ইলাহী শাসনে আইন প্রনয়নের উৎস হলাে ওহী। আল্লাহ তা'আলা নবী-রাসূলদের প্রেরণ করে তাদের কাছে কিতাব ও সহীফা অবতরণের মাধ্যমে ঐশী শাসনের সব ধারা উপধারা মূলনীতি আকারে বর্ণনা করে দিয়েছেন। যুগে যুগে প্রেরিত নবী-রাসূলগণ ইলাহী আইনের আওতায় আপন জাতিকে পরিচালনা করেছেন। তাঁদের অনুপস্থিতিতে তাঁদের সংশ্রবপ্রাপ্ত সাচ্চা অনুসারীরাও একি নিয়মে সমাজের শাসন পরিচালনা করেছেন। ইলাহী শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপ্রধান হন স্বয়ং আল্লাহর প্রেরিত নবী-রাসূলগণ। তারা জিবরাঈল (আঃ) এর মধ্যস্থতায় সরাসরি আল্লাহ্ থেকে প্রাপ্ত আইন মােতাবেক শাসন করে থাকেন। সরাসরি ওহীর নির্দেশ ছাড়াও ইলাহী শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপ্রধান আইন প্রয়ােগের ক্ষমতা সংরক্ষণ করে থাকেন। তবে শর্ত হলাে তার প্রণীত আইন স্পষ্ট ওহীর সাংঘর্ষিক হতে পারবেনা। মূলনীতি হিসেবে যেসব স্পষ্ট ওহী এসে থাকে সে আলােকেই ইজতিহাদ বা গবেষণা করে যুগচাহিদার সকল সমস্যার সমাধান তিনি দিতে পারেন। এক্ষেত্রে তাঁর ব্যক্তিগত চাহিদার বিন্দুমাত্র দখল থাকার সম্ভবনা থাকে না। সুতরাং গবেষণালব্ধ আইনগুলােও মানবরচিত মনগড়া কিছু নয়। অধিকন্তু ইলাহী শাসনের রাষ্ট্রপ্রধান তাে স্বয়ং নবীরাসূলগণ। আর তাঁদের ইজতিহাদ বা গবেষণালব্দ আইনগুলােও ওহী। কারণ তাঁরা গবেষণায় ভুল করলে সাথে সাথে আল্লাহর পক্ষ থেকে শুধরে দেয়া হয়। যেমন বদর যুদ্ধের বন্দীদের ব্যাপারে সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে প্রিয় নবী সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইজতিহাদী বিচ্যুতি ঘটলে তৎক্ষণাৎ ওহীর মাধ্যমে শুধরে দেয়া হয়। (দেখুন সূরা আনফাল ৮/৬৭)