মোঙ্গল ও তাতারদের ইতিহাস (১ম খণ্ড)
খিলাফতের পতাকা যখন পুরো পৃথিবীকে আলোকিত ও আলোড়িত করে যাচ্ছিল, ইউরোপীয়রা তখন ক্রুসেডের নামে বিশ্বমানবতার ওপর ধ্বংসযজ্ঞের মহড়া চালায়; এরই মোকাবিলায় উম্মাহ জেগে ওঠে, কালিমার পতাকা হাতে ঘুরে দাঁড়ায়, জিহাদি চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দখলদার শত্রুর শেষ চিহ্নটুকুও মুছে দেয়। ক্রুসেডবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্বের বাগডোর হাতে নেন ইমামুদ্দিন জিনকি, নুরুদ্দিন জিনকি ও সালাহুদ্দিন আইয়ুবি; সঙ্গে ছিলেন ইতিহাসের কিংবদন্তি—আবদুল কাদির জিলানি, ইবনু আসাকির আর ইবনু আসরুন; তাঁদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় জিহাদি আন্দোলন, সুফি আন্দোলন, বুদ্ধিবৃত্তিক সংগ্রাম ও উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ করার মাধ্যমে জিনকিরা ইতিহাসে বিশেষ স্থান দখল করেন। ফলে জিনকিদের ইতিহাস হয়ে ওঠে ক্রুসেডের ইতিহাস। ক্রুসেডের ইতিহাস বুঝতে হলে জিনকিদের উত্থান, নেতৃত্ব ও শাসনকে বুঝতে হবে; বুঝতে হবে জিহাদি চেতনায় জিনকিদের দুর্নিবার ছুটে চলার ফল-প্রতিক্রিয়া। বিশুদ্ধ, সাবলীল আর প্রামাণ্যে মোদিত করে ইতিহাসের এই অধ্যায় নিয়ে হাজির হয়েছেন বিশ্বখ্যাত ইতিহাসবিদ ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি। কালান্তরের অনুবাদ উপস্থাপনায় পড়ুন জিনকি সাম্রাজ্যের ইতিহাস, বাংলাভাষী পাঠকের কাছে এতকাল যা ছিল প্রায় অজানা।
এক. মামলুক কারা
মামলুক শব্দের বহুবচন মামালিক। পূর্ববর্তী যুগ থেকেই বিভিন্ন উদ্দেশ্যে যাদের বেচাকেনা ও সেবাগ্রহণ করা হতাে, সেই দাসশ্রেণিকেই বলা হয় মামলুক। উমাইয়া শাসকদের যুগে ইতিহাসে প্রথমবারের মতাে ইসলামি সাম্রাজ্যের সেনাবাহিনীর সহযােগিতা করেছিল তুর্কি দাসরা। ইমাম তাবারি রাহ. বর্ণনা করেছেন, খােরাসানের উমাইয়া গভর্নর নাসর ইবনু সাইয়ার ১ হাজার তুর্কি দাস কিনে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত করে তাদের ঘােড়ায় চড়িয়ে দিয়েছিলেন। মা-ওয়ারাউন নাহার (Transoxiana) ছিল তুর্কি দাসদের প্রধান উৎসস্থল।১৭ আব্বাসিদের যুগে তুর্কি দাসদের সহযােগিতা সামরিক বিভাগ ছাড়িয়ে অন্যান্য বিভাগেও ছড়িয়ে পড়েছিল। সে কালে ক্রিমিয়া উপদ্বীপ, ককেশাস, কিপচাক, এশিয়া মাইনর, তুর্কিস্তান ও মা-ওয়ারাউন নাহারে দাস বেচাকেনার বাজার বসত। সে-সকল দাসের মধ্যে তুর্কি, সার্কাসিয়ান, রােমক, কুর্দি ও কিছু ইউরােপিয়ানও ছিল। আব্বাসি খলিফামুতাসিম বিল্লাহ প্রথমে মামলুকদের দিয়ে একটি সামরিক ইউনিট গঠন করেন এবং তাদের পারসিক ও আরবদের স্থলাভিষিক্ত করেন। আর এরাই সেনাবাহিনীর তালিকা থেকে আরবদের নাম বিলুপ্ত করে দেয়!
