ড. শেখ গাউস মিয়ার জন্ম ১৯৪৫ সালের ২ মার্চ, বাগেরহাট জেলার সদর থানার বাদেকাড়াপাড়া গ্রামে। পিতা শেখ আব্দুল লতিফ, মাতা মেহেরউন্নিসা বেগম। ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগ থেকে অনার্স এবং ১৯৭০ সালে মাস্টার্স করেন। পরে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পি-এইচ,ডি ডিগ্রি পান। কর্মজীবনে তিনি পেশা হিসেবে বেছে নেন অধ্যাপনাকে। অধ্যাপক হিসেবে পাঠদানের সাথে সাথে শুরু থেকেই তিনি সক্রিয়ভাবে লেখালেখির সাথে যুক্ত সাহিত্যের অধ্যাপক হলেও তাঁর প্রিয় বিষয় ইতিহাস। বিশেষ করে আঞ্চলিক ইতিহাস তাঁর সবচেয়ে পছন্দের বিষয়। তার পি এইচডি গবেষণা অভিসন্দর্ভের শিরােনাম ছিল খুলনার লােক সাহিত্যে সমাজ সংস্কৃতি ও ইতিহাসের উপাদান। এ পর্যন্ত স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের পত্র-পত্রিকা ও গবেষণা পত্রিকায় তাঁর প্রকাশিত প্রবন্ধের সংখ্যা চার শতাধিক। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা আট । এগুলাে হল, বাগেরহাট লােক সাহিত্য, বাগেরহাটের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড, বাগেরহাটের। ইতিহাস-দ্বিতীয় খণ্ড, মহানগরী খুলনা : ইতিহাসের আলােকে মুক্তিসংগ্রাম ও স্বাধীনতা যুদ্ধ-বাগেরহাট জেলা, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ-খুলনা জেলা প্রভৃতি। সরকারিভাবে নিয়ােগপ্রাপ্ত হয়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধে আনসার বাহিনী শীর্ষক জাতীয় পর্যায়ের গ্রন্থ। রচনা সমাপ্ত করেছেন। আঞ্চলিক ইতিহাস গবেষণার। স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি এ পর্যন্ত বাংলাদেশ শিশু একাডেমী স্মারক, বাগেরহাট ফাউণ্ডেশন স্বর্ণ পদক, রুমা স্মৃতি পদক, মেয়র পদক-২০০৯ সহ বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক কন্যা সন্তানের জনক। তাঁর স্ত্রী নূরজাহান বেগম একজন শিক্ষিকা। বর্তমানে তিনি খুলনা শহরের বাসিন্দা।