Loading...

নৌকাডুবি (হার্ডকভার)

স্টক:

২০০.০০ ১৬০.০০

একসাথে কেনেন

ভূমিকা
পাঠক যে ভার নিলে সংগত হয় লেখকের প্রতি সে ভার দেওয়া চলে না। নিজের রচনা উপলক্ষে আত্মবিশ্লেষণ শোভন হয় না। তাকে অন্যায় বলা যায় এই জন্যে যে, নিতান্ত নৈর্ব্যক্তিক ভাবে এ কাজ করা অসম্ভব- এই জন্য নিষ্কাম বিচারের লাইন ঠিক থঅকে না। প্রকাশক জানতে চেয়েছেন নৌকাডুবি লিখতে গেলুম কী জন্যে। এ-সব কথা দেবা ন জানন্তি কুকো মনুষ্যাঃ। বাইরের খবরটা দেওয়া যেতে পারে, সে হল প্রকাশকের তাগিদ। উৎসটা গভীর ভিতরে, গোমুখী তো উৎস নয়। প্রকাশকের ফরমাশকে প্রেরণা বললে বেশি বলা হয়। অথচ তা ছাড়া বলব কী? গল্পটায় পেয়ে বলা আর প্রকাশকে পেয়ে বলা সম্পূর্ণ আলাদা কথা। বলা বাহুল্য ভিতরের দিকে গল্পের তাড়া ছিল না। গল্প লেখার পেয়াদা যখন দরজা ছাড়ে না তখন দায়ে পড়ে ভাবতে হল কী লিখি। সময়ের দাবি বদলে গেছে। একালে গল্পের কৌতূহলটা হয়ে উঠেছে মনোবিকলমূলক। ঘটনা-গ্রন্থন হয়ে পড়েছে গৌণ। তাই অস্বাভাবিক অবস্থায় মনের রহস্য সন্ধান করে নায়ক-নায়িকার জীবনে প্রকাণ্ড একটা ভুলের দম লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল- অত্যন্ত নিষ্ঠুর কিন্তু ঔৎসুক্যজনক। এর চরম সাইকলজির প্রশ্ন হচ্ছে এই যে, স্বামীর সম্বন্ধের নিত্যতা নিয়ে যে সংস্কার আমাদের দেশের সাধারণ মেয়েদের মনে আছে তার মূল এত গভীর কি না যাতে অজ্ঞানজনিত প্রথম ভালোবাসার জালকে ধিক্কারের সঙ্গে সে ছিন্ন করতে পারে। কিন্তু এ-সব প্রশ্নের সর্বজনীন উত্তর সম্ভব নয়। কোনো একজন বিশেষ মেয়ের মনে সমাজের চিরকালীন সংস্কার দুর্নিবাররূপে এমন প্রবল হওয়া অসম্ভব নয় যাতে অপরিচিত স্বামীর সংবাদমাত্রেই সকল বন্ধন ছিঁড়ে তার দিকে ছুটে যেতে পারে। বন্ধনটা এবং সংস্কারটা দুই সমান দৃঢ় হয়ে যদি নারীর মনে শেষ পর্যন্ত দুই পক্ষের অস্ত্র-চালাচালি চলত তা হলে গল্পের নাটকীয়তা হতে পারত সুতীব্র, মনে চিরকালের মতো দেগে দিত তার ট্র্যাজিক শোচনীয়তার ক্ষতচিহ্ন। ট্যাজেডির সর্বপ্রধান বাহন হয়ে রেইল হতভাগ্য রমেশ- তার দুঃখকরতা প্রতিমুখী মনোভাবের বিরুদ্ধতা নিয়ে তেমন নয় যেমন ঘটনাজালের দুর্মোচ্য জটিলতা নিয়ে। এই কারণে বিচারক যদি রচয়িতাকে অপরাধী কারেন আমি উত্তর দেব না। কেবল বলব গল্পের মধ্যে যে অংশে বর্ণনায় এবং বেদনায় কবিত্বের স্পর্শ লেগেছে সেটাতে যদি রসের অপচয় না ঘটে থাকে তা হলে সমস্ত নৌকাডুবি থেকে সেই অংশে হয়তো কবির খ্যাতি কিছু কিছু বাঁচিয়ে রাখতে পারে। কিন্তু এও অসংকোচে বলতে পারি নে, কেননা রুচির দ্রুত পরিবর্তন চলেছে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
অগ্রহায়ণ ১৩৪৭

