Loading...

ট্যাটু (হার্ডকভার)

প্যারানরমাল উপন্যাস

স্টক:

৩০০.০০ ২২৫.০০

একসাথে কেনেন

আচমকা একটি গাছের শিকড়ে মারিয়ামের পা আটকে যায়। মাটিকে ছিটকে পড়ে সে। গোড়ালির কিছু অংশ কেটে পা দিয়ে রক্ত ঝরতে লাগল। অদ্ভুত প্রাণীটা তখনো তার দিকে লোভাতুর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। প্রচণ্ড ভয়ে মাথাটা ঘুরে উঠলো। মনে হলো চিনচিনে ব্যথায় জ্ঞান হারাবে। অকস্মাৎ নেকড়েটা এক লাফে তার গায়ের ওপর চলে আসে। মারিয়াম চোখ বন্ধ করে চিৎকার করে ওঠে। কিন্তু না, অনেক সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও তার কিছুই হলো না। কিছুক্ষণ পর ভয়ার্ত চোখে ছটপট করে চারিদিকে তাকালো সে। নেকড়েটা তার সামনে মৃতপ্রায় হয়ে পড়ে আছে। কিন্তু এটা কী করে হলো?
তখনই একটা আলোকরশ্মি তার চোখে এসে পড়ে। অন্ধকারে এই কিঞ্চিৎ আলোও মনে হলো স্বর্গের মতো। মারিয়াম সেই আলোর পথ ধরেই এগুতে থাকে। এভাবে বেশ খানিকটা পথ হেঁটেছে। অতঃপর ঝাপসা চোখে সময়ের সাথে আলোর পরিমাণ কমে আসতে লাগলো।

হঠাৎ করে উজ্জ্বল আলোটা ধপ করে নিভে যায়। চোখের সামনে ভেসে ওঠে এক দানব আকৃতির অদ্ভুত গাছ। গাছের দিকে তাকিয়ে খানিকটা চমকে উঠলো মারিয়াম। গাছের দিক থেকে কিছুতেই যেন চোখ সরাতে পারছে না। মনে হচ্ছে কেউ হাতছানি দিয়ে ডাকছে। অনেকটা সম্মোহনের মতো সেদিকেই আকৃষ্ট হচ্ছে সে। অকম্মাৎ গাছের ভেতর একটা গুপ্ত দরজা ভেসে ওঠেছে। দরজার খোদইকৃত নকশাটা হুবহু মারিয়ামের হাতের ট্যাটুর মতো। মারিয়ামের মনে কিঞ্চিৎ কৌতূহল জন্মে। বেশ আগ্রহ নিয়ে গাছের দিকে এগিয়ে যায়। অদ্ভুত গাছটি তার স্পর্শ পেতেই চোখের সামনে গায়েবি আদেশে গুপ্ত দরজা খুলে দেয়।

মারিয়াম ভয়ে ভয়ে দরজা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। ভেতরটা একটা প্রাসাদের থেকে কম নয়। কিন্তু কেমন যেন গা ছমছমে। কেউ কোথাও নেই। দেয়ালের অদ্ভুত ছবি বা আশেপাশে থাকা অদ্ভুত মূর্তিগুলো ছাড়া আর তেমন কিছুই চোখে পড়লো না। আচমকা একটা কালো বিড়াল তার গায়ে এসে পড়ে। পায়ে জমে থাকা রক্ত চেটে খেতে লাগে। অতঃপর মেঝেতে গড়াগড়ি করতে করতে মারা যায়। কীভাবে কী হলো কিছুই মারিয়ামের বোধগম্য হচ্ছে না। কেউ যেন তার ক্ষতি করতে চাইলে অলৌকিকভাবে ক্ষতি করতে চাওয়া বস্তু বা প্রাণীরই হয়ে যাচ্ছে!
মারিয়াম বুঝে যায়, এই জঙ্গল তার জন্য মোটামুটি নিরাপদ। আচানক তার মনে হতে লাগলো কোনো একটা অদৃশ্য শক্তি তাকে ঘিরে রেখেছে। প্রচন্ড ভয় আর অস্বস্তিতে চিৎকার দিতে গিয়েও ব্যর্থ হলো সে। গলা দিয়ে কোনো শব্দ বের হলো না।
এদবকে চিন্তা জগতে ডুবে আছে মাহদী। এত বীভৎস অপার্থিব শক্তির সাথে মারিয়াম পেরে উঠবে তো?
Tattoo,Tattoo in boiferry,Tattoo buy online,Tattoo by Akhi Akhtar,ট্যাটু,ট্যাটু বইফেরীতে,ট্যাটু অনলাইনে কিনুন,আঁখি আক্তার এর ট্যাটু,978-984-35-469,Tattoo Ebook,Tattoo Ebook in BD,Tattoo Ebook in Dhaka,Tattoo Ebook in Bangladesh,Tattoo Ebook in boiferry,ট্যাটু ইবুক,ট্যাটু ইবুক বিডি,ট্যাটু ইবুক ঢাকায়,ট্যাটু ইবুক বাংলাদেশে
আঁখি আক্তার এর ট্যাটু এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 225.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Tattoo by Akhi Akhtaris now available in boiferry for only 225.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ০ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2023-09-01
প্রকাশনী স্বরবর্ণ প্রকাশনী
ISBN: 978-984-35-469
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

আঁখি আক্তার
লেখকের জীবনী
আঁখি আক্তার (Akhi Akhtar)

লেখক পরিচিতি আঁখি আক্তার। বাস্তববাদী এই লেখিকার জন্ম ৫ মে। ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসনের একটি এঁদো গ্রামে তার বেড়ে ওঠা। তার চিন্তাধারায় গ্রাম্য প্রভাব বিদ্যমান। অবশ্য তিনি ভালোবেসেই এই প্রভাব বয়ে বেড়ান। পিতা আলমগীর খান এবং মাতা জমিলা খাতুন। অনলাইনে তিনি আঁখি আক্তার নামে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেলেও পরিবার কিংবা বন্ধুমহলে আয়েশা নামেই পরিচিত। লেখালিখির ঝোঁক স্কুল জীবন থেকেই। তবে অনলাইন জগতে নতুন করে লেখালিখিতে আত্মপ্রকাশ করেন ২০২০এ। তখন থেকেই বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইন ম্যাগাজিনে তার লেখা প্রকাশিত হতে থাকে। এ পর্যন্ত অনলাইনে তার লিখিত ছোট বড়ো গল্পের সংখ্যা একশটির অধিক। এছাড়াও রয়েছে বেশ কিছু যৌথ বই। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে,গল্প ও কাব্যের প্রেম, অল্প কথার গল্প ২.০,রক্তে ভেজা একুশ,অভিমান ইত্যাদি। তবে একক বই হিসেবে "সুখ পেন্সিল" বইয়ের মধ্য দিয়েই আত্মপ্রকাশ ঘটান। বর্তমানে দুই সন্তানের জননী এবং স্বামী সংসারে তিনি অবসর সময় কাটান বই পড়ে কিংবা পরম যত্নে বইয়ের দারুণ সব ফটোগ্রাফি করে।

সংশ্লিষ্ট বই