সন্তান ধারণ আমাদের জৈবিক প্রবৃত্তিগুলাের মধ্যে বহমান মানব সভ্যতার এক অন্যতম। ভিত্তি। এর মধ্যে অস্বাভাবিকত্য কিছু নেই। মায়ের কোল জুড়ে অনাগত শিশুর আগমন বার্তায় মায়েরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন। | আজকের শিশুই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাই সুস্থ সবল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হলে শিশুর প্রতি পরিবারের সকলকেই যত্নবান হতে হবে। একটি শিশুর জীবনে। মা বাবার প্রভাব খুবই বেশি। কিন্তু মায়ের সঙ্গেই শিশুর নাড়ীর সম্পর্ক। এ জন্য শিশুর জীবনে মায়ের প্রভাবই বেশি পড়ে। শিশু যখন মাতৃগর্ভে আসে তখন শারীরিক ও মানসিকভাবে মাকে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। এ সময়ে তাকে চাল-চলন, আচার-আচরণ ও কথাবার্তায় সংযত মনােভাব। পােষণ করতে হবে। কারণ, গর্ভকালীন সময় মায়ের আচার-আচরণ গর্ভস্থ শিশুর দেহ ও মনে প্রতিফলন ঘটায়। গর্ভাবস্থায় মায়ের অত্যধিক উত্তেজনা ও ক্রোধ ইত্যাদি গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতি করতে পারে। তাই মাকে সংযত মনােভাব পােষণ করতে হবে। আমাদের . দেশের অধিকাংশ শিশু মায়ের সহজ ও প্রবৃত্তিগত আদর যত্নে বেড়ে ওঠে। জন্মের মুহূর্ত থেকে আরম্ভ করে বেড়ে ওঠার সময় পর্যন্ত মায়ের স্বাভাবিক স্নেহ-যত্নই শিশুর জন্য সর্বাধিক প্রয়ােজন। এর জন্য বিশেষজ্ঞদের উপদেশের বিশেষ প্রয়ােজন পড়ে না। বর্তমানে অনেক মা বাবা বিশেষজ্ঞদের উপদেশ গ্রহণ করে তাদের চাহিদার অতিরিক্ত প্রয়ােজন মেটাতে আগ্রহী কিন্তু অস্বাভাবিকতা কোন অবস্থাতেই কাম্য নয়। তবে শিশুকে সহজ, স্বাভাবিক ও সুন্দরভাবে গড়ে তােলার জন্য নির্দেশিকার বিশেষ প্রয়োজন আছে। অন্যথায় বিভিন্ন হিতৈষী বন্ধু-বান্ধবের পরামর্শে তারা বিভ্রান্ত হবেন। | প্রবাদ আছে, ‘আদর্শ সন্তান লাভ মা বাবার পুণ্যের ফল'। সন্তান লালন পালনে এই কথাটি মনে রাখলে অনেক দায়িত্ব পালন সহজ হবে।