সাহাবায়ে কেরামের যিয়ারত ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) যখন জনুগ্রহণ করেন, তখন কুফায় সাহাৰীয় কিরামের এক জামাআত বসবাস করছিলেন। সাহাবী হযরত আমর ইব হুরাইস (রাজিঃ) বিরাট বড় এক বাড়ি নির্মাণ করেছিলেন কুফায় । এর নীচতলায় রেশমী কাপড়ের মার্কেট ছিল। ইমাম সাহেবের আব্বা সেখানে একটি দোকান ভাড়া নিয়ে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন। হাটা চলার বয়স হওয়ার পর আবু হানীফা (রহঃ) ও মাঝে মধ্যে তার পিতার সাথে দোকানে যেতেন। সেই সুবাদে সাহাবী আমর ইবনে হুরাইসের সাথে ইমাম সাহেবের মুলাকাত হত। এছাড়াও আরাে বেশ কয়েকজন সাহাবার সাথে ইমাম সাহেবের সাক্ষাৎ হয়েছে। সেই হিসেবে তিনি একজন তাবেয়ী । বাকী তিন ইমামের মধ্য হতে অন্য কারও এ সৌভাগ্য নসীব হয়নি। ৯৬ হিজরীতে ইমাম সাহেবের বয়স যখন ১৬ বছর, তখন তিনি স্বীয় পিতার সাথে মক্কা- মুকাররমায় হজ্জ করতে যান। ইমাম সাহেব নিজেই বর্ণনা করেছেন যে, আমার বয়স যখন ১৬ বছর ছিল, আমি মসজিদে হারামে প্রবেশ করে দেখি বিরাট বড় এক মজলিস। আব্বাকে জিজ্ঞেস করলাম, এটা কিসের মজলিস? তিনি বললেন, সাহাবিয়ে রাসুল হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে হারিস ইবনে জুয হাদীসের দরস দিচেছন । একথা শুনে আমি সামনে অগ্রসর হলাম। সেখানে শুনলাম, তিনি বলছেন "আমি রাসূলে আকরাম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি আল্লাহর দ্বীনের ব্যাপারে তাফাকুহ হাসিল করবে আল্লাহ তা'লা তার অভাব-অনটনের জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবেন এবং ধারণার বাইরে তাকে রিযিক দান করবেন।” (মুসনাদে আবী হানীফা ২৫-২৬)