শ্রেষ্ঠ প্রজন্মের দুনিয়াবিমুখতা
আমাদের আদি-নিবাস ছিল জান্নাত। কোনো এক কারণে আমাদেরকে দুনিয়ায় আসতে হয়েছে। এখান থেকে আমরা আবারও জান্নাতে পাড়ি জমাব ইন শা আল্লাহ। তার আগে জান্নাতে যাওয়ার পাথেয় অর্জন করে যাব এই দুনিয়া থেকেই।
দুঃখের বিষয় হলো, আমরা অনেকেই আমাদের চূড়ান্ত গন্তব্যের কথা ভুলে যাই। অল্প সময়ের জন্য অতিথি হয়ে আসা এই পৃথিবীকেই আমরা চিরস্থায়ী আবাস ভেবে ভুল করি। গন্তব্যের কথা ভুলে গিয়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর মাধ্যমকেই আঁকড়ে ধরি।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই আমাদের জন্যই বলে গিয়েছেন,
‘দুনিয়াতে অপরিচিত হয়ে বসবাস করো, যেন তুমি একজন মুসাফির।’
হ্যাঁ, অস্থায়ী এই দুনিয়াতে আমরা জীবনযাপন করব একজন মুসাফিরের মতো। এই সফরে আমরা জান্নাতের পাথেয় অর্জন করব। জান্নাতের পাথেয় অর্জনের এই সফরে আমাদের সঙ্গী হবে ইমাম বাইহাকি রচিত প্রায় ১০০০ বছর পূর্বের কিতাব ‘আয-যুহদুল কাবীর’। বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি সেটির-ই অনুবাদ।
আল্লাহর বন্ধু ও শয়তানের বন্ধু
অন্ধকার রাতের ন্যায় একের পর এক ফিতনায় ছেয়ে যাচ্ছে আমাদের পৃথিবী। চোখ ধাঁধানো ফিতনার আক্রমণে আমরা হারিয়ে ফেলছি সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকরণ ক্ষমতা। কারা আল্লাহর বন্ধু আর কারা শয়তানের বন্ধু, তা চিহ্নিত করতে গিয়ে ধোঁকায় পতিত হচ্ছি আমরা। আমরা আজ শয়তানের দোসরদের আল্লাহর বন্ধু ভেবে বসি, আর আল্লাহর বন্ধুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হই।আজ থেকে শত শত বছর পূর্বে মহান ইমাম শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যা (রহ.) এই ফিতনার মোকাবিলায় একটি কালজয়ী গ্রন্থ রচনা করে গিয়েছেন। ‘আল-ফুরকান বাইনা আউলিয়া-উর-রহমান ওয়া আউলিয়া-উশ-শাইত্বান’ নামের সেই গ্রন্থে তিনি আলোচনা করেছেন কারা আল্লাহর বন্ধু আর কারা শয়তানের বন্ধু। ঠিক কোন কোন বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হলে একজন ব্যক্তি আল্লাহর বন্ধু হয়ে ওঠে, আর কোন কোন বৈশিষ্ট্যের কারণে একজন ব্যক্তি শয়তানের বন্ধু হয়ে যায়, সেসবের বিস্তারিত আলোচনা করেছেন তিনি সেই গ্রন্থে। বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি সেটিরই বাংলা অনুবাদ।এই বইটি পড়ে আমরা আল্লাহর বন্ধু আর শয়তানের বন্ধু চিহ্নিত করার বেশ কিছু সূত্র জানতে পারব। ঘোর অমানিশার এই সময়ে বইটি আমাদের জন্য ‘ফুরকান’ হবে, এটিই আমাদের প্রত্যাশা ইন শা আল্লাহ।
জীবনকে কাজে লাগান - (মুখতাসার লাতায়িফুল মাআরিফ গ্রন্থের অনুবাদ)
জীবন কী? এ জীবন আমরা কেন পেলাম? পৃথিবীতে কী উদ্দেশ্যে আমাদের পাঠানো হয়েছে?—এসব দার্শনিক প্রশ্নের উত্তর বহুকাল ধরেই মানুষ খুঁজে ফিরছে।
