হুমায়ূন আহমেদ এর রূপা এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 160 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Rupa by Humayun Ahmedis now available in boiferry for only 160 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
একসাথে কেনেন
হুমায়ূন আহমেদ এর রূপা এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 160 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Rupa by Humayun Ahmedis now available in boiferry for only 160 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন | হার্ডকভার | ১২৮ পাতা |
---|---|
প্রথম প্রকাশ | 2016-02-02 |
প্রকাশনী | অন্বেষা প্রকাশন |
ISBN: | 9847011601342 |
ভাষা | বাংলা |
ক্রেতার পর্যালোচনা
1-1 থেকে 1 পর্যালোচনা
-
পর্যালোচনা লিখেছেন 'Mijun Uddin Masud'
আমেরিকার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার রাশেদ সাহেব যিনি ঠিকানা ভুল করে চলে এসেছেন রুপার বাসায়। তার আসার কথা ছিল তার ফোনে বিয়ে করা স্ত্রীর বাসায়। এখানে এসে রুপাকে কিছু উপহার দেয়। রুপার বাবা হারুন রশীদ। যিনি পীর ফকিরের খোজে বেড়ান। রহস্য পছন্দ করেন। হয়তো এই কারনে তার রুপার মা তাকে রেখে আরেকজনকে বিয়ে করে। রুপার চাচা সুলতান। মজার একজন মানুষ । যিনি প্রতিটা কথা ২ বার করে রিপিট করেন। একবার ভুল ধরিয়ে দিলে কথাটি ৩ বার করে বলেন। এইকারনে হয়তো রুপা তার সুলতান চাচাকে সহ্য করতে পারে না। তো রাশেদ রুপাকে তুমি করে বললে রুপা রাগ করে তুমি করে বলতে নিষেধ করেন। এই কারনে রাশেদ রাগ করে ওইরাতেই রুপাদের বাসা ত্যাগ করে বৃষ্টিতে ভিজে ভিজেই চলে যান। ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েন। রুপার বাবা মদিনা নামের একটি মেয়েকে বাসায় নিয়ে আসে। যে কি না ঘড়ি না দেখেই বলে দিতে পারে কখন কয়টা বাজে। পরে অবশ্য ডাক্তার বলেন যে এক ধরনের অসুখের কারনে রুপা এরকম বলতে পারে। হাসপাতালে ভর্তি করে দিলেন রাশেদ সাহেবকে কেনতু নামের এক ছেলের বাবা। রাশেদ সাহেব যখন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছেন তখন মদিনা ঠিকই রুপাকে বলে ওনার অবস্থা ভালো না। কিন্তু রুপা পাত্তা দেয না তার কথাকে। অপরদিকে রুপার মা টগরের বাবা নামক মানুষটা যখন আরেকটা মেয়ের নামে ফ্ল্যাট কিনে তখন রুপার কথায় আবার চলে আসে তাদের বাড়িতে। একসময় হাসপাতালের নার্স যখন রুপাকে খবর দেয়। সঙ্গে সঙ্গে রুপা চলে যায় হাসপাতালে। রাশেদ সাহেব সুস্থ হলে রুপা তাকে বাসায় নিয়ে আসে। এরপরে রুপার বাবার সাথে মিল হয় রাশেদের। একসময় রুপার ওপর রাগ করে বাসা থেকে বের হয়ে গেলে রাশেদও চলে যায়। হারুন অবশ্য পরে বাসায় ফিরে আসেন। তার আগের স্ত্রীর বাসায় গেলে তার বাবা তাকে জামাই হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকার করে। তারপরে রাশেদ চলে যায় তার বাবার বাড়িতে। সেখানে তিনি থাকেন। একসময় রুপার বাবাকে চিঠি লখলে রুপা, তার বাবা ও সুলতান সাহেব রাশেদের কাছে যায়। সেখানেই রাশেদ ও রুপার মিল হয়। যেটা আগেই থেকেই মদিনা তার রুপা আপাকে জানিয়ে রাখে। পাঠ প্রতিক্রিয়া : রুপার চরিত্রটা আমার কাছে রসকষহীন মনে হয়েছে। মেয়ে মানুষের মধ্যে একটু হাসিখুশী, ঠাট্টা এই ভাব গুলো থাকা দরকার। যেটা রুপা আচরনে একদম নাই। তবে ভালো লেগেছে তাদের বাসার কাজের মহিল মলিনার চরিত্র, রুপার বাবা, চাচা ও মদিনা এই চরিত্রগুলো দারুন মজার ছিল। পার্সোনাল রেটিং : ৮.৫০/১০
