ফ্ল্যাপ
দৃশ্যটা ঈশানা আর সহ্য করতে পারছে না। অজান্তেই নিজের চোখ বন্ধ করার চেষ্টা করে সে। কিন্তু শ্রেয়সীর চিৎকার চোখ বন্ধ রাখতে বাধা দিচ্ছে। কী ভয়ংকর! এবার আর সত্যিই সহ্য হচ্ছে না ঈশানার। চিৎকার করে বলতে চাইল সে, "সামির! প্লিজ! কী করছো এসব? বন্ধ করো।"
সামির আগের মতোই তার হিংস্রতার প্রভাব খাটিয়ে যাচ্ছে। নাহ! এবার ঈশানাকেই কিছু একটা করতে হবে। নিজেই ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেবে ওকে। কিন্তু ঈশানা এক পা এগোবার চেষ্টা করতেই খেয়াল করলো, ওর পা শেকলে বাঁধা। এমনকি হাতটাও পেছনে বাঁধা। কী আশ্চর্য! এতক্ষণ খেয়াল করেনি কেন ব্যাপারটা?
সামিরের তান্ডব কমতে শুরু করেছে। কিন্তু শ্রেয়সী কাঁপছে এখনও। হিচকির শব্দে মাঝে মাঝে কেঁপে উঠছে ওর শরীর। খুব মায়া লাগছে ঈশানার। এগিয়ে গিয়ে শ্রেয়সীকে আলিঙ্গন করতে মন চাচ্ছে। কিন্তু ওর হাত পা তো বাঁধা। কে বেঁধে দিল ওকে? কখনই বা বাঁধল? ও তো এখানে এসেছিল সামিরের সাথে।
চোখ খুলেই দেখলো আবার সেই রুদ্র ফিরে এসেছে শ্রেয়সীর সামনে। হাতে ধারালো অস্ত্র! কী করবে সে? ভাঙ্গা গলাতেই সমানে চিৎকার করে যাচ্ছে শ্রেয়সী। "না রুদ্র! এমন কোরো না! আমি কাউকে বলব না, বিশ্বাস করো! আমাকে ছেড়ে দাও।" রুদ্র তার ধারালো অস্ত্রটাতে শান দিচ্ছে। এত অল্প সময়ে সে শ্রেয়সীর হাত পা আবার কখন বাঁধলো? এগিয়ে যাচ্ছে রুদ্র। মুখে ক্রূর হাসি। কী ভয়ংকর চাহুনি!
ঈশানার মাথা কাজ করছে না। শ্রেয়সীর মতো সেও চিৎকার করে বলছে, " রুদ্র! থামুন! রুদ্র প্লিজ, রুদ্র, রুদ্র......না রুদ্র না!" কে এই শ্রেয়সী? ঈশানার সাথে ওর যোগসূত্র কোথায়? জামান সাহেব কিসের মোহে পড়েছেন?
এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে পড়তে হবে "কারকুন" উপন্যাসটি।
কানিজ ফাতেমা সোমা এর কারকুন এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 188 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। karkun by Kaniz Fatema Shomais now available in boiferry for only 188 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.