ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের ভিত তৈরি হয়েছিলো ১৯৫৯ সালে। পূর্ব বাংলায় ইসলামের জ্ঞানের প্রসারের জন্য দুটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছিলো। একটি হলো বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ, এবং আরেকটি দারুল উলুম। এই দারুল উলুম প্রতিষ্ঠার পেছনে মূল লক্ষ্য ছিলো ইসলামকে তথা এর শরীয়াহকে একেবারে প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। ১৯৬০ সালে দারুল উলুমের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ইসলামিক একাডেমি এবং একে করাচির প্রতিষ্ঠান ‘সেন্ট্রাল ইন্সটিটিউট অব ইসলামিক রিসার্চ’ এর আওতাভুক্ত করা হয়। ১৯৭৫ সালের ২২ মার্চ এক অধ্যাদেশবলে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তখন তা ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ নামে নতুন করে জন্মলাভ করে। ইসলামের আদর্শ ও মূল্যবোধকে সদা জাগ্রত রাখতে প্রতিষ্ঠানটি প্রথম থেকেই নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। উল্লেখযোগ্য কিছু উদ্যোগ হলো শিক্ষা ও গণশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা, ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি গঠন, ইসলামিক মিশন প্রতিষ্ঠা, যাকাত ফান্ড গঠন, পাঠাগার তৈরি, মিডিয়া সেন্টার এবং নানা ইসলামিক বইয়ের প্রকাশনা। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বই বলতে মূলত এই প্রতিষ্ঠানটির পৃষ্ঠপোষকতায় যে সকল বই প্রকাশিত হয়েছে সেসকল বইকে বোঝায়। ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বই সমূহ ইসলামের জ্ঞানচর্চাকে ত্বরান্বিত করে আসছে। সাধারণ মুসলিমরা যাতে করে ইসলামের শুদ্ধ জ্ঞানটির খোঁজ পায় সে উদ্দেশ্যেই প্রতিষ্ঠানটির এ মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ। ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বই সমগ্র এর মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো ‘তিরমিযী শরীফ (১ম-৬ষ্ঠ খণ্ড)’, ‘ফাতাওয়া ও মাসাইল ১ম ও ২য় খণ্ড’, ‘আল-কুরআনের বিষয়ভিত্তিক আয়াত’, ‘বুখারী শরীফ’, ‘আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া’, ‘ইসলামী আইন ও আইন বিজ্ঞান’, ‘আল-কুরআনুল করীম (আরবিসহ বঙ্গানুবাদ)’ ইত্যাদি। এছাড়াও এ প্রতিষ্ঠান ইসলাম বিষয়ক গবেষণার জন্য মেধানুসারে পুরস্কার ও পদক প্রদান করে থাকে।