ইসলামি সভ্যতায় চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাস
যদিও কিছু পাঠকের ধারণা হতে পারে যে, বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও ফার্মাসিস্টদের জন্য রচিত কিন্তু বাস্তবে তা নয়। কারণ, এই গ্রন্থে আলোচনা করা হয়েছে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাস ও চিকিৎসাবিজ্ঞানে মুসলিমদের গৌরবোজ্জ্বল অবদান। অমূল্য এই গ্রন্থ পাঠে একজন পাঠক মুসলিমদের জ্ঞান-গবেষণা দেখে আশ্চর্য না হয়ে পারবেন না। মুসলিমজাতির জ্ঞান-গবেষণা দেখে আশ্চর্য না হয়ে পারবেন না। মুসলিমজাতির একজন সদস্য হতে পেরে গর্ববোধ করবেন। একই সঙ্গে মুসলিমজাতির হারানো গৌরব ও মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে উজ্জীবিত হবেন। বাস্তবিকপক্ষে বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি একটি কার্যকরী পদক্ষেপ, যার অন্যতম উদ্দেশ্য মুসলিমজাতিকে পুনরায় তাদের সফলতার রাজপথে তুলে আনা
উমাইয়া খেলাফতের ইতিহাস
ইসলামি ইতিহাসের মধ্যে উমাইয়া খেলাফতের ইতিহাস অনেক বিকৃতির শিকার হয়েছে। আদর্শ চার খলিফার রাষ্ট্রনীতি থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন একটি রাজ্যব্যবস্থা হিসাবে উপস্থাপন করা হয় উমাইয়া খেলাফতকে। ফলে স্বভাবতই মানুষের মনে এই ধারণার জন্ম নেয় যে, নববি যুগ ও আদর্শ খলিফাগণের পর ইসলাম স্বরূপে বিদ্যামান থাকেনি। অর্থাৎ খেলাফতে রাশেদা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইসলামি শাসনব্যবস্থারও বিলুপ্তি ঘটে আছে।
মামলুক সালতানাতের ইতিহাস
হিজরি সপ্তম শতাব্দী কাল। আব্বাসি খেলাফত নামেমাত্র প্রতিষ্ঠিত আছে। তাদের উল্লেখযোগ্য কোন প্রভাব-প্রতিপত্তি নেই। এ সময় ইসলামি বিশ্বে রক্তপিপাসু দুর্ধর্ষ তাতারিদের আগমন ঘটে। তাতারিরা আব্বাসি খেলাফতের রাজধানী বাগদাদ দখল করে। খলিফাকে হত্যা করে। ইসলামি শহরগুলোকে একের পর এক পদানত করতে থাকে। মুসলিমদের ওপর চালায় অবর্ণনীয় ও লোমহর্ষক নির্যাতন। তারা মুসলিম নারী-পুরুষ -শিশু সবাইকে হত্যা করে। তাদের হাতে স্রোতের মতো বইতে থাকে মুসলিমদের রক্ত। তাদের গতি রোধ করতে পারে এমন কোন শক্তি ছিল না। তাদের মুখোমুখি হওয়ার হিম্মত কোন রাষ্ট্রের ছিল না। তাদের হাতে একের পরে এক মার খেতে খেতে মুসলিমরা বিশ্বাস করে নিয়েছিল, তাতারিরা অজেয়। এমনকি আরবিতে প্রবাদ রটে গিয়েছিল যে, ইযা কিলা লাকা ইন্নাত তাতারা ইনহাযামু ফালা তুসাদ্দিকু। র্আৎ যদি তোমাকে বলা হয় যে, তাতারিরা পরাজিত হয়েছে, তাহলে তা বিশ্বাস করো না। মুসলিমদের এমনই এক ক্রান্তিলগ্নে পর্বতপ্রতীম মনোবল নিয়ে একটি ইসলামি সালতানাত এগিয়ে আসে। তারা তাতারিদের গতিরোধ করে দাড়ায়। তাদের সাথে সম্মুখ যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। তাদেরকে অত্যন্ত শোচণীয় ভাবে পরাজিত করে। তাদের দম্ভ ও অহংকারকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয় এবং বিশ্বকে জানিয়ে দেয় যে, তাতারিরা অজেয় নয়। এ সালতানাতটি ইতিহাসে ‘মামলুক সালতানাত’ নামে পরিচিত। বক্ষ্যমান গ্রন্থ থেকে পাঠক মামলুক সালতানাত সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করতে সর্ম হবেন।
সময়ের পদরেখায় ফিলিস্তিনের ইতিহাস
নিঃসন্দেহে ফিলিস্তিনিরা আল-কুদসের অধিক হকদার এবং আরবদের ওপর এর রক্ষণাবেক্ষণ ও পুনরুদ্ধারের দায়িত্ব বেশি। কিন্তু আল-কুদস কেবল ফিলিস্তিনিদের নয়। শুধুমাত্র আরবদেরও নয়। বরং আল-কুদস প্রতিটি মুসলিমের। চাই সে পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তের বাসিন্দাই হোক না কেন!
আল-কুদস ও ফিলিস্তিনের পুনরুদ্ধার পৃথিবীর প্রতিটি স্থানের প্রতিটি মুসলিমের দায়িত্ব। চাই সে শাসক হোক বা শাসিত, ধনী হোক বা গরীব, শিক্ষিত হোক বা নিরক্ষর।
সুতরাং হে মুসলিম উম্মাহ, সময় চলে এসেছে, বিপদ সংকেত বেজে গিয়েছে। মসজিদে আকসা তোমাদেরকে ডাকছে। তোমরা জেগে ওঠো এবং আল-কুদস ও মসজিদে আকসাকে উদ্ধার করো।
–ড. ইউসুফ কারজাভি
ফিতনার ইতিহাস
এ গ্রন্থটি ইসলামি ইতিহাসের বেদনাসিক্ত একটি অধ্যায়ের প্রমাণ্যচিত্র। এখানে তুলে ধরা হয়েছে এমন এক মর্মান্তিক ঘটনা কিংবা দুর্ঘটনার কথা, যা আজও মুসলিমদের হৃদয়ে হাহাকার সৃষ্টি করে। যেই ঘটনায় সম্মানিত সাহাবিগণের হাতেই শহিদ হয়েছিলেন অনেক সাহাবি। এই গ্রন্থে আমরা কথা বলেছি ইসলামি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ফিতনা উসমান ইবনে আফফান রা.-এর হত্যাকাণ্ড নিয়ে। আলোচনা করেছি আলি রা. এবং মুআবিয়া রা.-এর মতো সম্মানিত সাহাবিদ্বয়ের মধ্যকার লড়াই নিয়ে। কথা বলেছি এক অনভিপ্রেত ঘটনায় উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সাহাবির শাহাদাত নিয়ে। যা তৎকালীন সময়ে ইসলামের প্রচার-প্রসারের ক্ষেত্রে রেখেছিল বিরাট নেতিবাচক প্রভাব।
ড. রাগিব সারজানি এর মাকতাবাতুল হাসান এর ইতিহাস প্যাকেজ এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 1680.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Maktabatul Hasan Ar Itihash Package by Dr. Raghib Sarjaniis now available in boiferry for only 1680.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.