বইটিতে ইংরেজি সাহিত্যের সারসংক্ষেপ তুলে আনা হয়েছে। সাহিত্য, বিশেষত ইংরেজি সাহিত্য সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা না থাকায় ইংরেজি সাহিত্যের শিক্ষার্থীরা প্রথম ক্লাস থেকেই বিষয়ের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। যত দিন যায় বিষয়টি তাদের কাছে আরাে দুর্বোধ্য ঠেকে। একসময় সবাই হাল ছেড়ে দিয়ে কোনােমতে পাস করে বেরিয়ে আসতে চায়। কিন্তু পাস করতে হলেও তাে কিছু পড়াশুনা দরকার, জানাশােনা দরকার। তাছাড়া পাস করার পর কর্মজীবনে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে নিজের বিষয় সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা না থাকলে তা কোনােভাবেই কারাে কাছে গ্রহণযােগ্য হয় না। এছাড়া এখন বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষাতে ইংরেজি সাহিত্যের প্রশ্ন আসে, বিশেষ করে বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষাতে পনেরাে নম্বরের প্রশ্ন রাখা হয়েছে ইংরেজি সাহিত্য অংশ থেকে, ফলে বিষয়টির প্রত্যক্ষ প্রায়ােগিক গুরুত্ব তৈরি হয়েছে। মূলত এসব দিক বিবেচনায় বইটি রচিত হয়েছে। গবেষণালব্ধ এ বইটিতে ইংরেজি সাহিত্যের সারাংশ তুলে আনা হয়েছে আমাদের দেশের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠিত ইংরেজি সাহিত্যের সিলেবাসের ওপর ভিত্তি করে । বইটিকে “এ ভেরি ইমপরট্যান্ট ইনট্রডাকশন টু ইংলিশ লিটারেচার” বলা যেতে পারে। সাহিত্যের সঙ্গে শিল্প-সংস্কৃতি-সভ্যতা-জীবন জড়িত, এদিক থেকে ইংরেজি সাহিত্য অত্যন্ত সমৃদ্ধ এবং বহুমুখী। তাই ইংরেজি সাহিত্যের ওপর প্রাথমিক ধারণা রাখা শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক উভয়ের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। বইটির দ্বিতীয় অংশে লিটারেরি টার্মস নিয়ে আলােচনা করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ টার্মগুলাে উদাহরণ সহযােগে সুন্দরভাবে উপস্থাপিত হয়েছে, যা ইংরেজি সাহিত্যের যেকোনাে শিক্ষার্থী বা আগ্রহী যে-কোনাে পাঠক সহজে বুঝতে পারবে। বিসিএসসহ বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় ইংরেজি সাহিত্য থেকে যে প্রশ্নগুলাে আসে সে প্রয়ােজনও মিটবে এ বইটি থেকে, কারণ, পরীক্ষাগুলােতে খুব অখ্যাত কিছু আসে । ইংরেজি সাহিত্যের অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং বিশ্বব্যাপী পরিচিত অংশ থেকেই প্রশ্ন পরীক্ষায় আসে, যা বইটিতে চমৎকার সন্নিবেশে আলােচিত হয়েছে। এককথায় বইটি আগ্রহী পাঠককে ইংরেজি সাহিত্যের বিশাল রাজ্যে প্রবেশের সহজ পথটি দেখিয়ে দেবে, যাতে তাকে ভুলপথে, দীর্ঘপথে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়। ইংরেজি সাহিত্যে ভর্তিচ্ছু এবং ইতােমধ্যে যারা ভর্তি হয়েছেন তাদের প্রত্যেককে এ বইটি কেনার জন্য পরামর্শ দিতে চাই, উপকৃত হবেন নিশ্চয়ই।