ডা. মাহমুদ হাসান ঢাকা মেডিকেল কলেজের স্নাতক (১৯৮৪) এবং সরকারী (বিসিএস) পদে নানা হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হিসেবে তিনি দ্বায়িত্ব পালন করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজে এসিষ্টান্ট রেজিষ্ট্রার (সিএ) পদে কর্তব্যরত থাকাকালে ১৯৯২ সালে জাপান সরকার তাকে উচ্চতর শিক্ষার জন্য মনোনয়ন দিলে ডা. হাসান জাপানের কানাযাওয়া ইউনিভার্সিটিতে গবেষণা ফেলো হিসেবে যোগ দেন। ১৯৯৩-এ পিএইচডি কোর্সে অংশ নেবার যোগ্যতা অর্জন করে ১৯৯৭-এ নিউরসার্জারীতে উচ্চতর প্রশিক্ষণসহ পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। একই বছর আমারিকার বষ্টনের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে ফেলো পদে নিয়োগ দেন। ১৯৯৮-এ কংগ্রেস অব নিউরোলজিকাল সার্জন্স (CNS) ডা. হাসানকে ইন্টারন্যাশনাল ফেলোশীপ এওয়ার্ড প্রদান করে এবং তিনি ফিনিক্সের ব্যারো নিউরলজিক্যাল ইন্সটিটিউটে (BNI) ফেলো পদে যোগ দেন। ১৯৯৯ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বল্পকালীন চিকিৎসা সেবা দেবার পর আমেরিকার অ্যারিজোনা ইউনিভার্সিটি হাসপাতাল ডা. হাসানকে ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারে পূর্ণ আবাসিক সার্জনের দ্বায়িত্ব দিতে আগ্রহ প্রকাশ করায় ২০০০ সালে তিনি পুনরায় আমেরিকায় ফিরে যান। ২০০৫ সালে ডা. হাসান জরুরী ভিত্তিতে সৌদি আরবে কিং খালেদ সামরিক হাসপাতালে নিউরোসার্জনের প্রয়োজনে সাড়া দিয়ে দ্বায়িত্ব গ্রহণ করেন। অতঃপর ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রায় এক যুগ কাল রয়্যাল কমিশন হাসপাতাল ও ডাঃ সোলায়মান আল-হাবিব হাসপাতাল সহ সৌদি আরবের শীর্ষ স্থানীয় হাসপাতালে এবং কাতারের হামাদ জেনারেল হাসপাতালে কন্সাল্ট্যান্ট নিউরোসার্জনের দ্বায়িত্ব পালন শেষে বাংলাদেশে ইম্পালস হাসপাতালে সিনিয়র কন্সাল্ট্যান্ট নিউরোসার্জনের পদে যোগ দেবার আমন্ত্রণ গ্রহণ করে দেশে ফেরেন। বর্তমানে ডা. হাসান অধ্যাপনার দ্বায়িত্ব সহ চিকিতসাশাস্ত্র বিষয়ে পুস্তক রচনা সহ নানা প্রকাশনার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করার জন্য অ্যারিজোনার ATSU হেলথ সায়েন্স ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।