রাশেদা খালেক সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার ডিগ্রিরচর গ্রামে নানাবাড়িতে ১৯৪৫ সালের ২৭ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। পিতামাে. রমজান আলি। মাতা- মােসা. হালিমা খাতুন। স্বামী- প্রফেসর ড. আবদুল খালেক। রাশেদা খালেক বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে এম.এ. ডিগ্রি লাভ করেছেন। ষাটের দশক থেকে তিনি সাহিত্যচর্চা করে আসছেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থাবলি- অন্তরে অনিবার্ণ (গল্পগ্রন্থ-২০০২), আমার দেখা জেনেভা ও প্যারিস (ভ্রমণ কাহিনি-২০১০), একাত্তরের বীরাঙ্গনা (গল্পগ্রন্থ-২০১৩), কান পেতে রই (কাব্যগ্রন্থ-২০১৪)। সম্পাদনা গ্রন্থআপন ভুবনে বৈরী বাতাস (২০০৮), একাত্তরের আঙিনায় (২০১০), অন্তর সুবাস (২০১২), রাজশাহীর সাহিত্যাঙ্গনে আলােকিত নারী (২০১৪), আটপৌরে গপপাে (২০১৫)। যৌথ প্রকাশনা-৪০টি। প্রবন্ধ সংখ্যা-৭০টি। জাতীয় দৈনিক এবং বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তিনি নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন। সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান হতে ১৩টি শুভেচ্ছা স্মারক, গুণিজন সংবর্ধনা, সম্মাননা ও পদক লাভ করেছেন। রাশেদা খালেক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নার্সারী ও জুনিয়র স্কুলের (বর্তমানে শেখ রাসেল মডেল স্কুল) প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ। তিনি রাজশাহী আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত সহকারি অধ্যাপক। বর্তমানে নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি রাজশাহীর উদ্যোক্তা ও ট্রাস্টি বাের্ডের চেয়ারম্যান। বাংলাদেশ বেতার রাজশাহীর শিশুমেলা' আসর গ্রন্থনা ও পরিচালনা করে আসছেন আশির দশক থেকে। এছাড়াও বিভিন্ন জাতীয় দিবস, সাহিত্য আসরও তিনি পরিচালনা করে থাকেন। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ, ধানসিঁড়ি সাহিত্য পরিষদ, সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতি সহ বহু প্রগতিপন্থী সংগঠনের সঙ্গে তিনি জড়িত আছেন। ভ্রমণ পিপাসু রাশেদা খালেক ভারতবর্ষ ছাড়াও সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, ব্যাংকক ও অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ করেছেন।