বিষণ অাকাশে যখন বারীশ ঝরে পোড়ামাটির ভেজা গন্ধে তখন হৃদয় উদ্বেলিত হয়। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব, তবুও কি সাধ্য আছে তার। দেওয়ার? পুড়ে পুড়ে অঙ্গার হওয়ার জন্যই যেন পৃথিবীতে এত মায়া। পারস্পরিক মায়া! এত মায়া তবে কেন এত পোড়ায়? সূচিতার হাতের আঙ্গুলের সাথে মেঘদূতের আঙুলের নিবিড় 'আলাপন । মেঘদূতের কাধের ওপর সূচিতার হেলানাে মাথা। হেমন্তের শেষ বিকেলে শীতলাসিক্ত পেলব নরম ঘাসের ওপর পা ছড়িয়ে বসে নদীর পাড়ে লিমা সাজানাে পশ্চিম আকাশের দিকে মুখ করে বসে আছে তারা। দলবেঁধে পাখিদের ঘরে ফেরার তাড়া। নদীর ওপাড়ের গুই দূর সােনালি ধানখেতের আল ধরে রাখাল বালকের গরম নিয়ে ফেরা। ফেরার জন্যই যেন এই জীবন! | মেঘদূত বলে, আমরা কি চেয়েছিলাম কখনো এই মাটি পুড়ে পুড়ে অঙ্গার কষ্টের আঁচড়ে হৃদয় জমিন ক্ষত হােক এটি কে-ই বা ঢায় বলো। এই পােড়ামাটি সে তো এই দগ্ধ হৃদয়ের জমিন। এই সৰুঞ্জ ভূমি, কাকচক্ষু জল, নীলে-লালে মাখামাখি আকাশ, এই সবই তাে সাক্ষী রইল আমাদের ভালােবাসার। তবু এখান থেকে যে আমাদেরকেও ফিরতে হবে। ভিী পথে ভি কে আমাদের ফেরা হবে ভিন্ন গন্তব্যে। | এই ফেরাই শেষ ফেরা না সুচিত বলে। ফেরা তাে তখন হালে, যখন আজকের এই দিনটির মতাে জীবনের কোনাে এক গােধুলি বেলায় আমরা ফিরে আসব আমাদের জীবনের মােহনায়। আমি সেই ফেরার অপক্ষোয় থাকব। তোমার অপেক্ষায়।