সালটা উনিশশো নিরাননব্বই। বছরের শ্রাবণ তখন নিজের অস্থিত্বের কথা জানান দিচ্ছে। আর সেই শ্রাবণের এক জুম্মার দিনে খুদবার আযানের মধ্যবর্তী সময়ে পৃথিবীতে আগমনের সৌভাগ্য হয় সাহাদাত হোসেনের। ধর্মীয় অনুভূতির জায়গা থেকে অনড় থেকে বেড়ে উঠেন তিনি। পবত্রি কোর’আন তর্জমা পড়ে আকৃষ্ট হতে থাকে দর্শনের প্রতি। উদ্বুদ্ধ হন সেই চর্চাতেও। তবে দেশটাকে দেখার অভিলাষে কাল বিলম্ব না করে প্যাডেলে পা রাখতেও তিনি দেরি করেননি। শুধু সাইকেল চালিয়েই ভ্রমণ করেছেন দেশের দারুণ আর দৃষ্টিনন্দন সব জায়গা। স্বভাবতই তিনি চুপ থাকতে পছন্দ করেন। ভালোবাসেন স্বপ্ন দেখতে আর তা পূরণ করতে। বর্ণিত বিষয়গুলো তার একার মাঝে নিমজ্জিত থাকলেও মানুষ তাকে জানতে শুরু করে তার সৃজনীতে। যাত্রা শুরু হয় প্রচ্ছদ শিল্পী হিসেবে। ২০২০ সালের একুশে বইমেলাকে কেন্দ্র করেই তাকে করতে হয়েছে শ’খানেক প্রচ্ছদ। সেই সাথে কবিতার চর্চায় ব্যস্ত হতে শুরু করেন। কবিতা পড়েন, লিখেনও। কিন্তু কবি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবেন তা হয়ত তখনই ভাবেননি। একটা সময় তার প্রচেষ্টা তাকে কবি হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে। তিনি লিখেও ফেলেন দুর্দান্ত কিছু কবিতা যা পাঠকের হৃদয়কে গ্রাস করেছে। তিনি তার কবিতায় মেটাফর, এপোক্যালিপস, পোর্টের্ট, নেক্রোপলিসের গল্প ফুটিয়ে তুলতে পছন্দ করেন। কবির এই প্রচেষ্টা আমৃত্যু তাকে অনড় করে রাখবে।