Loading...
খালেদা হানুম
লেখকের জীবনী
খালেদা হানুম (Khaleda Hanum)

বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের কৃতী শিক্ষক কথাসাহিত্যিক খালেদা হামের জন্ম চল্লিশের দশকে ফটিকছড়ির নানুপুর গ্রামে। তার পিতা এম, এ তাহের, মাতা রহিমা তাহের। পিতামহ মতরজ্জম আবদুস সােবাহান। প্রপিতামহ মুন্সী ফতেহ আলী। তার শিক্ষা জীবন শুরু হয় ডাক বিভাগের কর্মকর্তা পিতার কর্মস্থল মাদারীপুর । এরপর দেশ বিভাগের পূর্বে কিছুকাল ফটিকছড়ির আবু সােবাহান এইচ ই স্কুল এবং ঢাকার বাংলাবাজার বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেন। সেসময় কার্জন হলে অনুষ্ঠিত সভায় গায়ক আব্বাস উদ্দিন, বেগম সুফিয়া কামাল, বেগম শামসুন নাহার মাহমুদ এর সান্নিধ্যে এসে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ার অনুপ্রেরণা লাভ করেন। পঞ্চাশের দশকে তার পিতা চট্টগ্রাম ডাক বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তা হয়ে ফিরে এলে খালেদা হানুম ফিরে আসেন চট্টগ্রামে, ভর্তি হন অপর্নাচরণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণীতে। সেসময় তিনি লেখালেখির তাগিদ অনুভব করেন। আর খালেদা হানুমের এ সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে অনুপ্রেরণার জল ঢেলে গেছেন মা। বাবা এবং বড়ভাই এম এস মাহমুদ। তার প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় কলকাতার সত্যযুগ পত্রিকার ছােটদের মজলিশে, পাশাপাশি সংবাদের ‘খেলাঘরে। একই সময়েই ছােটদের উপযােগী দুটো নাটক লেখেন তিনি। তারই পরিচালনায় একটি চট্টগ্রামের সেন্ট স্কলাসটিকা স্কুলে অভিনীত হয়। দ্বিতীয়টিতে তিনি অভিনয় করেন। ১৯৫৪ সালে খালেদা হানুম কৃতীত্বের সঙ্গে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ন হয়ে চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হন। সেসময় কলেজে প্রতিমাসের সাংস্কৃতিক বৈঠকে গল্পপাঠের আসরে তার ছিল নিয়মিত অংশগ্রহন। ১৯৫৫ সালে গল্পরচনা প্রতিযেগিতায় তিনি পুরস্কৃত হন। এতে বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যিক আবুল ফজল। এ ছাড়া ১৯৬১ সালে তিনি চট্টগ্রামে রবীন্দ্রজন্মশতবার্ষিকী ও নজরুল হীরক জয়ন্তী উৎসবে আবৃত্তি ও আলােচনায় অংশ গ্রহন করে সুধীজনের প্রশংসা অর্জন করেন। ১৯৬৩ সালে তিনি চট্টগ্রাম কলেজ থেকে (ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের অধীনে) বাংলা সাহিত্যে অনার্স সহ বিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ন হন। '৬৮ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম. এ ডিগ্রি লাভ করেন এবং '৬৯ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের প্রভাষক হিসাবে যােগদানের মধ্য দিয়ে শুরু করেন তার শিক্ষকতা জীবন।