অবশ্য যিনি আমাদের পাঠিয়েছেন, সেই মহান আল্লাহ-ই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে রেখেছেন কুরআন কারীমে। এ পৃথিবীতে মানুষকে পাঠানোর উদ্দেশ্য শুধু তাঁর ইবাদাত করা। স্রেফ এটুকুই, আর কিছু না।
এই ইবাদাতের জন্যে তিনি আয়ুষ্কাল দিয়েছেন। সময়কে ভাগ করে দিয়েছেন বছর-মাস-সপ্তাহ ইত্যাদি এককে। এক সময়ের ওপর আরেক সময়কে শ্রেষ্ঠত্বও দিয়েছেন।
আমাদের এই দুনিয়ার জীবন কিছু ঘণ্টা-মিনিট-সেকেন্ডের সমষ্টি মাত্র। সময়কে উপযুক্ত খাতে ব্যয় করা তথা ইবাদাতে বিনিয়োগ করার মধ্যেই দুনিয়ার জীবনের সার্থকতা। আর এটাই জীবনকে কাজে লাগানো।
কুরআন-সুন্নাহ’র আলোকে জীবনকে কীভাবে কাজে লাগানো যায়, তার একটা প্র্যাক্টিকাল গাইডবুক ‘জীবনকে কাজে লাগান’ বইটি। প্রায় ৭০০ বছর পূর্বে রচিত কিতাব থেকে অনূদিত এই গ্রন্থের পাতায় পাতায় ছড়িয়ে আছে মহান রবের জন্যে বছরের বারোটি মাস কীভাবে নিবেদিত করা যায়, তারই নমুনা। বারো মাসের করণীয়-বর্জনীয়, গুরুত্বপূর্ণ ও প্রাসঙ্গিক আমল, সেগুলোর দলিল-ভিত্তিক আলোচনা—সব মিলিয়ে ইবাদাত-বন্দেগির এক চমৎকার নির্দেশিকা ‘জীবনকে কাজে লাগান’।
আত্মার ওষুধ
‘যে ব্যক্তি সৃষ্টির ভয়ে সৎকাজের আদেশ এবং অসৎকাজে নিষেধকরণ হতে বিরত থাকে, তার মধ্য হতে আনুগত্যের প্রভাব উঠে যায়। ফলে সে যখন নিজ সন্তান কিংবা অধীনস্থদের আদেশ করে, তারা তাকে মান্য করে না।’‘পাপের দরুন বান্দা যে দরজাই খুলতে যায়, তা বন্ধ পায়। সে যে কাজেই হাত দেয়, তা কঠিন হয়ে যায়। অন্যদিকে যে বান্দা আল্লাহকে ভয় করে, তার বিষয়াদি তিনি সহজ করে দেন। অতএব তাকওয়ার বিপরীত পথে চলা মানে ব্যক্তি নিজের কাজকে কঠিন করে ফেলল।’এভাবে একের পর এক পাপের ক্ষতি বলে গেছেন ইমাম ইবনুল-কাইয়্যিম (রহ.) তার এই বইতে। পাপ থেকে বেঁচে থাকতে, আত্মাকে যাবতীয় রোগ বালাই থেকে সুস্থ করতে এটি ওষুধের মতো ভূমিকা পালন করবে ইন শা আল্লাহ।আত্মার এই অপমৃত্যু রোধে নিজেকেই সবার আগে সোচ্চার হতে হয়। নিতে হয় জরুরী ব্যবস্থা। আজ থেকে শত বছর আগে এই বিষয়ে ইমাম ইবনুল-কাইয়্যিম বইটি লেখেন। আত্মার ব্যাধি, রিজিকে সংকীর্ণতা, কাজে কর্মে বরকত হারিয়ে ফেলা, মনের কাঠিন্য, প্রেমরোগ, সমকামিতা, শয়তান এবং তার দোসরদের ঘনিষ্ঠতা—মোট কথা মুমিনের হৃদয়-রাজ্যে আসা কঠিন থেকে কঠিন বিপদ আপদ মূলে যে পাপাচার দায়ী থাকে, সেই পাপের ক্ষতি, পাপের ফাঁদ এবং এ থেকে পরিত্রাণের উপায় সবিস্তারে আলোচনা করা হয়েছে এই বইতে।
ইমাম বাইহাকি রাহিমাহুল্লাহ এর সালাফে সালেহীন প্যাকেজ (মুসাফিরের পাথেয় বইটি ফ্রি) এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 1245.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Salafe Salahin Package by Imam Baihaqi Rahimahullahis now available in boiferry for only 1245.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.