Noukadubi,Noukadubi in boiferry,Noukadubi buy online,Noukadubi by Rabindranath Tagore,নৌকাডুবি,নৌকাডুবি বইফেরীতে,নৌকাডুবি অনলাইনে কিনুন,রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর নৌকাডুবি,9848260234,Noukadubi Ebook,Noukadubi Ebook in BD,Noukadubi Ebook in Dhaka,Noukadubi Ebook in Bangladesh,Noukadubi Ebook in boiferry,নৌকাডুবি ইবুক,নৌকাডুবি ইবুক বিডি,নৌকাডুবি ইবুক ঢাকায়,নৌকাডুবি ইবুক বাংলাদেশে
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর নৌকাডুবি এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 170.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Noukadubi by Rabindranath Tagoreis now available in boiferry for only 170.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ১৫৯ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2019-02-01
প্রকাশনী দি স্কাই পাবলিশার্স
ISBN: 9848260234
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

4
1 reviews

1-1 থেকে 1 পর্যালোচনা

  • পর্যালোচনা লিখেছেন 'fatemaismail keya'
    কাহিনী সংক্ষেপঃ ----------------------- রমেশের বাবা বাল্যবন্ধু এর মেয়ের সাথে বিয়ে ঠিক করেন রমেশের। হেমনলিনীর কথা জেনেও রমেশের বাবা তাতে সায় দেননি। বাবার পছন্দের জায়গায় ই বিয়ে করতে হয় রমেশের। রমেশ ও যোগেন্দ্র দুই সহপাঠী। সে হিসাবে প্রায়ই যোগেন্দ্রদের বাড়ি যাওয়া পড়তো রমেশের। এভাবেই রমেশের সঙ্গে যোগেন্দ্রের বোন হেমনলিনী এর সঙ্গে পরিচয়। পরিচয়টা থেকে সম্পর্কটা অনেক দূর পর্যন্ত যেতে পারতো কিন্তু তাতে বাধ সাধে রমেশের বাবা। রমেশের জন্য তাঁর বা কিন্তু বিয়ে শেষে নদীপথে ফেরার সময়ই ঘটে এক দুর্ঘটনা, নৌকাডুবি! এই আকস্মিক দুর্ঘটনায় রমেশের বাবা সহ সব বরযাত্রী মারা যায় শুধু বেঁচে ফিরে রমেশ ও তার সদ্য বিয়ে করা নতুন বউ কমলা। রমেশের অদ্ভুত এক নতুন জীবন শুরু যে জীবনে কমলার সাথে সম্পর্কটা ঠিকঠাক যাচ্ছিল না রমেশের তাই সে কমলাকে বোর্ডিং স্কুলে পাঠিয়ে দেয়। তারপর হঠাৎ একদিন আবার দেখা হয় তার হেমনলিনীর সাথে, সে ফিরে আসে আবার তাদের পাশের ভাড়া বাসাটিতে। এবারের প্রণয় পরিণিতি টা হয়ত হয়ে যেত কিন্তু যোগেন্দ্রর আরেক বন্ধু অক্ষয়ের মাধ্যমে যোগেন্দ্র সব জেনে যাওয়ায় সব ভেস্তে যায়। তাই হয়ত কমলাকে নিয়েই রমেশের জীবন চলতে থাকত নিরন্তন স্বাভাবিকতায়। কিন্তু একদিন রমেশ জানতে পারে কমলা তার বিয়ে করা স্ত্রী নয়, তবে কে সে? তার স্ত্রী ই বা কোথায়? কি হয়ছিল তবে নৌকাডুবি তে? এই সকল প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে ঘুরে আসতে হবে "নৌকাডুবি" বইয়ের পাতা থেকে। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ ---------------------- ভীষণ ভাববিশেষিত নৌকাডুবি পড়ার সময় কখনো আপনার চোখে ভেসে উঠবে উন্মত্ত পদ্মা, তুমুল ঝড়োঢেউ, খেই হারানো ডিঙি নৌকা, কখনো বা রমেশের হতবুদ্ধি চেহারা, কখনো হয়তো কমলার ভীত, সংক্ষিপ্ত চাহনী। গ্রামবাংলার চিরায়ত পৃকতি, ক্রমবর্ধমান কলকাতার শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের যাপিত জীবন, আবার কখনোবা পশ্চিম ভারতীয় প্রবাসী বাঙালী জীবন! সবমিলিয়ে অদ্ভুত আশ্চর্যে মোড়ানো একটি অনুভূতিপ্রবণ উপন্যাস “নৌকাডুবি”। প্রিয় উক্তিঃ --------------- ১.আমার সঙ্গে যাহার বোঝাপড়ার কোনো সম্পর্ক নাই, তাহাকে বুঝিতে চেষ্টা করাই ধৃষ্টতা। ২.পরের দোষ ত্রুটি লইয়া কেবলই আলোচনা করিতে থাকিলে মন ছোটো হইয়া যায়, স্বভাব সন্দিগ্ধ হইয়া উঠে, হৃদয়ের সরসতা থাকে না। সমালোচনাঃ ----------------- সব কাহিনীর মত ভালবাসা আছে, রহস্য আছে, কিছু কুসংস্কারও আছে। মাঝে মধ্যে মনে হয়েছে গল্পটা জোর করে টানা। আবার কিছু অংশ মনে হয়েছে খুব দ্রুত শেষ। তবে সব গল্পের মত শেষ অংশে এসে সবারই মন ভাল হয়ে যাবে! তবে সব কিছুর ভাল-খারাপ সব দিক আছে, সব মিলিয়ে আমার বেশ প্রিয় উপন্যাস এটি। ব্যক্তিগত রেটিংঃ ---------------------- ৮/১০
    July 07, 2022
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
লেখকের জীবনী
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore)

