হোমিওপ্যাথিকে সচরাচর সবাই যেভাবে দেখে, আমিও তার ব্যতিক্রম ছিলাম না। হয়তো আমার মনোভাবের কোনো পরিবর্তন ঘটতো না- যদি ক্ল্যাসিকাল হোমিওপ্যাথি নামে কিছু আছে, সেটা না জানতে পারতাম । হয়তো সবার মতোই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নেয়ার পর কোনো রোগী মারা গেলে বলতাম ‘লোকটি বিনা চিকিৎসায় মারা গেলো' । আমি জানি সাধারণ মানুষের এমন মনোভাব সম্পর্কে আপনারা ‘হোমিওপ্যাথি চক্রান্তের শিকার এ কথাই বলবেন। কিন্তু আমি কেবল আপনাদের এই গৎবাঁধা কথাটুকুতে সন্তুষ্ট হতে পারবো না। কারণ দেশের বিভিন্ন স্থানে হোমিওপ্যাথি কলেজ থেকে শুরু করে চেম্বার, অধিকাংশ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ও তাদের সাজসজ্জা, বেশভূষা, এমনকি বইপত্রের ভাষা, বানানরীতি সবকিছুতে অজ্ঞতাপ্রসূত এতটাই উপেক্ষা, অবহেলা ও অমনোযোগিতার ছাপ রয়েছে- যা দেখে কোনো আধুনিক সুস্থ-মস্তিকের ব্যক্তি একে সর্বান্তকরণে গ্রহণ করতে পারেন না। জানি অত্যন্ত কঠিন কথা বললাম। কিন্তু এদেশে এটাই সত্য, এটাই বাস্তবতা । অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমি দেখেছি, একজন অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসকের ভাষা বোঝেননা একজন হোমিওপ্যাথ। অ্যানাটমি, ফিজিওলজি বা প্যাথলজিক্যাল শব্দগুলো তাদের কাছে মনে হয় অচেনা-অজানা। আমি হোমিওপ্যাথিক কমিউনিটিতে আরো দেখেছি, সার্জারি নিয়ে কথা বললে নিজেদের অজ্ঞতাকে ঢাকার জন্য একে সর্বৈব অপ্রয়োজনীয় বলে উড়িয়ে দেয়ার মানসিকতা। বলুন তো! দুর্ঘটনায় আহত একজন রোগী যাকে বিশটি সেলাই দিয়ে রক্তপাত প্রতিহত করলে বেঁচে যেতো, কিন্তু সার্জারির প্রতি অজ্ঞতাসূচক বিদ্বেষের কারণে, এ ধরনের একজন রোগী যখন কোনো হোমিওপ্যাথের কাছে গিয়ে মারা যাবে; তখন মানুষ কেন বলবে না যে ‘লোকটি বিনা চিকিৎসায় মারা গেলো!'? তাই শুধু চক্রান্ত নয়, আমার কাছে মনে হয় চক্রান্তের চেয়ে অধিকাংশ হোমিওপ্যাথদের অযোগ্যতাই এদেশে হোমিওপ্যাথির প্রসারে সবচেয়ে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়ে আছে । মহাত্মা হ্যানিমান, হেরিংস, কেন্ট, কাঞ্জিলাল সম্পর্কে জানার পর, শুধু আমি নই- যে কেউ আমার সাথে সহমত পোষণ করে বলবেন- ‘হায়! এসব