পেরিয়ে গেছে প্রায় এক মিলিয়ন বছর। প্রকৃতির সাথে অনাচার ও আত্মম্ভরিকতায় মানবজাতি আজ বিলুপ্ত। কিন্তু পৃথিবী দাঁড়িয়ে আছে কালে সাক্ষী হয়ে। শাসিক হচ্ছে রোবটদের হাতে। তবে ধ্বংসের দ্বারপ্রাপ্ত থেকে ঘুরে এসে পৃথিবী আবার ধীরে ধীরে ফিরে পাচ্ছে তার সবুজ-শ্যামল রূপ। অথচ এই পুননির্মিত পৃথিবীর ভাগ্যে ঘনিয়ে আসছে এক দারুণ বিপদ। সেই বিপদ থেকে উদ্ধার পেতে রোবট নেতা জিমিনি নির্দেশ দিল কৃত্রিম ল্যাবে ‘মানুষ’-এর ভ্রুণ পরিস্ফুটনের। শতাব্দী পরে পৃথিবীর বুকে মানুষের পদচারণা ঘটে ‘মানুষ’-এর মাধ্যমে রোবট রিওনার মাতৃছায়ায়।
শেষ পর্যন্ত একদিন ‘মানুষ’ এর পালা আসে পৃথিবী রক্ষার মিশনে বেরিয়ে পড়ার। এদিকে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা সেই সমস্যার সমাধান লুকিয়ে আছে সৌরজগতের শেষ সীমানায়। কিন্তু হেলিওপজে এসে ‘মানুষ’ সম্মুখীন হয় এক চাঞ্চল্যকর সত্যের। উন্মোচিত হয় পৃথিবীর হাজার বছরের পুরোনো ইতিহাস। পিনহুইল গ্যালাক্সির খোঁজে ড্রেসোথিয়া গ্রহে এসে ‘মানুষ’ কোন সত্যের দেখার পায়?
থমকে যাওয়া এক সভ্যতার খোঁজে ‘মানুষ।
Manush,Manush in boiferry,Manush buy online,Manush by Mayeesha Farjana,মানুষ,মানুষ বইফেরীতে,মানুষ অনলাইনে কিনুন,মায়িশা ফারজানা এর মানুষ,9789849617631,Manush Ebook,Manush Ebook in BD,Manush Ebook in Dhaka,Manush Ebook in Bangladesh,Manush Ebook in boiferry,মানুষ ইবুক,মানুষ ইবুক বিডি,মানুষ ইবুক ঢাকায়,মানুষ ইবুক বাংলাদেশে
মায়িশা ফারজানা এর মানুষ এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 210.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Manush by Mayeesha Farjanais now available in boiferry for only 210.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন |
হার্ডকভার | ১১২ পাতা |
প্রথম প্রকাশ |
2022-02-20 |
প্রকাশনী |
অক্ষরবৃত্ত |
ISBN: |
9789849617631 |
ভাষা |
বাংলা |
ক্রেতার পর্যালোচনা
1-1 থেকে 1 পর্যালোচনা
-
পর্যালোচনা লিখেছেন 'Iffat Ara'
মূল রিভিউ :-
কিছু কথা : লেখিকা মায়িশা ফারজানা আপুর দ্বিতীয় বই হচ্ছে 'মানুষ' । আপুর প্রথম বইও 'হ্যালো সাই-ফাইয়ার' সায়েন্স ফিকশন জনরায় রচিত । চমৎকার গল্পে এবং শব্দে সাজানো বইগুলো পড়ে , পাঠক হিসেবে আমি খুবই আনন্দিত । তাই , এই রিভিউ এর মাধ্যমে আপুর জন্য পরবর্তী বই লেখার প্রতি উৎসাহ , আহ্বান এবং শুভ কামনা রইলো ।
নামকরণ : মূলত গল্পের মূল চরিত্রের নামেই কিন্তু বইয়ের নামকরণ করা হয়েছে । 'মানুষ' নামটা বইয়ের ক্ষেত্রে কতটা সার্থকতা বজায় রাখে , তা গল্পের পরতে পরতে পাঠক হিসেবে জানতে পারা যায় ।
প্রচ্ছদ-কথন : গল্প কিংবা উপন্যাসের প্রতিবিম্বই হলো যেন বইয়ের প্রচ্ছদ ! উক্ত বইয়ের প্রচ্ছদে লক্ষ্য করা যায় যে , কালো জমিনে আঁকা ছোট ছোট তারার মেলা । মাঝ বরাবর ছায়াপথের কেন্দ্রে নক্ষত্র সূর্য আর যথারীতি আট-আটটি গ্রহ । কালো জমিনের ওপর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা কমলা রঙটা প্রচ্ছদকে করেছে দৃষ্টিনন্দন এবং আকর্ষণীয় । বইয়ের পাঠক হিসেবেই বলতে পারি যে , এটি একটি যথার্ত প্রচ্ছদ বটে ।
কয়েকটি উল্লেখযোগ্য চরিত্র : মানুষ , মিরিসা , জিমিনি , রিওনা , রিকো ।