June 30, 2022
হুমায়ূন আহমেদ (Humayun Ahmed)
বাংলা সাহিত্যের এক কিংবদন্তী হুমায়ূন আহমেদ। বিংশ শতাব্দীর বাঙালি লেখকদের মধ্যে তিনি অন্যতম স্থান দখল করে আছেন। একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার ও নাট্যকার এ মানুষটিকে বলা হয় বাংলা সায়েন্স ফিকশনের পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবেও তিনি বেশ সমাদৃত। বাদ যায়নি গীতিকার কিংবা চিত্রশিল্পীর পরিচয়ও। সৃজনশীলতার প্রতিটি শাখায় তাঁর সমান বিচরণ ছিল। অর্জন করেছেন সর্বোচ্চ সফলতা এবং তুমুল জনপ্রিয়তা। স্বাধীনতা পরবর্তী বাঙালি জাতিকে হুমায়ুন আহমেদ উপহার দিয়েছেন তাঁর অসামান্য বই, নাটক এবং চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রের বদৌলতে মানুষকে করেছেন হলমুখী, তৈরি করে গেছেন বিশাল পাঠকশ্রেণীও। তাঁর নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘আগুনের পরশমনি’ দেখতে দর্শকের ঢল নামে। এছাড়া শ্যামল ছায়া, শ্রাবণ মেঘের দিন, দুই দুয়ারী, চন্দ্রকথা, ঘেটুপুত্র কমলা প্রভৃতি চলচ্চিত্র সুধীজনের প্রশংসা পেয়েছে। অনন্য কীর্তি হিসেবে আছে তাঁর নাটকগুলো। এইসব দিনরাত্র, বহুব্রীহি, আজ রবিবার, কোথাও কেউ নেই, অয়োময়ো আজও নিন্দিত দর্শকমনে। হিমু, মিসির আলি, শুভ্রর মতো চরিত্রের জনক তিনি। রচনা করেছেন নন্দিত নরকে, শঙ্খনীল কারাগার, জোছনা ও জননীর গল্পের মতো সব মাস্টারপিস। শিশুতোষ গ্রন্থ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক রচনা, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী মিলিয়ে হুমায়ূন আহমেদ এর বই সমূহ এর পাঠক সারাবিশ্বে ছড়িয়ে আছে। হুমায়ূন আহমেদ এর বই সমগ্র পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিতও হয়েছে। সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্জন করেছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮১), একুশে পদক (১৯৯৪), হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯০), লেখক শিবির পুরস্কার (১৯৭৩), মাইকেল মধুসূধন দত্ত পুরস্কার (১৯৮৭), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩ ও ১৯৯৪), বাচসাস পুরস্কার (১৯৮৮), শিশু একাডেমি পুরস্কার, জয়নুল আবেদীন স্বর্ণপদকসহ নানা সম্মাননা। হুমায়ূন আহমেদ এর বই, চলচ্চিত্র এবং অন্যান্য রচনা দেশের বাইরেও মূল্যায়িত হয়েছে৷ ১৯৪৮ সালের ১৩ই নভেম্বর, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে, নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলায় কুতুবপুরে পীরবংশে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ূন আহমেদ। কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের বেলভ্যু হাসপাতালে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। গাজীপুরে তাঁর প্রিয় নুহাশ-পল্লীতে তাঁকে সমাহিত করা হয়।