বিরূপাক্ষ পাল নিছকই এক জীবনপুরের পথিক। জন্ম ১৯৬৩-এর বসন্তে। ১৯৭১-এ নালিতাবাড়ী থেকে শরণার্থী হয়ে মেঘালয় গেলেন। তখন থেকেই নিসর্গের সান্নিধ্যে পথচলার আনন্দ। মমতাময়ী মায়ের পাশে থেকে পাঠের অভ্যাস শিক্ষক পিতার প্রেরণায় প্রথম লেখালেখির সূচনা। কনিষ্ঠ ভ্রাতা উৎপলাক্ষের অকাল মৃত্যু তাকে সবচেয়ে বেদনার্ত করে—আবার ক্লান্তিবিহীন এগিয়ে যাওয়ার ডাক দিয়ে যায়।। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির স্নাতক বিরূপাক্ষের প্রথম পেশা গৃহশিক্ষকতা, তারপর ব্যাংকিং। আনন্দ পান নি অসৃজনী ব্যাংকিংয়ের ঘানি টানতে। ছেড়ে দিয়ে রাস্তায় নামেন। মুক্ত লেখালেখি, চুক্তিভিত্তিক গবেষণা, শেষতক সাংবাদিকতা ‘জনকণ্ঠ'-এ। পর্বগুলাে এ পত্রিকাতেই লেখা। অস্ট্রেলিয়া গিয়ে এই বেকারের আবার পথচলা। স্বল্পস্থায়ী সরকারি চাকরি। শেষতক এমবিএ করে আবারও ব্যাংক। এবং আবারও ভালাে না লাগা। চাকরি ছেড়ে আমেরিকায় পাড়ি। নিউইয়র্ক থেকে পিএইচডি শেষ করে কোর্টল্যান্ডের নিউইয়র্ক স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির অধ্যাপনা। সাময়িক ছুটিতে এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ। এক কন্যা ও এক পুত্রের জনক বিরূপাক্ষ তার স্ত্রীর লালনপালন ও প্রশ্রয়ে এত বিচিত্র পথচলার শক্তি পেয়েছেন। তার অন্যান্য গ্রন্থ কি ছিল বিধাতার মনে, মেঘরাজ্যে মন্ত্রীবর্গ, বিতর্ক বীক্ষণ, দ্বন্দ্বসূত্র এবং মুক্তবাজার অর্থনীতি ও বাংলাদেশ।