Loading...

জঙ্গলগড় (হার্ডকভার)

স্টক:

১০০.০০

একসাথে কেনেন

প্ৰথম বৰ্গী হাঙ্গামার সম কাস্কর পণ্ডিতের সঙ্গে যখন যুদ্ধ করছেন আলিবর্দী, তখন মীর হষিব নবাবের সঙ্গে। বর্ধমানে ঘটল বিপর্যয়। আলিবর্দী কোনমত আত্মরক্ষা করে লড়াই দিতে দিতে এসে ঢুকলেন মুশিদাবাদে। হবিব বন্দী হল মারাঠাদের হাতে। সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বাসঘাতক সুবিধাবাদী যােগ দিলে মারাঠাদের সঙ্গে। উড়িয়া থেকে বাংলা পর্যন্ত পথট সৰ তার নখদর্পণে। নবাৰী শক্তি তার জানা; এবং ফৌজের নাড়ীনক্ষত্র তার মুখস্থ। উড়িয়া মেদিনীপুরের সমস্ত রাজা জমিদারের সঙ্গে তার পরিচয় আছে। এই রাজার বিচিত্র চরিত্র। আজ নবাবের পক্ষে, কাল বগীর পক্ষে। যাঁর হবিব তাদের নিয়ে খেলা করছে। এইসব মুলধন নিয়ে মারাঠাদের সঙ্গে যােগ দিয়ে সে খেল খেলে আসছে। বাংলার সর্বনাশ করছে। আজ আট বৎসর সে বাংলাদেশের নসীবের আসমানে শনি নক্ষত্রের মত দৃষ্টি দিয়ে আগুন জালিয়ে বোজে। শুগালের মত ধূর্ত। নেকড়ের ম ক্ষুধার্ত বাঘের মত তার রক্তের তৃষ্ণা । আবার শশকের হত সে বনে জঙ্গলে লাফ দিয়ে মুহূর্তে দুখ হয়ে যায়। কটক থেকে আলিবর্দী খাঁ বর্ষার কথা ভেবে তাঁর পল্টনের অবস্থা বিবেচনা করেই তাড়াতাড়ি ফিরেছিলেন। ওই উলুক অপদার্থ আবদুস শোভনকেই উড়িষ্যার নায়েবীতে বসিয়ে চলে এসেছিলেন। ঠিক সাত দিনের মধ্যেই ধূর্ত শিয়াল চিতাবাঘের চেহারা নিয়ে হাজির হয়েছিল। অর্থাৎ মীর হবিব এসেছিল বর্মী নিয়ে। শােন লড়াই দিয়ে আহত হলে পালিয়েছে। চরের খবর--শােভন এখন ডাকাতি করছে। উড়িয়ায় জঙ্গলে তার বাস। এদিকে মীর হবিব বালেশ্বরে মারাঠা শক্তিকে নতুন বাংলা অভিযানের জন্য সমবেত করছে। মােহন সিং এসেছে মারাঠা ফৌজ নিয়ে মুস্তাফা খাঁর ছেলে মুর্তজা ওর পাঠান পল্টন নিয়ে যোগ দিয়েছে। আলিবর্দী ভার আয়োজনে ব্যস্ত হয়েছেন। বাংলাদেশে লােকের মুখ শুকিয়েছে। আবার বর্গী আসছে। অনেক লােক ওবছে দেশ ছেড়ে পালাবে। কিন্তু পালাবেই বা কোথায়, গোটা হিন্দুস্থানে বগী কোথায় নেই। আসে তার কালবৈশাখীর ঝড়ের যত্ন। দেখতে দেখতে কালো মেঘে আকাশ ছেয়ে যায়। কড় ওঠে, বিদ্যুৎ চমকায়, বাদ পড়ে, শিলাবৃষ্টি হয়। ঘরের চাল উড়ে যায়, গাছ ভাঙে, পাতা ছিড়ে আকাশময় ওড়ে। নিরাশ্রয় মানুষ বলে পুড়ে মরে, শিলার আঘাতে জখম হয়ে মরে, বৃষ্টিতে ভিজে থরথর করে কঁপে—বৰ্গীৰ হাজাও ঠিক তাই।
Jangalgahr,Jangalgahr in boiferry,Jangalgahr buy online,Jangalgahr by Tarashonkor Bondopadhai,জঙ্গলগড়,জঙ্গলগড় বইফেরীতে,জঙ্গলগড় অনলাইনে কিনুন,তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় এর জঙ্গলগড়,Jangalgahr Ebook,Jangalgahr Ebook in BD,Jangalgahr Ebook in Dhaka,Jangalgahr Ebook in Bangladesh,Jangalgahr Ebook in boiferry,জঙ্গলগড় ইবুক,জঙ্গলগড় ইবুক বিডি,জঙ্গলগড় ইবুক ঢাকায়,জঙ্গলগড় ইবুক বাংলাদেশে
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় এর জঙ্গলগড় এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 100.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Jangalgahr by Tarashonkor Bondopadhaiis now available in boiferry for only 100.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ১০০ পাতা
প্রথম প্রকাশ 1955-02-01
প্রকাশনী উইনার্স বাজার
ISBN:
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
লেখকের জীবনী
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় (Tarashonkor Bondopadhai)

তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায় বিংশ শতাব্দীর একজন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ছিলেন। ১৮৯৮ সালের ২৪ জুলাই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলায় তাঁর জন্ম। তাঁর শৈশব কাটে এই বীরভূম জেলারই লাভপুর গ্রামে। ধর্মপরায়ণ ও আদর্শনিষ্ঠ বাবা-মায়ের কাছে তিনিও একই সততা ও আদর্শের শিক্ষা নিয়ে বেড়ে উঠতে থাকেন। লাভপুরের যাদবলাল হাই স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করে তিনি সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে ভর্তি হন। তবে নানা কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রম শেষ করতে পারেননি। ভারতীয় স্বাধীনতা বিপ্লবের সময় রাজনৈতিক কারণে কারাভোগ করতে হয় তাঁর। মুক্তি পাওয়ার পর সাহিত্যে মনোনিবেশ করেন পুরোপুরি। তাঁর অনন্য প্রতিভায় জন্ম নিয়েছে একেকটি অসাধারণ পাঠকনন্দিত সাহিত্যকর্ম। তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায় রচনাবলী বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সমৃদ্ধ সম্পদ। তাঁর লেখা কোনো নির্দিষ্ট শ্রেণীর মানুষের জীবনকে এককভাবে উপস্থাপন করে না, ফুটিয়ে তোলে গ্রামীণ ও নাগরিক জীবনের সব বৈশিষ্ট্যকে। সাহিত্য সৃষ্টি করতে তিনি বাদ রাখেননি কোনো শাখা। তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস হলো ‘চৈতালি ঘূর্ণি (১৯৩২)’, ‘পাষাণপুরী (১৯৩৩)’, ’ধাত্রীদেবতা (১৯৩৯)’, ’কালিন্দী (১৯৪০)’, ’কবি (১৯৪৪)’, ’হাসুলী বাঁকের উপকথা (১৯৫১)’, ‘কালরাত্রি (১৯৭০)’ ইত্যাদি। তারাশঙ্করের উপন্যাস সমগ্র সংখ্যার হিসাবে প্রায় ৬৫টি। এর মধ্যে ‘কবি’ উপন্যাসটি তারাশঙ্করের কালজয়ী উপন্যাস। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামার মাঝে তিনি বিভিন্ন শিল্পগোষ্ঠী ও সাহিত্য সম্মেলন এর নেতৃত্ব দান ও সভাপতিত্ব করেন। পশ্চিমবঙ্গের বিধান সভার নির্বাচিত সদস্য হিসেবে তিনি আট বছর দায়িত্ব পালন করেন। তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায় কবিতা সমগ্র হল ‘ত্রিপত্র (১৯২৬)। এছাড়াও সাহিত্য রচনা করেছেন ছোটগল্প, নাটক, প্রহসন ও প্রবন্ধ আকারেও। তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়ের ছোটগল্প সংকলন হলো ‘ছলনাময়ী (১৯৩৭)’, ‘রসকলি (১৯৩৯)’, ‘হারানো সুর (১৯৪৫)’, ‘কালান্তর (১৯৫৬), ‘মিছিল (১৯৬৯)’, ‘উনিশশো একাত্তর (১৯৭১)’ ইত্যাদি। তাঁর রচিত অনেক উপন্যাস পেয়েছে চলচ্চিত্র রূপ, এদের মাঝে আছে ‘কালিন্দী’, ‘দুই পুরুষ’, ‘জলসাঘর’, ‘অভিযান’। তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায় উপন্যাস সমগ্র বাঙালি পাঠকের কাছে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাঁর কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ‘শরতস্মৃতি পুরস্কার (১৯৪৭)’, ‘জগত্তারিণী স্বর্ণপদক (১৯৫৬)’, ‘রবীন্দ্র পুরস্কার (১৯৫৫)’, ‘পদ্মশ্রী (১৯৬২)’, ‘পদ্মভূষণ (১৯৬৮)’ ইত্যাদি পুরস্কার ও উপাধি লাভ করেন। তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায় এর বই সমূহ মানুষের হৃদয়ে চিরস্থায়ী স্থান করে নিয়েছে। পাঠকনন্দিত এই বাঙালি কথাসাহিত্যিক ১৯৭১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পরলোকগমন করেন।

সংশ্লিষ্ট বই