সবকিছু ফুরিয়ে আসে, মুছে যায় সব রঙ। সমাপ্তির পথে ধাবিত হয় সব আয়োজন। ক্ষয়িষ্ণুতাই হলো দুনিয়ার পরম বাস্তবতা। সব গতি ধীর হয়ে আসে, ক্ষীণ হয়ে আসে সব সুর, ম্লান হয় আলোর উজ্জ্বল রোশনিটুকুও। জীবনের পরিণতিও একই—একদিন অকস্মাৎ বেজে যায় বিদায়ের ঘণ্টা। সত্যি সত্যি ফুরিয়ে যায় হায়াতের দিন।
এই কঠিন এবং অলঙ্ঘনীয় পরিণতি দুয়ারে এসে দাঁড়ানোর আগে, আমরা যদি গুছিয়ে নিতে পারি মহাকালের মহাযাত্রার সম্বল, যদি লাভ করতে পারি সুমহান রবের সন্তুষ্টি—তবেই সার্থক একটা মানবজীবন। দুনিয়া হয়তো আমাদের বিস্মৃত হবে, কিন্তু আসমানে আমাদের অভ্যর্থনা জানানো হবে অপার্থিব আয়োজনে। সেই জীবনের দিকে যারা আপনাকে আহ্বান জানায়, নিঃসন্দেহে তারাই আপনার প্রকৃত শুভাকাঙ্খী। হায়াতের দিন ফুরোলে বইটিও আপনার শুভাকাঙ্খীদের দলে নাম লেখাতে চায়...।
বিজয়ের দিনে
মহান রব কুরআন নাযিলের সমাপ্তি টেনেছেন সূরা নাসর দিয়ে। এ সূরায় আল্লাহ শুনিয়েছেন বিজয়ের আগমনি বার্তা। যা মুমিনের হৃদয়কে করে উজ্জীবিত।
আজ থেকে ৬৫০ বছর আগে এ সূরাটিকে নানান আঙ্গিকে ব্যাখ্যা করেছেন ইমাম ইবনু রজব হাম্বলি রহিমাহুল্লাহ। তাতে তিনি আলোচনা করেছেন বিজয়ের আগমন নিয়ে। বিজয় আসার পরে আমাদের করণীয় কী কথা বলেছেন সেসব নিয়েও। কুরআন-সুন্নাহর পাশাপাশি এতে উঠে এসেছে সালফে সালিহীনের কর্মপদ্ধতি নিয়ে কিছু কথা।
বিজয়ের দিনে বইটি হোক আমাদের আগামী বিজয়ের অনুপ্রেরণার স্মারক।
সায়েন্স ফিকশন
বিজ্ঞানের নামে আমাদের যা শোনানো হচ্ছে, তা সবই কি সত্য? নাকি ভারী ভারী গবেষণা আর চটকদার ফলাফলের আড়ালে কোনও ফাঁক-ফোকর লুকিয়ে থাকে? নামকরা সব জার্নালে প্রকাশিত হওয়া সব গবেষণা-পত্রই কি ‘সহীহ’?
আসলে এভাবে বিজ্ঞান-কেন্দ্রিক গবেষণাগুলোকে প্রশ্ন করার চিন্তাও আমাদের মাথায় আসে না। কারণ, ‘গবেষণা’ শব্দটার প্রতিই আমাদের কেমন যেন এক মুগ্ধতা কাজ করে। ‘গবেষণায় পাওয়া গেছে’ বা ‘গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে’ এরকম বাক্য দিয়ে শুরু হওয়া কোনও আর্টিকেল বা প্রবন্ধ-নিবন্ধের ব্যাপারে আমাদের মনে যেন একটা অটোসাজেশন কাজ করে। ভাবখানা এমন যে, বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে পেয়েছেন? তার মানে এটা বিলকুল সহীহ!
অথচ বিজ্ঞানের নামে বিশ্বব্যাপী কত কত ভাঁওতাবাজি ছড়িয়ে আছে তা কি জানেন? গবেষকদের কথামতো ধ্রুবসত্য মেনে বসে আছেন, এমন বহু থিওরির পায়ের তলায় কোনও মাটি নেই! মানে জোরালো তথ্য-প্রমাণ নেই। পক্ষপাত-দুষ্ট, মনগড়া, জোচ্চুরি-করা ওসব গবেষণার ক্ষতিকর প্রভাবটা দিনশেষে পড়ছে মেডিসিন, চিকিৎসা, টেকনোলজি, শিক্ষা, সরকারি নীতি-সহ গুরুত্বপূর্ণ সব সেক্টরে। বিজ্ঞানের অন্ধকার এই দিকটি নিয়ে তেমন কোনও লেখাজোখা চোখে পড়ে না। তবে এ-ব্যাপারে কলম ধরে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তুলেছেন স্টুয়ার্ট রিচি। নিজে একজন গবেষক হওয়ায় গবেষণা-খাতের হাঁড়ির খবর তার কলমে উঠে এসেছে কোনও রাখঢাক ছাড়াই। বাংলায় তার বইটিকে পাঠকদের জন্যে সহজবোধ্য করে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি আমরা। চোয়াল-ঝুলে-পড়া সব বিস্ফোরক তথ্যের অপেক্ষা শুধু পাতা উলটালেই!
আরিফ আজাদ এর সত্যায়নের নতুন তিনটি বই এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 562.80 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Sottayoner New Three Books by Arif Azadis now available in boiferry for only 562.80 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.