রফিক তার আব্বা আম্মার সাথে প্লেন থেকে নামল। জেন্দা ইন্টারন্যাশনাল এয়ার পোর্ট। নতুন তৈরি পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বিমান বন্দর। অপরূপ! * এই বিমান বন্দরের নকশাটি করেছিলেন বাংলাদেশের খুব বিখ্যাত একজন ইঙ্গিনীয়ারি। নাম। zলর বহমান খান।" আব্বার কাছ থেকে এ কথাটা জেনে রফিক খুবই গর্ব অনুভব করে যে, তাদের দেশেরই একনি এই চুমকার নক্শাটা তৈরি করেছেন। এয়ারপাের্ট নয়, ঝলমলে বিরাট একটা শহর যেন। জেদ্দায় এসে ভীষণ অবাক হয়েছে রফিক। কোথায়? আরব দেশের কথা তাে শুনেছে- ধূ ধূ করা বিস্তীর্ণ বালুকা ভরা মন ভূমি। মরুভূমির মাঝে শুধু মরুদ্যান অর্থাৎ খেজুর বাগান, আর গাছপালাবিইনি কেবল শক্ত পাথরের পাহাড়। এখানে আসবার আগে ছােট চাচা মানচিত্রটা খুলে আরবের অবস্থানটা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। “এই যে দেখছিস এশিয়া, এর পশ্চিম প্রান্তে আরব দেশ। উত্তরে দে সিরিয়া ও ইরাক। দক্ষিণে আরব সাগর । পূর্বে ওমান ও পারস্য উপসাগর ও পশ্চিমে লােহিত সাগর। এই লােহিত সাগরের পারেই জেদ্দা সমুদ্র বন্দর ও বিরাট বিমান বন্দর।” ছােটচাচা এ দেশের আয়তন ও লােক সংখ্যার কথাও বলেছিলেন। আয়তন ৯,২৭০০০ বর্গমাইল। লােকসংখ্যা ১৯৮১ সনের হিসেবে ১০,৪০০,০০০ জন। অধিবাসীরা প্রায় সবাই মুসলমান। ছােটচাচা সউদি আরবে যাননি। বইপত্র পড়ে ও জেনে-শুনে সব খবরাখবর দিচ্ছিলেন। বলেছিলেন, “শুনেছি আজকাল ওখানে খুব দ্রুত উন্নতি হচ্ছে। জেদ্দাকে খুব সুন্দর ও আধুনিক শহর করা হয়েছে।” রফিক দেখল, সত্যি তাই।