Loading...
মানিক মাহমুদ
লেখকের জীবনী
মানিক মাহমুদ (Manik Mahmud)

আমরাই শুধু কবিতা পড়ি না। কবিতাও আমাদের পড়ে। মানিকের কবিতা আমাদের পড়ে, বলে আমাদেরই গল্প। আমাদের মন খারাপ, আমাদের মন ভালাে কী অবলীলায়। ধরে ফেলে মানিকের কবিতা! পড়তে পড়তে হঠাৎ মনে। হয়- এ তাে আমারই গল্প, জানলাে কী করে লােকটা!” মফস্বলে বেড়ে ওঠা আর দশটা ছেলের মতােই ছিলাে মানিকের কৈশাের। আলাদা করে বলার মতাে নেই কিছু। এরপর ঢাকায় আসা। নটরডেম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চাকরি। বিজ্ঞাপনের গল্প। তবে এই অতি সাধারণ মানিক মাহমুদের জীবন দর্শন অসাধারণ। জীবনকে ভিন্নভাবে দেখার এক জোড়া অদ্ভুত চোখ আছে তার। সেই চোখে ধরা পড়ে মানুষ। মানুষের পাওয়া-না পাওয়া। বলা না বলা।। আমার দেখা মানিক মাহমুদ সংসারেও আছেন, নৈঃশব্দেও। আছেন। ধ্যানেও আছেন, হট্টগােলেও আছেন। অসংসারী মানিক ভীষণ রকম সংসারীও। একজন মানিকের। ভেতরকার এই অসংখ্য মানিক তাই খুব সহজেই পড়ে। ফেলেন আমাদের জীবন যাপন। তার কবিতা আমাদের হাহাকারের কথা বলে। হাহাকার তৈরি করে। প্রেমের কথা বলে। অপ্রেমের কথা শােনায়। ‘প্রেমিকারা সেলাই জানে খুব’ মানিকের প্রথম কাব্যগ্রন্থ। পেশায় বিজ্ঞাপনকর্মী মানিক মাহমুদ কবিতা লেখেন। মিটিং-এ, ব্রেইন স্ট্রমিং সেশনে, দুপুর চায়ের ফাকে, বাড়ি ফিরতি রিকশায়, পূর্ণিমায় কিংবা ব্ল্যাকআউটে। এসব কবিতা হৃদয়ের অসুখ সারানাের আশ্চর্য মলম। কারিগর একজনই।