড়া তার সব চেয়ে প্রিয় কাজ। লেখক এবং ভালোমানুষ এই হিসেবে বেঁচে থাকতে চান মৃত্যুর আগে এবং পরে। যা যা কিছু ভালো তার সব কিছুই আমি হতে চেয়েছি।আস্তে আস্তে সে সব চাওয়াগুলো পরিবর্তিত হয়েছে। তবে এক সময় আমার অবচেতনে অক্ষর কথা বলতে শুরু করলো।বললো, এই যে আমাদের দেখতে পাও না?আমি তাদের কথা খেয়াল করলাম,মন দিয়ে শুনলাম তাদের নীরব ভাষা।অন্তর্গতভাবে এক অনুভবের জন্ম হলো, আমি অক্ষরগুলোকে ভালোবাসলাম, বুঝলাম আমি আসলে একজন লেখক হতে চাই! গতবছর পঞ্চাশ টাকা নামের ছোটগল্প দিয়ে লেখার আনুষ্ঠানিক পথে হাঁটা শুরু করলাম।প্রথম বই হলেও মোটামুটি হোঁচট ছাড়াই হাঁটতে পেরেছে। অপরাজিতা ছাত্রীনিবাস প্রথম উপন্যাস। পঞ্চম,অষ্টম,এস এস সি, এইচ এস সি সবগুলো পর্যায়ে বৃত্তি ছিলো।আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আই ই আরে অনার্স,মাস্টার্স দুটোতে প্রথম শ্রেণী।তাই পড়াশুনার ইচ্ছেটা আরো প্রলম্বিত করছি।এম ফিল করছি আই ই আরেই।যদি সব ঠিক থাকে তবে আরো পড়াশোনার ইচ্ছে আছে। একজন শিক্ষার্থী,একজন লেখক এই গন্ডীতে থাকতে চাই।তবে সব কিছুর শেষে আমি এমনভাবে বাঁচতে চাই যাতে আমার মৃত্যুর পর সবাই বলতে পারে, সে একজন সৎ,ভালো মানুষ ছিলো।