Loading...

প্লেটোর সিম্পোজিয়াম (হার্ডকভার)

স্টক:

৮০.০০ ৬৪.০০

একসাথে কেনেন

"প্লেটোর সিম্পোজিয়াম" বইটির সম্পর্কে কিছু কথা:
‘প্লেটো’ বা ‘প্লাতু'-র নাম সমগ্র মুসলিম জাহানে ‘আফলাতুনরূপে বিখ্যাত। তার জীবনদর্শন, সমাজচিন্তা ও যুক্তিপ্রণালী শুধু ইউরােপ কেন, বহু শতাব্দী ধরে উত্তর-আফ্রিকা, মধ্য এশিয়া ও দূর প্রাচ্যকেও প্রভাবিত করেছে। প্লেটো ছিলেন মহাপুরুষ সক্রেটিস বা ‘সুবাদ’-এর শিষ্য, আর আরিস্টোটল বা আরস্তু’-র শিক্ষাগুরু। এই তিন মহামনীষী খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম ও চতুর্থ শতাব্দীতে গ্রিক সভ্যতাকে সর্বোচ্চ শিখরে উন্নীত করে গিয়েছেন। | সক্রেটিস নিজে তার চিন্তাধারা সম্বন্ধে কোনাে পুস্তকাদি লিখে না গেলেও প্লেটোর রচনাবলি থেকে তার শিক্ষা ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে অনেক কথাই জানতে পারা যায়; আর তিনি তাঁর শিষ্যদের ওপর ও সমসাময়িক সমাজের ওপর কী বিপুল প্রভাব বিস্তার করেছিলেন, সে পরিচয়ও পাওয়া যায়। এখানে আমরা কেবল প্লেটোর ‘সিম্পােজিয়াম' বা ‘আলােচনা-উৎসব’ সম্বন্ধেই দুই-একটা কথা বলবার চেষ্টা করব। বইখানার বিষয়বস্তু। হচ্ছে ‘প্রেম-প্রশস্তি। প্রশস্তি করছেন কয়েকজন বিশিষ্ট ঐতিহাসিক ব্যক্তি, এর মধ্যে রয়েছেন কবি, সাহিত্যিক, নাট্যকার, দার্শনিক, প্রেমিক, বৈজ্ঞানিক, হাস্যরসিক। এঁদের মধ্যে সক্রেটিসও একজন। লম্বা লম্বা একটানা বক্তৃতা একঘেয়ে হয়ে যেতে পারে, এ জন্য প্লেটো অত্যন্ত নিপুণভাবে বক্তৃতায় মাঝে মাঝে কিছু কিছু কথাবার্তার অবতারণ করেছেন,—বিশেষ করে দুই বক্তৃতার ফাঁকে ফাঁকে বেশ উপভােগ্য আলাপের সাহায্যে পরিস্থিতিটা হালকা করে নিয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিকতাও রক্ষা করেছেন, প্রত্যেক বক্তার বিশিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি বেশ স্বতন্ত্র হয়ে ফুটে উঠেছে। আবার, বেতাল পঞ্চবিংশতি, কাদম্বরী, হাতেম তাই, আরব্য উপন্যাস প্রভৃতির মতাে গল্পের মধ্যে গল্প বলা হয়েছে। তাই আলােচনা সভায় বাস্তবেই হােক, কিংবা প্লেটোর কল্পনায়ই হােক—যে আলােচনা হয়েছিল, তার বর্ণনা আরিস্টোডেমাস নামক সক্রেটিসের জনৈক শিষ্যের কাছ থেকে শুনে আপােলােডােরাস নামক এক ব্যক্তি আবার তার কোনাে অনামিত বন্ধুর কাছে হুবহু বিবৃত করছে। এতে কথক মাঝে মাঝে ‘ঠিক মনে পড়ছে না’, ‘আরিস্টোডেমাস যেমন বলেছিল’ বা ইত্যাকার কথা দিয়ে বক্তৃতার একঘেয়েমি লাঘব করবার সুযােগ পেয়েছে। | আর একটি কথা বিশেষ উল্লেখযােগ্য। সক্রেটিসের উন্নত চরিত্রের বৈশিষ্ট্য ফুটিয়ে তােলাও এই কথােপকথনের একটি প্রধান উদ্দেশ্য। সুনিপুণ আর্টিস্ট ও সংলাপ-বিশেষজ্ঞ প্লেটো এমন চমৎকারভাবে সামঞ্জস্য রক্ষা করে আলােচনার বিষয়বস্তু ‘প্রেম-প্রশস্তি’র সঙ্গে সঙ্গেই আভাসে-ইঙ্গিতে সক্রেটিস-চরিত্রের নানা দিক উদ্ঘাটিত করেছেন যে, তা সত্যই আশ্চর্য মনে হয়। শেষের দিকে কিছুটা পানােন্মত্ত এলসিবিয়াডিসের চরিত্র সংযােজিত করে তাকে দিয়ে বিশেষ করে সক্রেটিসের প্রশংসা বর্ণনা করানাে হয়েছে। এতে লাভ হয়েছে এই যে, কিছুটা অতিশয়ােক্তি বা সাধারণ রুচিবিরুদ্ধ হয়ে পড়লেও, বক্তার তৎকালীন অবস্থা বিবেচনা করে এ বক্তৃতার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ক্রটি ধর্তব্যের মধ্যে না আনলেও চলে।