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একাধারে ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্পকার, চিত্রশিল্পী, সংগীতস্রষ্টা, অভিনেতা, কন্ঠশিল্পী, কবি, সমাজ-সংস্কারক এবং দার্শনিক। গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য প্রথম বাঙালি হিসেবে ১৯১৩ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১ সালের ৭ মে তৎকালীন ব্রিটিশ-শাসিত ভারতে কলকাতার ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিমনা জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকেই তিনি লেখালেখিতে মনোনিবেশ করেন। ভানুসিংহ ঠাকুর ছিল তাঁর ছদ্মনাম। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর বই মানেই এক মোহের মাঝে আটকে যাওয়া, যে মোহ পাঠককে জীবনের নানা রঙের সাথে পরিচিত করিয়ে দেয় নানা ঢঙে, নানা ছন্দে, নানা সুর ও বর্ণে। তাঁর ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাট্যগ্রন্থ, ১৩টি উপন্যাস, ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন জীবদ্দশায় বা মৃত্যুর কিছুদিন পরই আলোর মুখ দেখে। কাবুলিওয়ালা, হৈমন্তী, পোস্টমাস্টারসহ মোট ৯৫টি গল্প স্থান পেয়েছে তাঁর ‘গল্পগুচ্ছ’ গ্রন্থে। অন্যদিকে ‘গীতবিতান’ গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে ১,৯১৫টি গান। উপন্যাস, কবিতা, সঙ্গীত, ছোটগল্প, গীতিনাট্য, প্রবন্ধ, ভ্রমণকাহিনীসহ সাহিত্যের সকল শাখাই যেন ধারণ করে আছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর বই সমূহ। তিনি একাধারে নাট্যকার ও নাট্যাভিনেতা দুই-ই ছিলেন। কোনো প্রথাগত শিক্ষা ছাড়া তিনি চিত্রাংকনও করতেন। তৎকালীন সমাজ-সংস্কারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এই গুণী ব্যক্তিত্ব। বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাতেই অনূদিত হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর বই সমগ্র। তাঁর যাবতীয় রচনা ‘রবীন্দ্র রচনাবলী’ নামে ত্রিশ খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট জোড়াসাঁকোর বাড়িতেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর পর এতদিন পেরিয়ে গেলেও তাঁর সাহিত্যকর্ম আজও স্বমহিমায় ভাস্বর। আজও আমাদের বাঙালি জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রেখেছে বিশ্বকবির সাহিত্যকর্ম।

সংশ্লিষ্ট বই