ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন ১৯৪২ সনে হবিগঞ্জের রতনপুর গ্রামে ড. মােহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের জন্ম। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক (সম্মান) এবং এম.এ. পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রের বস্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উন্নয়ন অর্থনীতি বিষয়ে পি.এইচ.ডি ও এম.এ (ডাবল) ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৬৬ সালে তদানীন্তন সিভিল সার্ভিস অব পাকিস্তানে যােগ দেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময়ে তিনি বাংলাদেশের সংবিধান, প্রথম পঞ্চমবার্ষিকী পরিকল্পনা ও ড. কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন রিপাের্ট প্রণয়নের কাজের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি দেশে-বিদেশের অনেক প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন, পরিকল্পনা কমিশন, ইউএনডিপি ও বিআইডিএস। এ ছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি ও আন্তর্জাতিক শিল্প-বাণিজ্য সংস্থার পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য হিসেবে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য ও প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট ছিলেন। বর্তমানে তিনি অর্থনীতি বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করছেন। আইবিএ ও ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদের তিনি চেয়ারম্যান। ড. মােহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর থাকাকালে মুদ্রানীতি, ব্যাংক তদারকি তথা ব্যাংকিং সেক্টরে সংস্কার কাজে হাত দেন, ঋণখেলাপি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন এবং কার্যকর প্রতিরােধ ব্যবস্থা গড়ে তােলেন। তাঁর গৃহীত নীতিমালার ফলে রেমিটেন্স প্রবাহে অগ্রগতি হয় এবং মুদ্রাস্ফীতি ন্যূনতম পর্যায়ে ছিল। দারিদ্র্য নির্মূল ও অসুবিধাগ্রস্ত ডিসঅ্যাবলড ও অটিস্টিক জনগােষ্ঠী বিষয়ে গবেষণা ও লেখালেখি করেন। ব্যক্তিগত জীবনে ড. ফরাসউদ্দিন স্ত্রী আসমা, পুত্র আসফ, কন্যা সােমা, বাবা/জামাতা সুমন, মামনি/পুত্রবধূ তানিয়া ও তিনজন নয়নমণি দৌহিত্র আরমান, রায়ান ও রুশদানকে নিয়ে নির্মল সুখ, শান্তি ও আনন্দে রয়েছেন।