plato symposium,plato symposium in boiferry,plato symposium buy online,plato symposium by Kazi Motahar Hossain,প্লেটোর সিম্পোজিয়াম,প্লেটোর সিম্পোজিয়াম বইফেরীতে,প্লেটোর সিম্পোজিয়াম অনলাইনে কিনুন,কাজী মোতাহার হোসেন এর প্লেটোর সিম্পোজিয়াম,984415099X,plato symposium Ebook,plato symposium Ebook in BD,plato symposium Ebook in Dhaka,plato symposium Ebook in Bangladesh,plato symposium Ebook in boiferry,প্লেটোর সিম্পোজিয়াম ইবুক,প্লেটোর সিম্পোজিয়াম ইবুক বিডি,প্লেটোর সিম্পোজিয়াম ইবুক ঢাকায়,প্লেটোর সিম্পোজিয়াম ইবুক বাংলাদেশে
কাজী মোতাহার হোসেন এর প্লেটোর সিম্পোজিয়াম এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 68.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। plato symposium by Kazi Motahar Hossainis now available in boiferry for only 68.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ৪৮ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2017-02-01
প্রকাশনী অবসর প্রকাশনা সংস্থা
ISBN: 984415099X
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

কাজী মোতাহার হোসেন
লেখকের জীবনী
কাজী মোতাহার হোসেন (Kazi Motahar Hossain)

