ফাইভস্টার হােটেল গুলােতে এখন সুন্দরী ললনাদের গােপন অভিসার আর নর্তকী নৃত্য সমাজের শীর্ষস্থানীয়দের কাছে খুবই আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। নর্তকীদের নাচ যে শুধু নগ্নদেহের উদম প্রদর্শনী সেটি নয়। সেখানেও শৈল্পিক বিষয় রয়েছেগল্পের নায়িকা আমান্দা সেটাই বুঝাতে চেয়েছেন। নর্তকীদের জীবনেও অনেক দু:খ-কষ্ট থাকে, তারা এসব লুকিয়ে রাখে মনের গহিনে। অতিক্রম করে জীবনের নানান জটিল পথ। কষ্ট চাপাদিতে হারিয়ে ফেলে বা ভুলেযায় চিরচেনা কিছু মুখ। অনেক নর্তকী তাদের বিয়ের কথা গােপন রাখে, বরং নানান রঙে রাঙিয়ে তােলে। নিজেকে, রূপ-যৌবনকে আকর্ষণীয় করে রাখে তারা; আমান্দা সেরকম নর্তকী নয়। সে নিয়মিত শরীরচর্চা করে। কোনভাবেই অতিরিক্ত মেদ জমতে দেয় নাসেদিকে নজর রাখে। আমান্দাকে দিয়েই নর্তকীদের জীবনের প্রাথমিক একটা ধারণা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। তার জীবনের সাথে অন্য নর্তকীদের জীবন মিলে যাবে তা ভাবা ঠিক নয়। অনেক নর্তকী একটা পর্যায়ে টিভিতে বা অপেরা শােতে অংশ নেয়... নিজেকে উপস্থাপিকা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে। উগ্ৰনগ্নতা নয়, বরং নৃত্যকে শৈল্পিক রূপ দিতে অমান্দার মত বহু নর্তকী মেধা ও শ্রম দিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। নর্তকীদের নিয়ে লিখতে গিয়ে অনেক তিক্তঅভিজ্ঞতা হয়েছে, আমান্দার সাথে কথাও বলেছি। তার কথায়, চলন-বলনে বিন্দুমাত্র বিস্মিত হই নি। জর্জিয়ার ব্যুরাে অব ইনভেস্টিগেশন (জিবিআই) কর্মকর্তা রিকের সাথেও আলাপ হয়েছে। তার কথাও এ বইয়ে আলােচনা হয়েছে। সিনেমার নায়কের মত হিরাে হয়ে আবির্ভুত হয়নি সে। তাকেও বহু ত্যাগ করতে হয়েছে ...। শেষান্তে বলতে চাই, প্রতিটি মানুষের জীবন বৈচিত্রে ভরা; প্রতিদিনই আমরা গ্রন্থটি যদি বিন্দুমাত্র ভালাে লাগে তবেই আমি সার্থক।