বাংলাদেশের নাট্যজগতে ফেরদৌস হাসান এক অপ্রতিদ্বন্দ্বী নাম। নাট্যকার হওয়ার কারণে তাঁর লেখা কাহিনীতে থাকে ব্যাপক মােচড়। তাঁর উপন্যাস পড়লে ঢুকে যেতে হয় মায়াবী ইন্দ্রজালে। ফেরদৌস হাসান তৈরি করেছেন এক নিজস্ব গল্প বলার ঢঙ। তার লেখা উপন্যাস বা তার তৈরি নাটক দেখলে অনায়াসেই বুঝে ফেলা যায়, এই নাট্যকার বা ঔপন্যাসিকের নাম। বানিয়েছেন পাঁচ হাজারেরও বেশী নাটক। লিখেছেন প্রায় অর্ধশত গল্প, উপন্যাস। নাটকশীতের পাখি, সেই এক গায়েন, ঝুমকা, তেমনি আছি, আমি শিমুলের কাছে, আমার কেবলই রাত হয়ে যায়, একটি নীল জামা, ঝরা পাতাটুকু, নক্ষত্র দিনের গল্প, সাদাকালাে তাঁরই অমর সৃষ্টি। ধারাবাহিক নাটকগুলাের মধ্যে কয়েকটি হল ফেরা, শ্যওলা, সম্পূর্ণ রঙিন, মহানগর, প্রজাপতি দিন, প্রতিদিন একটি গােলাপ, অন্ধকারের ফুল, বন্ধু আমার, মায়া। ইত্যাদি অবিস্মরণীয় । জনপ্রিয় উপন্যাসগুলাের মধ্যে রয়েছে। তােমার বসন্ত দিনে, আমার কেবলই রাত হয়ে যায়, এখানে তােমার আকাশ, বুকের কাছে জল, মায়া, ভালবাসি, সে আমার একলা পাখি, সে অসীমা বলে পাইনি, ঝরা পাতা টুকু। আশির দশক থেকে লিখে আসা তাঁর রচনায় সমসাময়িক বিষয় উঠে আসে চমৎকার নৈপূণ্যতায় । ব্যক্তিজীবনে খুবই সহজসরল জীবনযাপন করেন ফেরদৌস হাসান । বিশ্বাস রাখেন স্রষ্টায় আর খুঁজে বেড়ান তাঁর সান্নিধ্য।