Loading...
ড. এস. এম. আবদুল লতিফ
লেখকের জীবনী
ড. এস. এম. আবদুল লতিফ (Dr. S. M. Abdul Latif)

শিক্ষাবিস্তারে, সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চায় ও সমাজসেবায় নিবেদিত প্রাণ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এস. এম. আবদুল লতিফ জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৩ সালে নাটোর জেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। পিতা : আলহাজ্ব আয়েজউদ্দীন আহমেদ। মাতা বেগম সামসুন নাহার। জন্মস্থান : দয়ারামপুর, পাে: দয়ারামপুর, থানাবাগাতিপাড়া, জেলা : নাটোর। বর্তমান নিবাস তালাইমারী, পাের কাজলা, থানা-বােয়ালিয়া, জেলা : রাজশাহী। শিক্ষা : প্রাথমিক : দয়ারামপুর কুমার বসন্তকুমার এম. ই. স্কুল, দয়ারামপুর, নাটোর। মাধ্যমিক : আড়ানী মনােমমাহিনী এইচ.ই. স্কুল, আড়ানী, রাজশাহী ও সরদহ এইচ.ই. স্কুল, সরদহ, রাজশাহী। উচ্চশিক্ষা : রাজশাহী কলেজ ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকা, লাহাের ও করাচী নিপায় এবং কুমিল্লা ও পেশােয়ার একাডেমীতে শিক্ষা প্রশাসনেও বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। কর্মজীবন : অধ্যাপনা (বাংলা বিভাগ), রাজশাহী মহিলা কলেজ ও রাজশাহী সিটি কলেজ (১৯৫৯১৯৬০), সহ-উপাধ্যক্ষ, রাজশাহী সিটি কলেজ (১৯৬০-১৯৬৩); অধ্যক্ষ, রাজশাহী সিটি কলেজ (১৯৬৩-১৯৭৪); অধ্যাপনা (বাংলাবিভাগ), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৭৪-১৯৯৮)। একজন আদর্শ শিক্ষক, বিদগ্ধ বুদ্ধিজীবী, প্রাবন্ধিক, গবেষক, ছান্দসিক, সমাজ সেবক এবং দক্ষ কলেজ অধ্যক্ষ ও সংগঠক হিসেবে তিনি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছেন। রাজশাহী সিটি কলেজে অধ্যক্ষ থাকাকালীন কলেজটির উন্নতি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য তাঁর কঠোর শ্রম ও সাধনা স্মরণীয় হয়ে আছে। কলেজটি তাঁর জীবনের গৌরবময় কীর্তি। অধ্যক্ষ লতিফের অক্লান্ত শ্রম ও সাধনার ফলেই কলেজটি দেশের একটি খ্যাতনামা কলেজে পরিণত হয়। এছাড়া তাঁর নিজ গ্রামে স্থাপিত দয়ারামপুর হাইস্কুল (বর্তমানে কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্টের অধীনে পরিচালিত পাবলিক স্কুল) এবং রাজশাহীর নওদাপাড়া হাই স্কুল তাঁর কর্মকান্ডের উজ্জ্বল স্বাক্ষর বহন করছে। বাগাতি পাড়া কলেজ (নাটোর), আব্দুলপুর কলেজ (নাটোর), রাজশাহী শাহমখদুম কলেজ, রাজশাহী আর্ট কলেজ (বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত), রাজশাহী সেন্ট্রাল ল কলেজ প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানগুলাের প্রতিষ্ঠালগ্নে তিনি নানাভাবে সাহায্য সহযােগিতা প্রদান করেন। সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রেও অধ্যাপক আবদুল লতিফ বিশেষ অবদান রেখেছেন। Problems of College Education; A Report On Field Trip To The Academy for Rural Development, Comilla; ছন্দ-পরিচিতি; গদ্য শিল্পী মীর মশাররফ হােসেন; রাজশাহীর লােক সংস্কৃতি ও লােক সাহিত্য প্রভৃতি তাঁর উল্লেখযােগ্য রচনা। মূল্যবান গ্রন্থ রচনা ছাড়াও তিনি গবেষণামূলক ও জ্ঞানগর্ভ অনেক প্রবন্ধ রচনা করেছেন। তাঁর রচিত বহু প্রবন্ধ উচ্চমানের গবেষণা পত্রিকাসহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। প্রবন্ধ সমূহে তার গভীর অনুশীলন, অনাবিস্কৃত বা লুপ্ত প্রায় তথ্যের সমাবেশ ও বিশ্লেষণের জন্য সেগুলাে সুধীপাঠক ও গবেষক মহলে সমাদৃত হয়েছে। বরেন্দ্র রিসার্চ মিউজিয়ম’-এর প্রতিষ্ঠাতা কুমার শরকুমার রায় সম্পর্কে তিনি সর্ব প্রথম বিস্তৃত আলােচনা করেছেন। তার প্রবন্ধসমূহ গবেষক ও অনুসন্ধিৎসু ব্যক্তি বর্গের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়েছে। তাঁর লেখায় পরিচ্ছন্ন ও সজাগ দৃষ্টির পরিচয় পাওয়া যায়। সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার পাশা-পাশি অধ্যাপক আবদুল লতিফ তাঁর কর্মবহুল জীবনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং জনকল্যাণমূলক নানা সংগঠন বা সংস্থার সাথে জড়িত থেকে সেগুলাের উন্নতি সাধনে নিরলসভাবে চেষ্টা করেছেন। জনসেবা ও শিক্ষামূলক বহু প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের সাথে এখনাে তিনি সক্রিয়ভাবে জড়িত আছেন। এবং নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। অধ্যাপক আবদুল লতিফের সাহিত্য কর্ম, সমাজ সেবা ও সংগঠন দক্ষতার জন্য বরেন্দ্র একাডেমী, রাজশাহী থেকে ১৯৮৩ সালে তাকে সম্বর্ধনা জ্ঞাপন ও পদক প্রদান করা হয়। গবেষণা ও সাহিত্য কর্মের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৮৬ সালে তিনি উত্তরা সাহিত্য মজলিশ পুরস্কারে ভূষিত হন এবং পদক লাভ করেন।

ড. এস. এম. আবদুল লতিফ এর বইসমূহ