Mongol O Tarader Itihas 2 Part Akotra,Mongol O Tarader Itihas 2 Part Akotra in boiferry,Mongol O Tarader Itihas 2 Part Akotra buy online,Mongol O Tarader Itihas 2 Part Akotra by Dr. Ali Muhammad Sallabi,মোঙ্গল ও তাতারদের ইতিহাস (২খণ্ড একত্রে),মোঙ্গল ও তাতারদের ইতিহাস (২খণ্ড একত্রে) বইফেরীতে,মোঙ্গল ও তাতারদের ইতিহাস (২খণ্ড একত্রে) অনলাইনে কিনুন,ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি এর মোঙ্গল ও তাতারদের ইতিহাস (২খণ্ড একত্রে),Mongol O Tarader Itihas 2 Part Akotra Ebook,Mongol O Tarader Itihas 2 Part Akotra Ebook in BD,Mongol O Tarader Itihas 2 Part Akotra Ebook in Dhaka,Mongol O Tarader Itihas 2 Part Akotra Ebook in Bangladesh,Mongol O Tarader Itihas 2 Part Akotra Ebook in boiferry,মোঙ্গল ও তাতারদের ইতিহাস (২খণ্ড একত্রে) ইবুক,মোঙ্গল ও তাতারদের ইতিহাস (২খণ্ড একত্রে) ইবুক বিডি,মোঙ্গল ও তাতারদের ইতিহাস (২খণ্ড একত্রে) ইবুক ঢাকায়,মোঙ্গল ও তাতারদের ইতিহাস (২খণ্ড একত্রে) ইবুক বাংলাদেশে
ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি এর মোঙ্গল ও তাতারদের ইতিহাস (২খণ্ড একত্রে) এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 705 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Mongol O Tarader Itihas 2 Part Akotra by Dr. Ali Muhammad Sallabiis now available in boiferry for only 705 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
লেখকের জীবনী
ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি (Dr. Ali Muhammad Sallabi)
ফকিহ, রাজনীতিক ও বিশ্বখ্যাত ইতিহাসগবেষক। ইসলামের ইতিহাসের উপর বিশ্লেষণধর্মী তাত্ত্বিক গ্রন্থ রচনা করে দুনিয়াজোড়া খ্যাতি অর্জন করেছেন। এই মহা মনীষী ১৯৬৩ সনে লিবিয়ার বেনগাজি শহরে জন্মগ্রহণ করেন। প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশোনা বেনগাজিতেই করেন। যৌবনের প্রারম্ভেই গাদ্দাফির প্রহসনের শিকার হয়ে শায়খ সাল্লাবি আট বছর বন্দি থাকেন। মুক্তি পাওয়ার পর উচ্চ শিক্ষার জন্য তিনি সাউদি আরব চলে যান। মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দাওয়া ও উসুলুদ্দিন বিভাগ থেকে ১৯৯৩ সনে অনার্স সম্পন্ন করেন। তারপর চলে যান সুদানের উম্মু দুরমান বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে উসুলুদ্দিন অনুষদের তাফসির ও উলুমুল কুরআন বিভাগ থেকে ১৯৯৬ সনে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। সেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ১৯৯৯ সনে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল ‘ফিকহুত তামকিন ফিল কুরআনিল কারিম’। ড. আলি সাল্লাবির রাজনৈতিক দীক্ষাগুরু বিশ্বখ্যাত ফকিহ ও রাজনীতিক ড. ইউসুফ আল কারজাবি। কারজাবির সান্নিধ্য অর্জনে তিনি ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে কাতার গমন করেন। নতুন ধারায় সিরাত ও ইসলামি ইতিহাসের তাত্ত্বিক গ্রন্থ রচনা করে ড. আলি সাল্লাবি অনুসন্ধিৎসু পাঠকের আস্থা ও জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। নবিজির পুর্ণাঙ্গ সিরাত, খুলাফায়ে রাশিদিনের জীবনী, উমাইয়া খিলাফত, আব্বাসি খিলাফত, উসমানি খিলাফতের উত্থান-পতনসহ ইসলামি ইতিহাসের সাড়ে তেরোশ বছরের ইতিহাস তিনি রচনা করেছেন। তা ছাড়া ইসলামি ইতিহাসে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করা ব্যক্তিদের নিয়ে তিনি আলাদা আলাদা গ্রন্থ রচনা করেছেন। ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবির রচনা শুধু ইতিহাসের গতানুগতিক ধারাবর্ণনা নয়; তাঁর রচনায় রয়েছে বিশুদ্ধতার প্রামাণিক গ্রহণযোগ্যতা, জটিল-কঠিন বিষয়ের সাবলীল উপস্থাপনা ও ইতিহাসের আঁকবাঁকের সঙ্গে সমকালীন অবস্থার তুলনীয় শিক্ষা। এই মহা মনীষী সিরাত, ইতিহাস, ফিকহ ও উলুমুল কুরআনের উপর আশির অধিক গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর রচনাবলি ইংরেজি, তুর্কি, ফরাসি, উর্দু ও বাংলা ভাষায় অনূদিত হয়ে পৃথিবীর জ্ঞানগবেষকদের হাতে হাতে পৌঁছে যাচ্ছে। আল্লাহ তাঁকে দীর্ঘ, নিরাপদ ও সুস্থ জীবন দান করুন। আমিন। —সালমান মোহাম্মদ লেখক, অনুবাদক ও সম্পাদক ২৪ মার্চ ২০২০