সড়কের শেষ মাথায় এসে গরুর গাড়িটা একটা জঙ্গলের মাঝখান দিয়ে চলতে লাগলাে। লম্বা লম্বা গাছগুলাের মাথা নুয়ে পড়ে রাস্তাটা ঢেকে দিয়েছে। কিছুদূর যেতেই গাছের আড়ালে সূর্যটা ঢাকা পড়ে গেল। নিঃশব্দ পরিবেশ। মাঝে মাঝে ছােট ছােট পাখির কিচির মিচির শব্দ কানে বাজছে। গাটা ছমছম করে উঠলাে আমার। আব্দুর খুব কাছাকাছি গা ঘেঁষে বসলাম। তিনি আমার মুখের দিকে তাকালেন। বুঝতে পেরে মৃদু মৃদু হাসলেন।
ছাতাটা গুটিয়ে নিলেন আব্দু। আমাকে আরেকটু কাছে টেনে নিয়ে বললেন, জানিস, এখান থেকেই আমাদের গ্রামটা শুরু হয়েছে। বেশ বড় গ্রাম। লম্বায় প্রায় এক মাইল। জঙ্গলটা পার হলেই দেখবি রাস্তার দুই পাশে বাড়িঘর। প্রতিটি বাড়িতেই কত গাছ-গাছালি। আমাদের বাড়িটাও সড়কের ধারেই পড়েছে। বেশ সুন্দর পরিবেশে। ভালাে লাগবে তাের। অনেক আগে এসেছিলামতাে, মনে নাই কিছু। না থাকারই কথা। কতইবা বয়স তখন। পাঁচ বা ছয় হবে। পাঁচ বছর আগে আইছিলাম। ওর দাদা মারা যাওয়ার বছর। তখন ওর বয়স ছয়ই হবে। ক্লাস ওয়ানে পড়ত। -আম্মু দাদার মুত্যুর কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন।
জিল্লুর রহমান এর কাসেম আলি রাজাকার এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 120.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Kashem Ali Rajakar by gillur Rahmais now available in boiferry for only 120.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.