শৈশবেই পিতৃহীন কামরুল হাসানের জন্ম ২২শে ডিসেম্বর, ১৯৬১। শৈশব ও কৈশাের কাটে শরীয়তপুরে। মামাবাড়ির উদার ও শিক্ষাবান্ধব পরিবেশে তার বিকাশ। ছাত্রজীবনে মেধাবী কামরুল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার মেধা তালিকায় স্থানলাভ করেছিলেন। চিকিৎসক হবার আকাঙ্ক্ষায় ভর্তি হয়েছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিতান্ত। আবেগতাড়িত হয়ে মেডিকেল পড়াশােনা ছেড়ে সরকারি বৃত্তি নিয়ে চলে যান ভারতে। সেখানকার বিখ্যাত আইআইটি খড়গপুরে অধ্যয়ন করেন বিমান প্রকৌশলবিদ্যায় । পরবর্তী পড়াশােনা ব্যবসায় প্রশাসনে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে এমবিএ। এ ছাড়া তিনি যুক্তরাজ্যের দুটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। কর্মজীবনের শুরুতে যােগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশ বিমানে, প্রকৌশল প্রশিক্ষক হিসেবে। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাপক হিসেবে। বহুবার চাকরি বদল করে উপলব্ধি করেন কর্পোরেট জগতে তিনি বেমানান। তখন যােগ দেন শিক্ষকতায়। ভ্রমণপিপাসু কামরুল হাসানের প্রথম ভ্রমণকথা বিলেতের দিনলিপি। উজবেকিস্তান ভ্রমণের উপর লিখেছেন আমির তিমুরের দেশে। জীবনসঙ্গী লুবনা হাসান ও বিশ্ববিদ্যালয়গামী চার সন্তান নিয়ে তার সংসার।