আপনি কি গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করার ক্ষেত্রে গড়িমসি ভাব করেন? প্রায়শই অস্থির বোধ করেন? হাতের কাজে মনোযোগ দিতে পারেন না? যেসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জীবনকে উন্নত করতে পারে, সেগুলো কি আপনার ভেতরে কোনো উত্তেজনা সৃষ্টি করে না? যদি ব্যাপারটা এমনই হয়, তাহলে সম্ভবতঃ আপনার ডোপামিন ডিটক্সের প্রয়োজন। বর্তমান বিশ্বে আমাদেরকে বিক্ষিপ্ত করতে পারে এমন উপাদানের অভাব নেই। এগুলোকে এড়িয়ে গিয়ে আমাদের মূল লক্ষ্যে ফোকাস করা খুব কঠিন। এগুলো অবিরত আমাদেরকে প্রভাবিত করে, অস্থির করে তুলে। কেন এমনটা হয়- তা আমরা নিজেরাও জানি না। মূল লক্ষ্যে পৌঁছাতে আমাদের যখন কাজে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন, তখন দেখা যায় আমাদের মনোযোগ অন্য বাজে কাজের দিকে সরে যাচ্ছে। লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য যা করার কথা, আমরা তা করতে পারছি না। বরং বেড়াতে বের হয়ে যাচ্ছি, কফি সপে আড্ডায় মেতে ওঠছি বা তখনই ইমেইলগুলো খুলে দেখার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। চারপাশের সবকিছু তখন আমাদের কাছে দারুণ ভালো লাগার ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। শুধু কর্তব্য কাজটার কথাই মনে থাকে না। আমাদের প্রতিটা দিন এভাবে চলতে থাকার কারণে আমাদের প্রকৃত লক্ষ্য ও উন্নত স্বপ্নগুলো হাত ফসকে বেরিয়ে যাচ্ছে। আমরা সাধ্যমত পারফর্ম করতে পারছি না। আমাদের আত্মসম্মান বোধ কমে যাচ্ছে। জন্ম নিচ্ছে হতাশা, নিরাশা, উদাসীনতা ও ঈর্ষা, এমনকি ক্ষোভ। কিন্তু আমাদের তো এমনটা হবার কথা ছিল না। আমাদেরকে অনবরত বিভ্রান্ত ও বিক্ষিপ্ত করে অস্থির করে তুলে এমন উপাদানগুলোকে যদি আমরা পাশে সরিয়ে রাখতে শিখে যাই, তাহলে অধিকাংশ চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যেগুলো আমরা স্পর্শ করতে পারবো। আর, এরূপ ধারাবাহিকতা আমাদেরকে আরো বেশি উৎপাদনশীল করে তুলবে। ফলে আমরা আরো বেশি সুখি হয়ে ওঠবো। এখন বলুনÑ আপনি কি এসব বাজে বিক্ষিপ্তপণা ছেড়ে দিতে প্রস্তুত? কাজে মনোযোগ ফিরে পেতে চানÑ যেন লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যেতে পারেন? তাহলে ৪৮-ঘণ্টার এই ‘ডোপামিন ডিটক্স’ আপনার জন্য। এর থেকে আপনি যা যা শিখতে পারবেন: কাজের সময় বিক্ষিপ্তপণা দূর করে কী উপায়ে শান্তশিষ্টভাবে কাজে মনোযোগী হওয়া যায়। গড়িমসি না করে অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে যে কাজগুলো করা উচিৎ, সেসব কাজ করার ক্ষেত্রে কীভাবে আপনি নিজ থেকে অনুপ্রাণিত হবেন। অযথা বাজে কাজ করার প্রবণতা ও বিভ্রান্তি কীভাবে দূর করবেন, এবং কাজে ফোকাস করার ক্ষমতা কীভাবে আকাশচুম্বী করবেন, এবং এরকম আরো অনেককিছু। পাঠকবৃন্দ, উপরের যেকোনো একটির প্রতি যদি আপনার আগ্রহ কাজ করে, তাহলে বইটি আপনি পড়তে থাকুন।
ইকিগাই
►বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সারা পৃথিবীতে জাপানের গড় আযু সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। পুরুষদের ৮৫ বছর ও মহিলাদের ৮৭.৩ বছর। অধিকন্তু, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি শতবর্ষী মানুষও জাপানেই বসবাস করেন। জাপানের প্রতি দশ লক্ষ মানুষের মধ্যে ৫২০ জনেরও বেশি শতায়ু প্রাপ্ত হন। (সেপ্টেম্বর-২০১৬ সালের তথ্য অনুযায়ী) ►বর্তমানে বিশ্বে আনুমানিক প্রায় ৩০০ থেকে ৪৫০ জন সুপার-সেনচেনারিয়ান (শতবর্ষী) রয়েছেন। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই জাপানের নাগরিক। জাপানের একটি প্রদেশ রয়েছে ওকিনাওয়া। ঐ প্রদেশেই সবচেয়ে বেশি শতবর্ষীদের বসবাস। সেই প্রদেশে একটা শহর/গ্রাম রয়েছে, যার নাম ‘ওগিমি’। বলতে গেলে ওখানেই অধিকাংশ শতবর্ষীদের বসবাস। ওখানকার মানুষ কেন দীর্ঘজীবনী হয়, এই বিষয়ে অনুসন্ধান করতে এই বইয়ের লেখকদ্বয় সেখানে গিয়ে যা যা অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, তা তা এই বইয়ে লিপিবন্ধ হয়েছে। তাছাড়া, স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য আরো অনেক কথা এই বইয়ে আলোচনা করা হয়েছে, যা মানুষকে দীর্ঘজীবী করে তোলতে পারে। সুতরাং, এই বই সকল বয়সের মানুষের পড়া উচিৎ; কেননা, বইয়ে এমন আরোকিছু আলোচনা করা হয়েছে, যা একটা মানুষকে সফলতায় উদ্বুদ্ধ করতে পারে। ►আপনাদের নিজেদের ‘ইকিগাই’র নিয়ামকগুলো খোঁজে বের করায় সহায়তা করার উদ্দেশ্যে এই বই রচিত হয়েছে। ►যারা নিজেদের ‘ইকিগাই’র সন্ধান পেয়েছে, তাদের জীবন দীর্ঘ ও সুখি হয়েছে বলে জানা গেছে। ►আপনাদের নিজেদের ‘ইকিগাই’র নিয়ামকগুলো খোঁজে বের করায় সহায়তা করার উদ্দেশ্যে এই বই রচিত হয়েছে। ►যারা নিজেদের ‘ইকিগাই’র সন্ধান পেয়েছে, তাদের জীবন দীর্ঘ ও সুখি হয়েছে বলে জানা গেছে। ►এই বইয়ের ভাবানুবাদক বইটিকে অত্যন্ত সাবলীলভাবে উপস্থাপন করেছেন। উল্লেখ্য যে, বইটির গুরুত্ব বিবেচনা করে বইয়ের বিভিন্ন ডিজাইন ও গ্রাফিক্সের কাজ সুন্দরভাবে করা হয়েছে, যা যে-কারোই মনোযোগ আকর্ষণ করবে। নিঃসন্দেহে এটি একটি সেরা অনুবাদ/ভাবানুবাদ এবং সেরা বই।
ফ্রান্সেস্ক মিরালস এর হ্যাপি মাইন্ড প্যাকেজ এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 322.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Happy Mind Package by Francesco Miralesis now available in boiferry for only 322.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.