পৈতৃক বাড়ি ফরিদপুর জেলার পাংশা উপজেলার বাগমারা গ্রামে। তবে তার জন্ম কুষ্টিয়া (তখনকার নদীয়া) জেলার কুমারখালি থানার লক্ষ্মীপুর গ্রামে তাঁর মামাবাড়িতে ১৮৯৭ সালের ৩০ জুলাই। তাঁর পিতা কাজী গওহরউদ্দীন আহমদ ছিলেন সেটেলমেন্টের আমিন। মায়ের নাম তাসিরুন্নেসা। শৈশব কাটিয়েছেন ফরিদপুরের বাগমারায়। ১৯২১ সালে এম. এ শ্রেণিতে অধ্যয়নকালীন সময়ে কলকাতার তালতলা নিবাসী মোহাম্মদ ফয়েজুর রহমানের কন্যা সাজেদা খাতুনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। তাঁদের সংসারে চার পুত্র ও সাত কন্যা ছিল। তন্মধ্যে - সনজীদা খাতুন, ফাহমিদা খাতুন, মাহমুদা খাতুন, কাজী আনোয়ার হোসেন, কাজী মাহবুব হোসেন প্রমুখ রয়েছেন। কাজী মোতাহার হোসেনের শিক্ষাজীবন শুরু হয় কুষ্টিয়াতেই। মেধাবি ছাত্র হিসাবে বৃত্তি নিয়ে ১৯০৭ সালে নিম্ন প্রাইমারি ও ১৯০৯ সালে উচ্চ প্রাইমারি পাশ করেন। ১৯১৫ সালে Kushtia Muslim High School থেকে মেট্রিক পরীক্ষা পাস করে ভর্তি হন কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে। এখানে তিনি শিক্ষক হিসেবে পান প্রফুল্ল চন্দ্র রায়কে। ১৯১৭ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। ১৯১৯ সালে ঢাকা কলেজ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে অনার্সসহ বিএ পরীক্ষায় বাংলা ও আসাম জোনে প্রথমস্থান অর্জন করে মাসিক ৩০ টাকা বৃত্তিলাভ করেন। ঢাকা কলেজে তার শিক্ষকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন ওয়াল্টার অ্যালেন জেনকিন্স, পদ্মভূষণ ভূপতি মোহন সেন, ১৯২১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ঢাকা কলেজ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে দ্বিতীয় শ্রেণিতে প্রথম স্থান নিয়ে এমএ পাশ করেন। উল্লেখ্য, সেবছর কেউ প্রথম শ্রেণি পান নি। ১৯৩৮ সালে ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট থেকে পরিসংখ্যান বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি লাভ করেন। যুগপৎভাবে, তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে এম.এ ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ১৯৫১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যানে পি.এইচ.ডি করেন। তার গবেষণার বিষয় ছিল 'Design of Experiments'। তাঁর ডক্টরাল থিসিসে তিনি 'Hussain's Chain Rule' নামক একটি নতুন তত্ত্বের অবতারণা করেন। বস্তুত, তৎকালীন পূর্ববঙ্গে (বর্তমান বাংলাদেশ) তিনিই প্রথম স্বীকৃত পরিসংখ্যানবিদ। ১৯২১ সালে ঢাকা কলেজে ছাত্র থাকাকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ডেমনেস্ট্রেটর হিসেবে চাকরি শুরু করেন এবং একই বিভাগে ১৯২৩ সালে একজন সহকারী প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পান। কাজী মোতাহার হোসেনের নিজ উদ্যোগে ১৯৪৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যানে এম.এ কোর্স চালু হয় এবং তিনি এই নতুন বিভাগে যোগ দেন। তিনি গণিত বিভাগেও ১৯৪৯ থেকে ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত শিক্ষকতা করেন। ১৯৫১ সালে তিনি পরিসংখ্যানে একজন রিডার ও ১৯৫৪ সালে অধ্যাপক হন। ১৯৬১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি পরিসংখ্যান বিভাগে ১৯৬১ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৬৪ সালে স্থাপিত পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউটের তিনি প্রথম পরিচালক।১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে অনারারি (Professor Emeritus) অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দেয়। ১৯৬০ সালে পাকিস্তান সরকার অধ্যাপক কাজী মোতাহার হোসেনকে সিতারা-ই-ইমতিয়াজ উপাধিতে ভূষিত করে। ১৯৬৬ সালে প্রবন্ধসাহিত্যের জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং বিজ্ঞান চর্চায় অসাধারণ অবদানের জন্য ১৯৭৯ সালে দেশের “সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার”হিসাবে পরিচিত “স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয় তাকে। ১৯৭৪ সালে বিজ্ঞান ও কলা বিষয়ে অবদানের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে ডি.এস.সি ডিগ্রি দ্বারা সম্মানিত করে। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে সম্মানিত করে। উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দাবাড়ু হিসেবে ১৯২৯ থেকে ১৯৬০ পর্যন্ত অবিভক্ত বাংলা ও পূর্ব পাকিস্তানে একক চ্যাম্পিয়ন ছিলেন তিনি। তিনি ১৯৮১ সালের ৯ অক্টোবর তিনি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।

সংশ্লিষ্ট বই