Qazi Anwarul Kadir- ছিলেন মুসলিম সাহিত্য-সমাজ এবং বুদ্ধিমুক্তি আন্দোলনের অন্যতম প্রধান কাণ্ডারী। তাঁর জন্ম ১৮৮৭ সালে, আন্দামানের পোর্টব্লেয়ারে। তাঁর বাবা আবদুল কাদীর ছিলেন সেখানকার সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। যশোর জেলা স্কুল থেকে এন্ট্রান্স ও কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বিএ পাশ করার পর আনোয়ারুল কাদীর ১৯১০ সালে যশোর জেলা স্কুলেই সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। এই যশোর জেলা স্কুলে শিক্ষকতাকালে আবুল হুসেনকে তিনি তাঁর ছাত্র হিসেবে পান। এক বছর পরই আনোয়ারুল কাদীর ঢাকা সরকারি মুসলিম হাই স্কুলে সিনিয়র শিক্ষক পদে বদলি হয়ে যান। ঢাকায় অবস্থানকালে তিনি ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজে যুক্তিবিদ্যার অধ্যাপনা ছাড়াও প্রস্তাবিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পেশাল অফিসার স্টেপল্টনের সহকারী ও পরে উপাচার্য পি জে হার্টগের অধীনে তাঁর সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর একে একে তিনি নোয়াখালি, কৃষ্ণনগর, কলকাতা, জলপাইগুড়ি ও বরিশালে স্কুল পরিদর্শক হিসেবে চাকুরি করেন। ১৯৪৬ সালে তিনি সরকারি চাকুরি থেকে অবসর নেন। শিক্ষক হিসেবে বা শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে তিনি যখন যেখানে কর্মরত ছিলেন, সর্বত্র সমান নিষ্ঠায় শিক্ষার্থী, সহকর্মী, ভক্ত-অনুরাগীদের মধ্যে জ্ঞান ও মুক্তচিন্তা চর্চাকে উৎসাহিত করেছেন। সরকারি চাকুরি থেকে অবসর নেওয়ার পরও বরিশালে যে-বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব তিনি গ্রহণ করেন সেখানেও ‘নিজস্ব পদ্ধতিতে আদর্শ ছাত্র’ গড়ে তোলার চেষ্টা চালান। কর্কটরোগে আক্রান্ত হয়ে ১৯৪৮ সালের ৩ নভেম্বর কলকাতা প্রেসিডেন্সি জেনারেল হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।