Loading...

পথের দাবী (হার্ডকভার)

স্টক:

২৫০.০০ ২০০.০০

একসাথে কেনেন

অপূর্বর সঙ্গে তাহার বন্ধুদের নিম্নলিখিত প্রথায় প্রায়ই তর্ক-বিতর্ক হইত। বন্ধুরা কহিতেন, অপু, তােমার দাদারা প্রায় কিছুই মানেন না, আর তুমি মানে না শােনাে না সংসারে এমন ব্যাপারই নেই। অপূর্ব কহিহ, আছে বৈ কি। এই যেমন দালাদের দৃষ্টান্ত মালিনে এবং তােমাদের পরামর্শ শুনিনে। বন্ধুরা পুরানাে রসিকতার পুনরাবৃত্তি করিয়া বলিলেন, তুমি কলেজে পড়িয়া এম, এসি পাস করিলে, কিন্তু তবু এখনও টিকি রাখিতেছ। তােমার ঢিকির মিডিয়ম দিয়া মগঞ্জে বিদ্যুৎ, চলাচল হয় নাকি? অপূর্ব জবাব দিত, এম, এসসি.-র পাঠ্যপুস্তকে টিকির বিরুদ্ধে কোথাও কোন আন্দোলন নেই। সুতরাং, টিকি রাখা অন্যায় এ ধারণা জন্মাতে পারেনি। আর বিদ্যুৎ, চলাচলের সমস্ত ইতিহাসটা আজিও আবিষ্কৃত হয়নি। বিশ্বাস না হয়, বিদ্যুৎ-বিদ্যা অধ্যাপকদের কার জিজ্ঞাসা করিয়া দেখি ।
Pother Dabi,Pother Dabi in boiferry,Pother Dabi buy online,Pother Dabi by Shri Saratchandra Chattopadhyay,পথের দাবী,পথের দাবী বইফেরীতে,পথের দাবী অনলাইনে কিনুন,শ্রী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর পথের দাবী,9847034306187,Pother Dabi Ebook,Pother Dabi Ebook in BD,Pother Dabi Ebook in Dhaka,Pother Dabi Ebook in Bangladesh,Pother Dabi Ebook in boiferry,পথের দাবী ইবুক,পথের দাবী ইবুক বিডি,পথের দাবী ইবুক ঢাকায়,পথের দাবী ইবুক বাংলাদেশে
শ্রী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর পথের দাবী এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 192.50 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Pother Dabi by Shri Saratchandra Chattopadhyayis now available in boiferry for only 192.50 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ২৩৮ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2016-02-01
প্রকাশনী মাটিগন্ধা
ISBN: 9847034306187
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

4
1 reviews

1-3 থেকে 3 পর্যালোচনা

  • পর্যালোচনা লিখেছেন 'Mijun Uddin Masud'
    শরৎচন্দ্রের অপরিণত রচনায় আছে আবেগের উচ্ছ্বাস,আর শ্রেষ্ঠ রচনায় আছে সংযমের মাধুর্য।দ্বিতীয় সারির একটা বই এই 'পথের দাবী'। এই উপন্যাসের সবচেয়ে অবাক করার মতো বিষয় হলো,এর গভীরতা।একজন লেখক কতটা অভিজ্ঞ হলে একটা রচনাকে এমন গভীরে নিয়ে যেতে পারে;এই বইটি তার অন্যতম উদাহরণ। উপন্যাসের শুরুটা হয়েছিলো তৎকালীন আর দশটা লেখনীর মতোই সাদামাটা,ছিমছাম ভাবে।কিন্তু ধীরে ধীরে কৌতুকবোধ এবং হালকা রহস্যের আমেজ লাগিয়ে শরৎচন্দ্র যেরকম ভাবে তাঁর উপন্যাসে পথের দাবীটিকে ফুটিয়ে তুলেছেন তা অতুলনীয়। উপন্যাসের সবচেয়ে শক্তিশালী চরিত্র 'সব্যসাচী'।এই চরিত্রটিকে শরৎ যেভাবে সৃষ্টি করেছে তা অসম্ভবই বটে।কিন্তু শরৎ তাঁর লেখা দিয়ে এই অসম্ভবতা কাটিয়ে উঠতে কোনো ত্রুটি রাখেনি।অবাক করার মতো চরিত্র হলো 'অপূর্ব'।এ যেন আমাদের মতোই দেশপ্রেমী কোনো সাধারণ বাঙালির সন্তান।আর যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো,শরৎচন্দ্রের নায়িকা বা নারী চরিত্র।তাঁর মতো করে এতো মহৎরুপে নারী চরিত্র আর কোনো লেখক অঙ্কন করতে পারেনি।'ভারতী' তেমনি এক চরিত্র। কেউ যদি নিছক শরতের আর কোনো রোমান্টিক উপন্যাদের স্বাদ পেতে এই বইটি পড়তে চায়,তবে তার না পড়াই ভালো।কারণ এই বইতে যে রোমান্টিকতা আছে তা অন্য ধরনের।তা কোনো নারী-পুরুষের নয়।তা নারীর সঙ্গে তার দেশের,পুরুষের সঙ্গে তার দেশের।🥀
    June 30, 2022
  • পর্যালোচনা লিখেছেন 'Mijun Uddin Masud'
    শরৎচন্দ্রের অপরিণত রচনায় আছে আবেগের উচ্ছ্বাস,আর শ্রেষ্ঠ রচনায় আছে সংযমের মাধুর্য।দ্বিতীয় সারির একটা বই এই 'পথের দাবী'। এই উপন্যাসের সবচেয়ে অবাক করার মতো বিষয় হলো,এর গভীরতা।একজন লেখক কতটা অভিজ্ঞ হলে একটা রচনাকে এমন গভীরে নিয়ে যেতে পারে;এই বইটি তার অন্যতম উদাহরণ। উপন্যাসের শুরুটা হয়েছিলো তৎকালীন আর দশটা লেখনীর মতোই সাদামাটা,ছিমছাম ভাবে।কিন্তু ধীরে ধীরে কৌতুকবোধ এবং হালকা রহস্যের আমেজ লাগিয়ে শরৎচন্দ্র যেরকম ভাবে তাঁর উপন্যাসে পথের দাবীটিকে ফুটিয়ে তুলেছেন তা অতুলনীয়। উপন্যাসের সবচেয়ে শক্তিশালী চরিত্র 'সব্যসাচী'।এই চরিত্রটিকে শরৎ যেভাবে সৃষ্টি করেছে তা অসম্ভবই বটে।কিন্তু শরৎ তাঁর লেখা দিয়ে এই অসম্ভবতা কাটিয়ে উঠতে কোনো ত্রুটি রাখেনি।অবাক করার মতো চরিত্র হলো 'অপূর্ব'।এ যেন আমাদের মতোই দেশপ্রেমী কোনো সাধারণ বাঙালির সন্তান।আর যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো,শরৎচন্দ্রের নায়িকা বা নারী চরিত্র।তাঁর মতো করে এতো মহৎরুপে নারী চরিত্র আর কোনো লেখক অঙ্কন করতে পারেনি।'ভারতী' তেমনি এক চরিত্র। কেউ যদি নিছক শরতের আর কোনো রোমান্টিক উপন্যাদের স্বাদ পেতে এই বইটি পড়তে চায়,তবে তার না পড়াই ভালো।কারণ এই বইতে যে রোমান্টিকতা আছে তা অন্য ধরনের।তা কোনো নারী-পুরুষের নয়।তা নারীর সঙ্গে তার দেশের,পুরুষের সঙ্গে তার দেশের।🥀
    March 28, 2023
  • পর্যালোচনা লিখেছেন 'Mijun Uddin Masud'
    শরৎচন্দ্রের অপরিণত রচনায় আছে আবেগের উচ্ছ্বাস,আর শ্রেষ্ঠ রচনায় আছে সংযমের মাধুর্য।দ্বিতীয় সারির একটা বই এই 'পথের দাবী'। এই উপন্যাসের সবচেয়ে অবাক করার মতো বিষয় হলো,এর গভীরতা।একজন লেখক কতটা অভিজ্ঞ হলে একটা রচনাকে এমন গভীরে নিয়ে যেতে পারে;এই বইটি তার অন্যতম উদাহরণ। উপন্যাসের শুরুটা হয়েছিলো তৎকালীন আর দশটা লেখনীর মতোই সাদামাটা,ছিমছাম ভাবে।কিন্তু ধীরে ধীরে কৌতুকবোধ এবং হালকা রহস্যের আমেজ লাগিয়ে শরৎচন্দ্র যেরকম ভাবে তাঁর উপন্যাসে পথের দাবীটিকে ফুটিয়ে তুলেছেন তা অতুলনীয়। উপন্যাসের সবচেয়ে শক্তিশালী চরিত্র 'সব্যসাচী'।এই চরিত্রটিকে শরৎ যেভাবে সৃষ্টি করেছে তা অসম্ভবই বটে।কিন্তু শরৎ তাঁর লেখা দিয়ে এই অসম্ভবতা কাটিয়ে উঠতে কোনো ত্রুটি রাখেনি।অবাক করার মতো চরিত্র হলো 'অপূর্ব'।এ যেন আমাদের মতোই দেশপ্রেমী কোনো সাধারণ বাঙালির সন্তান।আর যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো,শরৎচন্দ্রের নায়িকা বা নারী চরিত্র।তাঁর মতো করে এতো মহৎরুপে নারী চরিত্র আর কোনো লেখক অঙ্কন করতে পারেনি।'ভারতী' তেমনি এক চরিত্র। কেউ যদি নিছক শরতের আর কোনো রোমান্টিক উপন্যাদের স্বাদ পেতে এই বইটি পড়তে চায়,তবে তার না পড়াই ভালো।কারণ এই বইতে যে রোমান্টিকতা আছে তা অন্য ধরনের।তা কোনো নারী-পুরুষের নয়।তা নারীর সঙ্গে তার দেশের,পুরুষের সঙ্গে তার দেশের।🥀
    June 30, 2022
শ্রী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
লেখকের জীবনী
শ্রী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (Shri Saratchandra Chattopadhyay)

