নজমুল হক নান্ন এম. এ এল.এল বি. অ্যাডভােকেট বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট এবং সাবেক নােটারি পাবলিক। তিনি প্রগতিশীল, অসম্প্রদায়িক এবং সংস্কৃতিমনস্ক পারিবারিক পরিবেশে লালিতপালিত হন। তিনি স্বাধীনতার পূর্বে পূর্ববাংলা ছাত্র ইউনিয়ন এবং স্বাধীনতার পরে বাংলা ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রিয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ৬৯-এর ছাত্র-গণঅভ্যুত্থান ও ১১দফা। আন্দোনের প্রখ্যাত ছাত্রনেতা ছিলেন। তিনি স্বৈরাশাসক আয়ুব বিরােধী ছাত্র আন্দোলনে দু’বার কারাবরণ করেন। তিনি মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে হানাদার পাকিস্তান বাহিনীর কবল থেকে বাংলাদেশের স্বাধানতা অর্জনের জন্য এবং জনগণের গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি ভাসানী ন্যাপের কেন্দ্রিয় কমিটির সাবেক সংস্কৃতি সম্পাদক ও ভাসানী স্মৃতি সংসদের সাবেক সভাপতি ছিলেন । বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘আজকের সংবাদপত্র ও সংবাদপত্রের পাতা থেকে অনুষ্ঠানের শুরু থেকেই তিনি ছিলেন একজন জনপ্রিয় উপস্থাপক। এ ছাড়া বিটিভিতে প্রচারিত গবেষণা ও উন্নয়নমূলক ধারাবাহিক অনুষ্ঠান ‘শতফুল ফুটতে দাও' সহ অন্যান্য বিশেষ অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা ও উপস্থাপনা করেন তিনি এবং বিটিভির বিতর্ক প্রতিযােগীতার বিচারকের দায়িত্ব প্রতিপালন করে সর্বমােট তের বছর। তিনি বিটিভি'র একজন নাট্যকার ও বাংলাদেশ বেতারের নিয়মিত আলােচক ও উপস্থাপক ছিলেন। মির্জা গােলাম হামিদ সভাপতি থাকাকালিন তিনি বাংলাদেশ - চীন মৈত্রি সমিতির মহাসচিব ছিলেন তের বছর এবং বর্তমানে প্রথম সহ-সভাপতি। তিনি চীনের সি পি এ এফসির আমন্ত্রণে মােট তিনবার দেশটির বিভিন্ন প্রদেশ ব্যাপক সফর করেন এবং একপর্যায়ে চীনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও কমিউনিস্ট পার্টি প্রধান। হুয়াে গুয়াে ফেং-এর সাথে চীনের পিপল্স গ্রেট হলে সফরকারী প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে সাক্ষাৎ করেন। তিনি একবার সাত সদস্যবিশিষ্ট চীন সফরকারী প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। তিনি দু’বার উত্তর কোরিয়া ফ্রেন্ডশীপ এসােসিয়েশনের আমন্ত্রণে দেশটি ব্যাপক সফর করেন। তিনি শিল্পকলা একাডেমীর সাবেক পর্ষদ সদস্য। তিনি বাংলাদেশ চলচিত্র সেন্সর বাের্ডের প্রায় চার বছর সদস্য ছিলেন। তিনি বাংলা একাডেমীর জীবন সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসােসিয়েশনের সদস্য। তিনি একজন ফ্রিল্যান্স (আন্তর্জাতিক বিষয়সমূহ) সাংবাদিক ও কলামিস্ট। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত।