টাঙ্গাইল জেলার দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তের থানা নাগরপুর। এরই দক্ষিণ সীমানা ঘেঁষা এক নিভৃত পল্লির অজপাড়াগাঁ বাড়িগ্রাম। যোগাযোগ অত্যন্ত নাজুক। এ গ্রামে ষাটের দশকের মাঝামাঝিতে অতি সাধারণ নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আলী হাসান। বাবা মরহুম মারফত আলী ব্যবসায়ী, মা মোছাম্মত জিরাতন্নেছা অত্যন্ত মেধাবী ও হস্তশিল্পে পারদর্শী। মায়ের প্রচেষ্টায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাস্তর অতিক্রম করে নাগরপুর কলেজ থেকে ১৯৮৫ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে অধ্যয়ন শুরু। বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থানকালে বিভিন্ন সাহিত্যকর্ম এবং নাট্যগোষ্ঠির সংস্পর্শে আসার সুযোগ ঘটে। লেখালেখি শুরুও তখন থেকেই। ১৯৮৮ সালে স্নাতক এবং ১৯৮৯ সালে নিউক্লীয় পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর অধ্যাপনা পেশায় নিয়োজিত। বর্তমান গ্রন্থের অনেকগুলো প্রবন্ধ বিভিন্ন সময়ে ড. মুহাম্মদ ইব্রাহীম সম্পাদিত ‘বিজ্ঞান সাময়িকী’, ‘দৈনিক প্রথম আলো’, ‘দৈনিক সমকাল’ পত্রিকায় প্রকাশিত।