বাঙালির জীবনের আনন্দ-বেদনাকে সাবলীল স্বচ্ছন্দ ভাষায় যে কথাশিল্পী পরম সহানুভূতি ভরে তুলে ধরেছেন বাংলা সাহিত্যে, তিনি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। ১৮৭৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর, হুগলি জেলার ছোট্ট গ্রাম দেবানন্দপুরে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন শরৎচন্দ্র। দারিদ্র্যের কারণে তাঁর শৈশবকাল বলতে গেলে মাতুলালয় ভাগলপুরেই কেটেছে। দারিদ্র্যের কারণে ফি দিতে না পেরে বেশ কয়েকবার স্কুল বদলিও করতে হয়েছিলো ছোটবেলা থেকেই দুরন্ত ও মেধাবী শরৎচন্দ্রের। এন্ট্রান্স পাস করে কলেজে ভর্তি হলেও এফএ পরীক্ষার ফি জোগাড় করতে না পেরে পরীক্ষায় বসতে পারেননি। দারিদ্র্য যখন শিক্ষাজীবনে অব্যহতি টানলো, তারপরই শুরু হলো আপাত সাধারণ এই মানুষটির বর্ণাঢ্য কর্ম ও সাহিত্যজীবন। এ সময় প্রতিবেশী বিভূতিভূষণ ভট্টের বাড়িতে আয়োজিত সাহিত্যসভায় লেখালেখির অনুপ্রেরণা ফিরে পেলেন যেন আবার। যার ফলশ্রুতিতে বাংলা সাহিত্য পেয়েছিলো বড়দিদি, দেবদাস, চন্দ্রনাথ, শুভদা’র মতো কালোত্তীর্ণ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর উপন্যাস সমগ্র। কাছাকাছি সময়ে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছোটগল্প অনুপমার প্রেম, আলো ও ছায়া, হরিচরণ, বোঝা ইত্যাদি রচিত হয়। বনেলী রাজ স্টেটে সেটলমেন্ট অফিসারের সহকারী হিসেবে কিছুদিন কাজ করেন এসময়। কিন্তু তারপরই বাবার উপর অভিমান করে সন্ন্যাসদলে যোগ দিয়ে গান ও নাটকে অভিনয়ে মনোনিবেশ করেন। কখনও কলকাতা হাইকোর্টের অনুবাদক, আবার বার্মা রেলওয়ের হিসাব দপ্তরের কেরানি হিসেবেও কাজ করেন শরৎচন্দ্র। রাজনীতিতেও সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন ১৯২১ সালে কংগ্রেসের অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিয়ে, এবং হাওড়া জেলা কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে। এর মাঝে নিরন্তর চলেছে নিজস্ব জীবনবোধ ও অভিজ্ঞতা উৎসারিত সাহিত্যচর্চা। সমষ্টি আকারে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় গল্প সমগ্র বিন্দুর ছেলে ও অন্যান্য, শ্রীকান্ত-৪ খন্ড, কাশীনাথ, ছেলেবেলার গল্প ইত্যাদি সময় নিয়ে প্রকাশিত হলেও পেয়েছিলো দারুণ পাঠকপ্রিয়তা। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর বই সমূহ বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে, এবং বিশ্বব্যাপী পাঠকের কাছে হয়েছে সমাদৃত। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর বই সমগ্র দেবদাস, শ্রীকান্ত, রামের সুমতি, দেনা-পাওনা, বিরাজবৌ ইত্যাদি থেকে বাংলাসহ ভারতীয় নানা ভাষায় নির্মিত হয়েছে অসাধারণ সফল সব চিত্রনাট্য ও চলচ্চিত্র। সাহিত্যকর্মে অসাধারণ অবদানের জন্য এই খ্যাতিমান বাংলা সাহিত্যিক কুন্তলীন পুরস্কার, জগত্তারিণী স্বর্ণপদক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিলিট উপাধি লাভ করেন। ১৯৩৮ সালের ১৬ জানুয়ারি কলকাতায় শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

সংশ্লিষ্ট বই