Ramadan Planner আসন্ন রমাদান উপলক্ষ্যে মুসলিমদের প্রোডাক্টিভিটি ও ডে প্ল্যানিং নিয়ে কাজ করা প্রথম সারির প্রতিষ্ঠান ‘মুসলিম ডে প্ল্যানার’-এর নতুন আয়োজন ‘রমাদান প্ল্যানার’। প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ ১লা মার্চ ২০২৩ ইন-শা-আল্লাহ । আমাদের অন্যান্য প্ল্যানার ও নোটবুকগুলোর মতোই রমাদান প্ল্যানারেও থাকছে, চমৎকার ডিজাইনসহ রুটিনমাফিক কর্ম-পরিকল্পনার ছক। বছরের সেরা মাস রামাদান দোরগোড়ায় চলে এসেছে। তাকওয়া অর্জনের মাস, আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জনের মাস, ক্ষমা ও রহমাতের মাস, রমাদান। এ মাসে সকল ভালো কাজের প্রতিদান বাড়িয়ে দেওয়া হয় বহুগুণে। তাই এ সময় প্রত্যেকেরই নিয়াত থাকে একটু বাড়তি আমল করার । একটি সুন্দর-গুছানো দৈনন্দিন রুটিন, আমলের পরিকল্পনা আপনাকে বহুদূর এগিয়ে যেতে সাহায্য করতে পারে। এই প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখেই মুসলিম ডে প্ল্যানার এবার আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে এক চমৎকার রামাদান প্ল্যানার। রামাদান প্ল্যানারের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করবে রামাদানের চাঁদ দেখার মুহূর্ত থেকে শুরু করে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা পর্যন্ত প্রতিটি কাজ আপনি যেন প্রোডাক্টিভ টাইম ম্যানেজমেন্টের সহিত, প্রতি ওয়াক্ত সালাতের সাথে তাল মিলিয়ে করে যেতে পারেন। আপনার যেন বেখেয়ালে সময়ের অপচয় না হয়ে যায়। আপনি যেন খেই হারিয়ে না ফেলেন অন্য ব্যস্ততায়। এই প্ল্যানারে বিশেষভাবে রমাদানের সারাদিনের অসংখ্য আমল যুক্ত করা হয়েছে। অনেকের পক্ষে নানান ব্যস্ততায় ন্যূনতম আমল করাও অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। তাঁরা হতাশ হবেন না। ইখলাসের সাথে নিয়াত, পরিকল্পনা ও দুআ চালিয়ে যান। আমাদের রব অনেক বারাকাহ ঢেলে দেবেন সবকিছুতে ইন-শা-আল্লাহ। আর যারা অনেক বেশি আমলের সুযোগ পান, তাঁরাও যেন নিজের পছন্দের আমলসমূহ সময়ের সাথে গুছিয়ে করতে পারেন, সে জন্য প্ল্যানারের প্রত্যেক ছকে রাখা হয়েছে পরিকল্পিত খালি ঘর। ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত আপনি কী খাচ্ছেন, কতখানি পানি খাচ্ছেন এর সরাসরি প্রভাব পড়ে আপনার সারাদিনের সিয়াম ও শারীরিক, মানসিক, ঈমানের অবস্থার ওপরে। তাই এই বিষয়টিও আমরা এড়িয়ে যেতে পারিনি রমাদানের প্ল্যানিং-এর ক্ষেত্রে। গুরুত্বপূর্ণ কলাম হিসেবে উঠে এসেছে প্রতিদিনের পরিকল্পনায়। মজবুত ঈমান, সুস্থ শরীর, সুপরিকল্পনা ও কঠোর পরিশ্রম, সর্বোপরি আল্লাহর সাহায্য—এ সবকিছুর সমন্বয়ে আপনি পৌঁছে যাবেন আপনার কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে ইন-শা-আল্লাহ। এ যাত্রায় আপনার সহযোগী হতে চায় আমাদের রমাদান প্ল্যানার।
ফিকহু রমাদান আমাদের প্রিয় রব্বে কারিম রমাদানের সিয়াম আমাদের ওপর ফরজ করেছেন এবং তিনিই আমাদের জন্য এর প্রতিদান দেবেন; কিন্তু রমাদানের সিয়াম-পালনের পূর্বে আমাদের জন্য জরুরি হলো, সিয়াম-বিষয়ক প্রয়োজনীয় মাসআলা-মাসায়িল ভালোভাবে জানা, বোঝা এবং সে অনুযায়ী আমল করা। এটি সকল মুমিনেরই কর্তব্য। কেননা, বিশুদ্ধ নিয়াত ও পদ্ধতিতে সিয়াম-পালন করলেই কেবল আল্লাহ তাআলার কাছে তা গ্রহণযোগ্য হয়ে থাকে। বক্ষ্যমাণ এ গ্রন্থটিতে শাইখ আহমাদ মুসা জিবরীল হাফিজাহুল্লাহ অনেক সুন্দরভাবে রমাদানের বিভিন্ন মাসআলা আলোচনা করেছেন। তিনি হাম্বলী মাযহাবের কিতাবকে সামনে রেখে আলোচনা করলেও মাসআলাগুলো আলোচনা করার ক্ষেত্রে একটি মাযহাবের ওপর সীমাবদ্ধ থাকেননি; বরং তুলনামূলক ফিকহি মাসআলাগুলোও আলোচনা করেছেন। ইমামদের মতামতগুলো তুলে ধরেছেন। এ ক্ষেত্রে হানাফী, মালিকী, শাফিয়ী ও হাম্বলী মাযহাবের ইমামদের মতামতগুলো বিশেষভাবে তুলে ধরেছেন। এরপর কেন ও কীভাবে এই মতগুলো এলো, কোনটি সঠিক হতে পারে ইত্যাদি দেখিয়েছেন। উসুলুল ফিকহ ও তুলনামূলক ফিকহের আলোকে মাসাআলাগুলো তিনি আলোচনা করেছেন। আর এগুলো আলোচনা করতে গিয়ে কখনো জুমহুর উলামায়ে কেরামের মতামতকে প্রাধান্য দিয়েছেন, কখনো হাম্বলী মাযহাবের মুতামাদ মতকে তার নিজ ইজতিহাদি যোগ্যতার আলোকে ভুল বা দুর্বল বলেছেন, আবার কখনো শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়াহ রহিমাহুল্লাহর মতকে দুর্বল বলেছেন, আবার কখনো প্রাধান্য দিয়েছেন। শাইখের এমন বিশ্লেষণধর্মী আলোচনার কারণে, বইটির বিশেষত্ব হলো—এর মাধ্যমে পাঠক এখান থেকে মাসআলা শেখার পাশাপাশি জানতে পারবেন মাসআলাটা কীভাবে এবং কী পদ্ধতিতে এলো। সেই সাথে জানতে পারবেন মুজতাহিদ ইমাম বা উলামায়ের কেরামের মতভিন্নতার দালিলিক ও যৌক্তিক কারণ—যা একজন পাঠককে ভিন্নমতের প্রতি উদার ও সহনশীল হতে সহায়তা করবে।
.