ড. মাযহারুল ইসলাম তরু জন্ম ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৮, চাপাইনবাবগঞ্জ শহরে। পিতা : অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, মাতা : তাহেরা ইসলাম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৩ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক সম্মান ও ১৯৯৪ সালে স্নাতকোত্তর এবং ২০০২ সালে পি-এইচ. ডি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯৫ সালে কলেজ শিক্ষকতার মাধ্যমে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন। বর্তমানে তিনি নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজে বাংলা বিভাগের প্রফেসর ও বিভাগীয় প্রধান। ২০০৪ সালের জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে জাতীয় পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক স্বর্ণপদক লাভ করেন। এ ছাড়াও তিনি অর্জন করেছেন, বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সাহিত্য পুরস্কার (২০০০), জাতীয় সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার (২০০৬), গাংচিল সাহিত্য পদক (২০০৮), জাতীয় সাহিত্য পরিষদ পদক (২০০৯), জাতীয় কবি নজরুল সম্মাননা (২০১০), বাংলা সাহিত্য পদক (২০১৪)। পশ্চিম বাংলা থেকে বিসিসিআই আজীবন সম্মাননা (২০১৬), স্বামী বিবেকানন্দ পদক (২০১৭), মহাত্মা গান্ধী স্বর্ণপদক (২০১৮), শেরে বাংলা পদক (২০১৯), মাদার তেরেসা পদক (২০১৯), অক্ষর সাহিত্য সম্মাননা (২০১৯)। তাঁর প্রকাশিত উল্লেখযােগ্য গ্রন্থসমূহ : নবাবগঞ্জ জেলার ইতিকথা (১৯৯০), বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রাচীন কীর্তি (১৯৯৪), চাঁপাইনবাবগঞ্জ : ইতিহাস ও ঐতিহ্য (১৯৯৫), চাঁপাইনবাবগঞ্জের লােকসংস্কৃতি পরিচিতি (১৯৯৯), প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও রচনা (১৯৯৯), বরেন্দ্র অঞ্চলের লােকসংগীত : আলকাপ (২০০৩), আদিবাসী লােকজীবন (২০০৭), গৌড় থেকে চাঁপাই (২০০৭), বাংলাদেশের আদিবাসী সংস্কৃতি (২০০৮), আদিবাসী লােকসাহিত্য (২০০৮), গারাে সম্প্রদায়ের সমাজ ও সংস্কৃতি (২০০৮), হাজার বছরের গম্ভীরা (২০০৮) এবং কলকাতা থেকে প্রকাশিত প্রসঙ্গ লােককথা (২০০৮), উত্তরাঞ্চলের নৃ-গােষ্ঠী সমাজ ও সংস্কৃতি (২০১৫), আন্দোলন সংগ্রামে চাপাইনবাবগঞ্জ (২০১৮), সাঁওতাল সম্প্রদায়ের সমাজ ও সংস্কৃতি (২০১৮), উপমহাদেশের সঙ্গীত চর্চার গতি-প্রকৃতি (২০১৮), হাজং সম্প্রদায়ের সমাজ ও সংস্কৃতি (২০১৮)।