কাহিনী সংক্ষেপ : মানুষেরা তার প্রবৃত্তি মেটাতে গিয়ে ইচ্ছে মতো পৃথিবীকে ব্যবহার করে চলছিলো । নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে মানবজাতি নানান ধরনের রোবট তৈরিতে মত্ত হয়ে পড়ে । কিন্তু একসময় মানবজাতি তার কৃতকর্মের ফল ভোগে বাধ্য হয় । রোবটদের কাছে লাভ করে পরাজয় , এই পৃথিবী থেকেও বিলুপ্তি লাভ করে তারা । পৃথিবীর ক্ষমতা দখল চলে আসে রোবটদের হাতে । কিন্তু রোবটরা তাদের কৃত্রিম মস্তিষ্ক দিয়ে হয়তোবা বেশি দূর আগাতে পারবে না বলেই ক্রায়োপ্রিজার্ভেশনে সংরক্ষণ করে রেখেছিলো মানবজাতির ভ্রূণ । যাতে প্রয়োজনের তাগিদে রোবটরা তা ব্যবহার করতে পারে ।
এক মিলিয়ন বছর পার হওয়ার পর কোনো একদিন হঠাৎ , রোবটদের প্রধান জিমিনি পৃথিবীতে নেমে আসা বিপদের আশঙ্কায় কৃত্রিম মস্তিষ্ক দ্বারা শঙ্কিতবোধ করে ! বুঝতে পারে যে , এখন তাদের বিলুপ্ত হওয়া বুদ্ধিমান মানুষের সাহায্য প্রয়োজন । একসময় ক্রায়োপ্রিজার্ভেশনে সংরক্ষিত ভ্রূণ থেকে মানুষকে বেড়ে তোলার সিদ্ধান্তে উপনীত হন রোবট-প্রধান জিমিনি । সেই মানুষের নামকরণ হয় 'মানুষ' ।
প্রশ্ন :-
১. সত্যিই কী 'মানুষ' পেরেছিলো , পৃথিবীতে নেমে আসতে থাকা সমস্যাকে সমাধান করতে ?
২. রোবট-প্রধান জিমিনির সিদ্ধান্ত কী সঠিক ছিলো ?
৩. শেষ পর্যন্ত পৃথিবীতে কারাই বা টিকে ছিলো ? রোবটজাতি নাকি মানবজাতি !
৪. কী হয়েছিলো পৃথিবীর শেষ পরিণতি ?
প্রশ্নবানে জর্জরিত পাঠকদের উত্তর জানতে 'মানুষ' বইটি অবশ্যই অবশ্যই তাদের জন্য পাঠ্যযোগ্য ।
পাঠক প্রতিক্রিয়া : প্রথমেই বলতে হয় যে , পাঠক হিসেবে বইটি পড়ে আমি খুবই আনন্দিত । নিতান্তই ভালো লাগার মতো একটি বই বটে । 'মানুষ' নামক বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীটি পড়ে যেন নতুন করে ভিন্নভাবে মানুষকে চিনলাম । মানবজাতি প্রযুক্তিতে উন্নতি লাভ করলেও নিজ নিজ প্রবৃত্তি আর সার্থপরতার কাছে যেন সেকেলে হয়েই রয়ে গেলো ।
গল্পের প্রতিটা শব্দই ছিলো রোমাঞ্চকর । প্রতিটা পাতায় পাতায় কল্পনার এক অনন্য জগত যেন দ্বার খুলে দিচ্ছে !
সমালোচনা : বইটা পড়ে আমি এমন কিছু কিছু খুঁজে পাইনি , যা সমালোচনার দাবিদার । আসলে সমালোচনা করার মতো বইটিতে তেমন কিছু নজরে পড়লো না । তাই , বইটি আমার কাছে সমালোচনাহীন বলা যায় !
পরিশেষে বলতে হয় যে , বইটা পড়ে আমি অনেক তৃপ্তবোধ করেছি । যারা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী পছন্দ করেন তাদের জন্য বইটি পড়া প্রযোজ্য বটে ।
( ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন , ধন্যবাদ । )
June 29, 2022
লেখকের জীবনী
মায়িশা ফারজানা (Mayeesha Farjana)
মায়িশা ফারজানা। আপনজনদের কাছে তিনি 'পুষ্প' নামে পরিচিত। জন্ম ও বেড়ে ওঠা - আমের শহর, চাঁপাইনবাবগঞ্জে। নবাবগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে হাই স্কুলের পাট চুকিয়ে ভর্তি হন খ্যাতনামা রাজশাহী কলেজে। বর্তমানে তিনি রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে অধ্যায়নরত। ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমে সামনে থেকে অংশগ্রহণ এবং নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ ঘটেছিল তাঁর - দিয়েছেনও। বিতর্ক,আবৃত্তি,পাবলিক স্পিকিং, কুইজিং - সবকিছুতেই অংশ নিয়েছেন। অর্জন করেছেন বিভিন্ন সম্মানজনক পুরষ্কার। ২০১৮ সালে জাতীয় পাট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে তিনি সুযোগ পেয়েছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে পুরষ্কার গ্রহণের। এছাড়াও ২০১৯ সালে ইন্টারন্যাশনাল এস্ট্রোনমি এন্ড এস্ট্রোফিজিক্স কম্পিটিশনে সাউথ এশিয়ান রিজিয়নে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন তিনি। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এই মেধাবী রুয়েটিয়ানের জীবনের লক্ষ্য "সুখী মানুষ হওয়া"।"